আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
96 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম,  আমার একটি হারাম রিলেশন ছিল। যখন আমরা বুঝতে পারি রিলেশনে যাওয়া  হারাম তখন দুজন আলাদা হয়ে যায়৷  প্রায় ২ বছর কথা বন্ধ ছিল আমাদের। হঠ্যাৎ আমার যার সাথে রিলেশন ছিল উনার বোন এসে আমাকে ইনফরম করলেন আমাদের রিলেশন পরে একাকিত্ব আর ডিপ্রেশন থেকে উনার ভাইয়ের অবস্থা অনেক খারাপ।(শুধু রিলেশন না, উনি দেশের বাইরে কানাডাতে থাকেন, তাই অনেক চাপ নিয়ে থাকতে হয় তার। তার উপর আমাদের আলাদা হয়ে যাওয়া উনার উপর অনেক মেন্টাল চাপ পরে) উনার ভাই আমার সাথে কন্টাক্ট করেন নাই ঠিকই, যাতে আমি হারামে না থাকি।উনিও অনেক ভালো চলছিলেন দ্বীনের পথে এসে। তারপর ডিপ্রেশন থেকে নেশার পথে চলে গেছেন। এখন আমি আর এসব শুনে থাকতে পারিনাই।আমি প্রমান্সহ দেখে আরো বেশি দূর্বল হয়ে পরেছিলাম। তারপর আমি তার সাথে কথা বলি গিয়ে। অনেক বুঝিয়ে প্রায় ১ মাস অনেক চেষ্টা করে নেশা থেকে আটকিয়ে রাখতে পারছিলাম। ১ মাস ১৫ দিন পরে অনেকটায় ঠিক হয়ে গেলেন তিনি।কামাডায় আমার পরিচিতদের মাধ্যমে খবর রাখতাম সব সময়,  তারপর এভাবে আবার হারামে থাকতে অনেক অনুশুচনা হচ্ছিল আমার।তাই আমি তার সাথে কন্টাক্ট অফ করে দেয়। এখন আমার মেইন প্রবলম হচ্ছে ঈমান এত বেশি দূর্বল আমার আর আমি এই মানুষটার প্রতিও এত দূর্বল আমি একটা সমস্যায় পরে গেছি এখন। আমাকে প্লিজ একটা সমাধান দেন!  আমি কিভাবে আমার মনকে শান্ত রাখবো?   কোন দোয়া আছে কি যা দ্বারা আমি মাফ চাইবো, এবং এসব থেকে সরে আসবো৷?   নাকি এখন উনার পাশে থাকবো?  আমার কি করা উচিত আমি কিছু বুঝতে পারতেছি না আসলে। এখন বিয়ে করাউ পসিবল না উনি এখন অনেক রিনে আছেন, নেশা করে সব টাকা জ্বলে ভাসাচ্ছেন।  তার মা বাবা এসব বিষয়ে জানেন না,, তাই একনাত্র আমি ছাড়া তাকে কেউ আর ঠিক করার রাস্তা ও নাই।  এই অবস্থায় আমি কি করবো৷

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি আপনার পরিবার এবং তার পরিবার বিয়েতে রাজি হয়,তাহলে এখনই বিয়ে করে নিন।সুন্নতি ত্বরিকায় মহরে ফাতেমি দ্বারা বিয়ে করে নিন। তারপর যখন সে ঋণ পরিশোধ করে ফেলবে, তখন ওয়ালিমা অনুষ্টান সে করবে। এটাই সর্বোত্তম রাস্তা।

যদি আপনাদের উভয়ের পরিবার এ সম্পর্কে রাজী না হয়, তাহলে রাজী করানোর আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।যদি উভয় পরিবার শতচেষ্টার পরও রাজী না হয়, তাহলে এখনই আপনারা পৃথক হয়ে যান। তার সাথে আপনি আর কখনো কন্টাক্ট করবেন না। মন থেকে সবকিছু মুছে ফেলুন। এজন্য সে যদি নেশার দিকে অগ্রসর হয়, তাহলে এক্ষেত্রে আপনার কিছু যায় আসেনা। তার আখেরাতের হিসাব তাকেই দিতে হবে।আপনার টেনশন করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।


পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেউ বহন করবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। 
(সূরা ফাতির-১৮)

আপনি অতীতের জন্য আল্লাহর কাছে তাওবাহ করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...