আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
238 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আস সালামু আলাইকুম। আমার কিছু প্রশ্ন ছিল।  উত্তরগুলো জানালে দ্বীনের লাইনে অনেক বড় উপকার হবে।
১।   আত্মীয় স্বজনদের বাসায় গেলে মাহরাম নন মাহরাম বজায় রাখা যায় না।  আত্মীয়ের বাসায় সবাই পর্দার  ব্যাপারে সচেতন না।  এক্ষেত্রে নজরের হেফাজত হয় না।  আবার আত্মীয়ের সম্পর্ক বজায় রাখাও একটা গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।  তাহলে কি আত্মীয়ের বাসা যাওয়া বাদ দিয়ে দিব???  নাকি মাঝে মাঝে যাব??  এক্ষেত্রে করনীয় কি??
২। আমি ৩ চিল্লার জন্য কিছু টাকা জমাচ্ছি।  ওখান থেকে ২০০ টাকার মত খরচ করে ফেলেছি।  আমি এখন কি যথারীতি টাকা জমা করব?  নাকি সাথে অতিরিক্ত ২০০ টাকা ওখানে নতুন করে জমা করব??

৩) অনেক সময় যখন আজান দেয়, তখন আমরা ক্লাসে থাকি। কখনোবা ক্লাসের পড়া পড়ি। কখনো গল্প করি।  এতে কি কোনো গোনাহ হবে?? আজানের জওয়াব দেওয়ার বিধান শরীয়াতে কিরুপ??
৪) ওস্তাদ, পরীক্ষায় কাউকে দেখানো কি জায়েজ আছে?  খুব অনুনয় বিনয় করে দেখানোর জন্য।  এমনকি পরীক্ষার পর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলে, তার খুব বেশি উপকার করলাম, আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে উত্তম প্রতিদান দান করেন। আবার মাঝে মাঝে অন্যজনের কাছে শুনে লিখতে হয়।  এটা কতটুকু শরীয়তসম্মত??
৫) কেউ হাফপ্যান্ট বা কাচা/ নেংটি পড়া থাকলে তাকে কি সালাম দেয়া যাবে?  দিলে কি গোনাহ হবে???
৬) আমি তাবলীগ জামাত এ সময় দিই  প্রায় ৫ বছর থেকে।  মাঝে মাঝে আব্বু, আম্মু নিষেধ করেন।  দ্বীনের কাজে তাদের নিষেধ মানা যাবে??  আমার ভয় হয়, না জানি বাসার পরিবেশে থেকে আমার ইমান আমলের ক্ষেত্রে অনেক বড় কমতি এসে যায়।
নাকি, বাসায় না জানিয়ে গোপনে দাওয়াতের সফর ও অন্যান্য কাজ করব??
৭) হজ্জ করার সুবিধার জন্য মেয়েরা যদি ব্লিডিং বন্ধ রাখার জন্য পিল বা ওষুধ খায় সেটা কি শরীয়তসম্মত হবে??

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
(১)
আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরী। তবে যদি কোনো আত্মীয়র বাসায় পর্দাকে যথেষ্টভাবে গুরুত্ব দেয়া হয় না,তাহলে এমন আত্মীয়র বাসায়  যাওয়া যাবে না।এজন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না। 

(২)
নতুন করে জমা করার প্রয়োজন নাই।বরং যথারীতি আপনি আবার টাকা জমা করবেন।পূর্বের খরচ হয়ে যাওয়া টাকাকে আবার নতুনকরে জমা করতে হবে না।

(৩)
আজানের জবাব মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে নামায পড়ে দেয়া ওয়াজিব।মুখে দেওয়া মুস্তাহাব।

(৪)
পরীক্ষায় নিজে নকল করা বা অন্যকে কিছু বলে দেওয়া সবই হারাম এবং নাজায়েয। 

(৫)
ফাসিককে সালাম না দেওয়াই উচিৎ।তবে যদি তার কাছ থেকে কোনো প্রকার ক্ষতির আশংকা থাকে,তাহলে তাকে সালাম দেয়া যেতে পারে।নতুবা তাকে আর সালাম দেয়া যাবে না।


(৬)
দাওয়াত ও ইসলামি করতে করতে যেয়ে মাতাপিতার কোনো প্রকার নিষেধকে গ্রাহ্য করা যাবে না,মানা যাবে না।

(৭)
জ্বী, শরীয়ত সম্মত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...