আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in সালাত(Prayer) by (5 points)
১)আমার এর আগে অনেকদিনের নামাজ কাযা বাকি আছে।প্রায় দুই মাসের মত।আমি আবার নিয়মিত নামাজ আদায় শুরু করি।আমার আবার আসর,মাগরিব কাযা হয়ে যায়।আমি তা আদায় না করেই মসজিদে জামাতে ইশা,তারাবি ও বিতর পড়ি।আমি ধারাবাহিকতা রক্ষা করি নাই যেহেতু আমার উপর ৬ওয়াক্তেরও অনেক বেশি কাযা আছে।এরপর আমি পরের দিনের ফজরও পড়ি।ওই আসর মাগরিব বাকি রেখে ইশা তারাবি বিতর কি আদায় হয়েছে?(আমার পূর্বের অনেক কাযা আছে তাই তো সাহেবে তারতিব হওয়ার কথা না)

২)রমজানে আগের অনেকদিনের কাযা বাকি রেখে কি তাহাজ্জুদ পড়া যাবে?

৩)আমার দুই মাসের মত নামাজ কাযা আছে। কোনদিন থেকে আমার নামাজ কাযা হয়েছিল আমার সেই তারিখ মনে আছে।এখন আমি কাযা আদায়ের ক্ষেত্রে জীবনের প্রথম ফজরের কাযা এভাবে নিয়ত করবো নাকি অমুক তারিখ ফজরের কাযা এভাবে নিয়ত করবো?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


নামাজ ত্যাগ অনেক মারাত্মক গুনাহ।


হাদীস শরীফে এসেছে-


عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ أَوْصَانِي خَلِيلِي ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ " وَلاَ تَتْرُكْ صَلاَةً مَكْتُوبَةً مُتَعَمِّدًا فَمَنْ تَرَكَهَا مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ وَلاَ تَشْرَبِ الْخَمْرَ فَإِنَّهَا مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ " .


আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনআমার প্রিয় বন্ধু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে এই উপদেশ তুমি স্বেচ্ছায় ফরয নামায ত্যাগ করো না। যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় তা ত্যাগ করে তারথেকে (আল্লাহর ) যিম্মদারি উঠে যায়। তুমি মদ্যপান করো না। কেননা তা সর্বপ্রকার অনিষ্টের চাবিকাঠি। (সুনানে ইবনে মাজাহ ৪০৩৪)

 

অধিক কাযা নামাজ তারতীবকে রহিত করে দেয়। ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে আছে-

 حتي ترك صلاة شهر ثم قضي ثلاثين فجر ثم ثلاثين ظهرا ثم هكذا صح

মর্মার্থ: কারোর যদি এক মাসের নামাজ কাযা হয়ে যায়। অত:পর সে ত্রিশ দিনের ফজরের নামাজ কাযা করে তারপর জহর…তাহলে তা সহীহ আছে। 

(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া১/১৮৩)

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/25597/

 

https://ifatwa.info/5512/  নং ফাতাওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

বালিগ হওয়ার পর যার জীবনে ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কা'যা হয়নিসেই ব্যক্তিই সাহেবে তারতীব। সুতরাং কেউ যদি টানা কয়েক বছর নামায না পড়ে তাকে এবং পরবর্তীতে নিয়মিত নামায পড়া শুরু করেএবং তখন ১/২ ওয়াক্ত নামায কা'যা হয়,তাহলে ঐ ব্যক্তি সাহেবে তারতীব হবে না। কেননা ঐ ব্যক্তির অধীনে বা জিম্মায় অসংখ্যাত  নামায কা'যা রয়েছে। তাই ঐ ব্যক্তিকে সাহেবে তারতীব বলা যাবে না। সাহেবে তারতীব হওয়ার জন্য ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কাযা হতে পারবে না বা জিম্মায় থাকতে পারবে না।

 

যদি কারো অনেক নামায কা'যা থাকেএবং ঐ ব্যক্তি কা'যা আদায় করতে করতে ছয় ওয়াক্তের কম নামায তার জিম্মায় বাকী থাকেতাহলে কি সে সাহেবে তারতীব হবে?

এ সম্পর্কে দু ধরণের বক্তব্য পাওয়া যায়বিশুদ্ধ কথা হলঐ ব্যক্তিও সাহেবে তারতীব হিসেবে গণ্য হবে।

 

সাহেবে তারতীব ব্যক্তির জন্য তারতীব রক্ষা করা ওয়াজিব। অর্থাৎ প্রথমে কাযা নামায গুলো ধারাবাহিক আদায় করতে হবে। তারপর ওয়াক্তের নামায আদায় করতে হবে। উল্টো করলে ওয়াজিব তরকের গোনাহ হবে।


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
আপনি যেহেতু সাহেবে তারতিব নন,সুতরাং ঐ আসর মাগরিব বাকি রেখে ইশা তারাবি বিতর আদায় হয়েছে।

(০২)
হ্যাঁ, তাহাজ্জুদ পড়া যাবে।
তবে এক্ষেত্রে তাহাজ্জুদ নামাজ যেহেতু নফল,যাহা আদায় না করলে কোনো জবাবদিহি দিতে হবেনা। কোনো গুনাহ হবেনা।
,
আর কাজা নামাজ যেহেতু নিজ জিম্মায় রয়েই গেছে,যাহা আদায় না করে মারা গেলে জবাবদিহি দিতে হবে,কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে, তাই এক্ষেত্রে তাহাজ্জুদের স্থলে পূর্বের কাজা নামাজ আদায়ের পরামর্শ থাকবে।

(০৩)
উভয়টিই সহীহ আছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...