আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
১।স্বামী যদি  স্ত্রী কে বলে,তুমি যদি আর পান খাও তাহলে তালাক হয়ে যাবে,,তারপরও পান খেয়ে ফেলেছে।এখন কি তালাক হয়ে গেসে?

হলে কি করনীয়? কিভাবে সম্পর্ক জোড়া লাগানো যায়?

২।মরহুম আত্মীয়ের জন্য কিভাবে দোয়া করবো?যেমনঃদুরুদ পড়লাম ১০০ বার পড়ে দোয়া করবো যে এর সাওয়াব টা আমার নানুর কবরে পৌঁছায় দিয়েন.

এমন টা কি???

৩।দ্বীনদার উত্তম আখলাকওয়ালা জীবনসঙ্গীর  জন্য সূরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াত,,,দ্বীনদার একটা পরিবার(শশুরবাড়ী  পাওয়ার জন্য কি কোনো কুরআনের আয়াত সম্বলিত আ'মাল আছে?

৪।কাযা নামাযের হিসেব করলে কতো বছর থেকে শুরু করবো?

৫।দ্বীনি ইল্ম থেকে যাতে মাহরুম হয়ে  না যাই এবং হালাল উৎস থেকে রিযিক যাতে বাড়ে,এর জন্য কোনো আ'মল আছে?

৬।আমার আত্মীয়র মধ্যে এমন একজন আছেন,,যে তাবিজ কবজ করে,,আবার তার দ্বারা বদনজর লাগার তীব্র আশংকাও করি।আমি সকাল সন্ধার মাসনূন আ'মাল গুলো নিয়মিত করি।তাহলে কি আমার কোনো চিন্তা আছে,?? উনি যতো যাই করুক,,,আমার কি আর কিছু করার আছে?কোনো আ'মাল?

1 Answer

0 votes
by (687,440 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
তালাক শব্দ। এটি খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ ভয়ানক শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,   
তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে সেইশর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।

واذا اضافه إلى الشرط، وقع عقيب الشرط اتفاقا، مثل أن يقول لامرأته: إن دخلت الدار فأنت طالق، (الفتاوى الهندية، الفصل الثالث فى تعليق الطلاق-1/420، الهداية، كتاب الطلاق، باب الأيمان فى الطلاق-2/385، تبيين الحقائق، باب التعليق-3/109)
সারমর্মঃ
যদি তালাককে কোনো শর্তের সাথে যুক্ত করে,তাহলে শর্ত পাওয়ার পরেই তালাক পতিত হয়ে যাবে।
,
আরো জানুনঃ 

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এক তালাকে রজয়ী  পতিত হয়ে গিয়েছে।
,
এখন সেই স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে চাইলে ফিরিয়ে নিতে পারবে।

ইদ্দতের মধ্যেই তাকে ফিরিয়ে নিলাম বললে বা তার সাথে স্ত্রী সূলভ যেকোনো দৈহিক আচরন করলেই তাকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়ে যাবে।

আর ইদ্দতের পর ফিরিয়ে নিলে নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।     
,
(০২)
হ্যাঁ এটি ঠিক আছে।

(০৩)
দ্বীনদার একটা পরিবার পাওয়ার জন্যেও উক্ত আমল করতে পারেন।
দ্বীনদার শশুরবাড়ী পাওয়ার জন্য কোনো দোয়া পাইনি,আপনি মহান আল্লাহর কাছে বাংলাতেই দোয়া চাইবেন।
      
(০৪)
যেদিন থেকে আপনি বালেগ হয়েছেন,সেদিন থেকে হিসেব করতে হবে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে হায়েজের দিন গুলি বাদ দিতে হবে।
এই দিন গুলোর কাজা আদায় করতে হবেনা।
,
(০৫)
উপরোক্ত নিয়তে আপনি এই দোয়া গুলি পড়ত্র পারেন। 
رب زدني علما
اللهم فقهنا في الدين.

হালাল উৎস থেকে রিযিক বাড়ার জন্য আল্লাহর কাছে চাইতে হবে,বেশি বেশি আল্লাহর রাস্তায় সদকাহ করতে হবে,বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে।

আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

« مَنْ لَزِمَ الاِسْتِغْفَارَ جَعَلَ اللَّهُ لَهُ مِنْ كُلِّ ضِيقٍ مَخْرَجًا وَمِنْ كُلِّ هَمٍّ فَرَجًا وَرَزَقَهُ مِنْ حَيْثُ لاَ يَحْتَسِبُ ».

‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের সংস্থান করে দেবেন।’ (আবূ দাঊদ : ১৫২০; ইবন মাজা : ৩৮১৯; তাবরানী : ৬২৯১)

অন্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 

مَنْ أَكْثَرَ الِاسْتِغْفَارَ جَعَلَ اللَّهُ لَهُ مِنْ كُلِّ هَمٍّ فَرَجًا وَمِنْ كُلِّ ضِيقٍ مَخْرَجًا وَرَزَقَهُ مِنْ حَيْثُ لاَ يَحْتَسِبُ 

‘যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইস্তেগফার করবে আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন।’ (বাইহাকী : ৬৩৬; হাকেম, মুস্তাদরাক : ৭৬৭৭ সহীহ সূত্রে বর্ণিত।)

(০৬)
সকাল সন্ধ্যা তিন কুল তিন বার তিনবার করে পড়ে সমস্ত শরীরে ফুক দেওয়াই যথেষ্ট হবে,ইনশাআল্লাহ।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 99 views
...