জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।
কাপড় পাক হয়ে যাবে।
(০২)
হাদীস শরীফে ফরজ গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছেঃ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، عَنْ خَالَتِهِ، مَيْمُونَةَ قَالَتْ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم غُسْلاً يَغْتَسِلُ بِهِ مِنَ الْجَنَابَةِ فَأَكْفَأَ الإِنَاءَ عَلَى يَدِهِ الْيُمْنَى فَغَسَلَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا ثُمَّ صَبَّ عَلَى فَرْجِهِ فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِشِمَالِهِ ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدِهِ الأَرْضَ فَغَسَلَهَا ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ صَبَّ عَلَى رَأْسِهِ وَجَسَدِهِ ثُمَّ تَنَحَّى نَاحِيَةً فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ فَنَاوَلْتُهُ الْمِنْدِيلَ فَلَمْ يَأْخُذْهُ وَجَعَلَ يَنْفُضُ الْمَاءَ عَنْ جَسَدِهِ . فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لإِبْرَاهِيمَ فَقَالَ كَانُوا لَا يَرَوْنَ بِالْمِنْدِيلِ بَأْسًا وَلَكِنْ كَانُوا يَكْرَهُونَ الْعَادَةَ
মায়মূনাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জানাবাতের গোসলের জন্য পানি রাখলাম। তিনি পানির পাত্র কাত করে ডান হাতে পানি ঢেলে তা দু’বার বা তিনবার ধুলেন। এরপর লজ্জাস্থানে পানি ঢেলে তা বাম হাতে ধুলেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষে ধুয়ে নিলেন, কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, মুখমন্ডল ও দু’হাত ধুলেন। তারপর মাথায় এবং সমগ্র শরীরে পানি ঢাললেন। তারপর ঐ স্থান থেকে একটু সরে গিয়ে উভয় পা ধুলেন। আমি (শরীর মোছার জন্য) তাঁকে রুমাল দিলাম। তিনি তা গ্রহণ করলেন না বরং শরীর থেকে পানি ঝেড়ে ফেলতে লাগলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বিষয়টি ইবরাহীমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ সাহাবীগণ গামছা ব্যবহার করা অপছন্দ করতেন না, বরং তাঁরা (গামছা ব্যবহার) অভ্যাসে পরিণত করা অপছন্দ করতেন।
{বুখারী (অধ্যায়ঃ গোসল, অনুঃ একবার গোসল করা, হাঃ ২৫৭), মুসলিম (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ জানাবাতের গোসলের নিয়ম) উভয়ে আ‘মাশ সূত্রে। আবু দাউদ ২৪৫)}
,
শরীয়তের বিধান হলো ফরজ গোসল আদায় করা প্রায় শেষ,শুধুমাত্র পা ধোয়া বাকি।এমন অবস্থায় যদি বায়ু নির্গত হয়,তাহলে আবার নতুন করে প্রথম থেকে সম্পূর্ণ গোসল করতে হবে কিনা পবিত্র হওয়ার জন্য?
এ সম্পর্কে দু রকম বক্তব্য পাওয়া যায়,
*গোসলকে নবায়ন করতে হবে না।(সালেহ আল মুনাজ্জিদ)
*গোসলকে আবার নবায়ন করতে হবে।গোসলকে নবায়ন করতে হবে না বলে যে মতটি রয়েছে,এটাই যুক্তিযুক্ত মনে হচ্ছে।
.
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি বায়ু বের হওয়ার পর অযুর ফরজ চার অঙ্গের উপর পুনরায় যেকোনো ভাবে পানি পৌছে যায়,তাহলে আপনার গোসল হয়ে যাবে,এই গোসল দিয়ে আপনি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে উত্তম পদ্ধতি ছিল পুরো গোসল আবার নবায়ন করা
,
আরো জানুনঃ