আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in পবিত্রতা (Purity) by (9 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
আমি এবং আমার  স্বামী এক বছর তিনমাস  আগে লুকিয়ে  ৩ জন স্বাক্ষীর সম্মুখে  বিয়ে করেছিলাম।
আমার স্বামী আগে তালাকের বিভিন্ন  মাসআলা  জানতো না।আমার  সাথে একটু ঝগড়া  হলেই, বিভিন্ন বাক্যের সাথে  তালাকের শর্ত যুক্ত  করে  দিতো এবং  আমিও  সেই  কাজ  করতাম।সেই অনুযায়ী  আমাদের  প্রায় ৯/১০ মাস আগেই
এক তালাক  বায়েন পতিত হয়ে  যায়।(যেহেতু সহবাসের  পূর্বে এক তালাক  বায়েন পতিত  হয় এবং এক তালাক  বায়েন যে পতিত  হয়েছে,তা মুফতি  সাহেবের কাছ থেকে জানতে পেরেছি।)

আমরা পারিবারিকভাবে এখন আবার পুনরায়  বিয়ে  করতে চাচ্ছি, কিন্তু পূর্বের ঘটনাগুলো  বিপত্তি  হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমার  স্বামী  পূর্বে যেইসব বাক্যের সাথে শর্তযুক্ত করে তালাক দিতো,সেইসব বাক্য কি স্বাভাবিকভাবেই বলেছিল,নাকি সেইসব শর্তে যতবার ততবার উল্লেখ  করে  দিয়েছিলো,এখন আর মনে করতে পারতেছি  না।

যেমনঃ সে সম্ভবত  একবার   বলেছিলঃ " তুমি  যদি  আমার  বাবার ব্যাপারে আর কিছু  বলো,তাহলে তালাক।"

আমার  যতদূর  মনে পড়ে  সম্ভবত এভাবেই বলছে,কিন্তু  তাও মনে বারবার  সন্দেহ  আসতেছে যে আমার  স্বামী  যতবার বলবা ততবার তালাক এভাবে  বলে নাই তো.....।

আমি  তাহলে এখন  কি  ধরে নিবো??? আগের ঘটনা  তো স্পষ্ট  মনে পড়তেছে না,অনেক চেষ্টা  করেও স্পষ্ট  মনে করতে  পারতেছি  না,অনেক চেষ্টা  করছি।আমি
 এত আগেের কথা কিভাবে মনে করবো?

আরও  উল্লেখ্য  এই যতবার- ততবারের ব্যাপার এতদিন আমার মাথায় আসে নাই,সেদিন তালাক বিষয়ক একটা  ফতোয়াতে এমন জিনিস  দেখি,তারপরই আমার  মাথায়  এমন সন্দেহ  ঢুকে  যায়।

আরও  উল্লেখ  আমি প্রায়ই দৈনন্দিন  জীবনে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন  ব্যাপার নিয়ে  সন্দেহ  করে থাকি।যেমনঃ পরীক্ষা  দিয়ে  এসে  কমপক্ষে ২/৩ বার ভাবতে থাকি,রোল নাম্বার  ঠিক  মতো লিখছি কিনা,অতিরিক্ত  পেইজ মূল খাতায় লাগাইছি কি না।পরে দেখা যায় আমার  সন্দেহগুলো মিথ্যা  ছিল।

এখন আমাকে ইসলামের আলোকে সমাধান দেন।

আমি কি  ধরে নেবো,"যতবার  বলবা ততবার  তালাক  হবে এটা আমার  শয়তান  কর্তৃক আসা মনের  সন্দেহ, ওয়াসওয়াসা,মিথ্যা????

আমি আমার  পূর্বের স্বামীকেও জিজ্ঞেস  করতে পারতেছি  না, কারণ  আমি ওকে কোরআন শরীফ ছুঁয়ে আল্লাহর  নামে কথা দিছি পূর্বের বিয়ে,তালাক নিয়ে  ওকে আমি আর কিছু  জিজ্ঞেস  করবো না।

এছাড়া এত আগের কথা আমার স্বামীর ও মনে  থাকবে বলে আমার  মনে  হয় না   .....

আরো ও উল্লেখ আমি এর আগেও  ওকে একবার  কোরআন শরীফ ছুঁয়ে কথা দিছিলাম,কিন্তু  সেই শপথ  ভেঙে  তাকে আরেকটা বাক্য (যেহেতু সে অনেক বাক্যের সাথেই তালাক যুক্ত করেছিল আগে)  নিয়ে  জিজ্ঞেস  করেছিলাম,ঐ বাক্যের সাথে যতবার - ততবার উল্লেখ করেছিলো কিনা,সে উত্তর  দিয়েছিলোঃ" না,এভাবে  কখনোই  বলি নাই।"  কিন্তু  সেটা তো ঐ বাক্যের জন্য  প্রযোজ্য ছিল তাই না?

কিন্তু সেদিন  আমার  উপরের বাক্যটার কথা(মানে আজ যেটা আপনাকে বললাম)  সেটা মনে ছিলো না,তাই সেদিন  ওকে জিজ্ঞেস  করতে পারি নাই।
উপরের বাক্যটা আমার  আজ মনে আসছে।

এখন আমি  পুনরায়  শপথ  ভাঙতে  পারবো  না,চাই না।

★★আমি এটাও  মনে করতে  পারতেছি  না,জীবনের  প্রথম  সে কোন বাক্যটার সাথে তালাক যুক্ত  করে  আমাকে তালাক দিছিলো,সেটা যদি  মনে করতে পারতাম,তাও হইতো।তাহলে তো আমার তার তালাকের  শর্তযুক্ত করা প্রত্যেকটা বাক্য নিয়ে  ভাবতে হইতো না........
আমি এখন কি করি????

আমার এই অবস্থায় আপনি  আমাকে  ইসলামের  আলোকে  একটা সমাধান দিয়েন। এমন পরিস্থিতিতে ইসলাম  কি নির্দেশ দেয়???

আমার কি ধরে নিয়ে  বাকি জীবনটা অতিবাহিত  করা  উচিত।

ওর সাথে  আমার  পুনরায়  বিবাহের পর ওর বাবার ব্যাপারটা আমি  কিভাবে  কি করবো?

আরেকটা কথা,উপরে  উল্লেখিত  যেই বাক্যটা আমি  বললাম,সেই বাক্যটাও আমার  স্পষ্ট  মনে নাই।  "সে আসলে কি বলেছিল  তার বাবার ব্যাপারে তাকে কিছু  বলা যাবে না,

নাকি তার বাবার ব্যাপারে আমি কাউকেই কিছু  বলতে পারবো না...."

 এখন কিভাবে  কি করি???

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যখন সে বলছে যে,সে যতবার ততবার এগুলো বলেনি,তাই পরবর্তীতে তার সাথে বিয়ে হওয়ার পর তার পিতা সম্পর্কে কিছু বললে আর তালাক হবে না।

এখন শয়তান আপনাকে ওয়াসওয়াসা দিচ্ছে বা দিবে।সুতরাং আপনি শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে দূরে থাকবেন।

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...