আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
66 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)

Assalamualaikum Mufti oli wallah.
আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুন। শায়েখ আমার চাকরির সূত্রে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেটা তুলে ধরলাম। এভাবে আমল করা যাবে?
https://ifatwa.info/87134/ ( আগের প্রশ্ন লিংক)

১.সময় মতো নামাজ পড়তে পারিনা। চাকরির জন্য । তবে ইনশাল্লাহ কাজা নামাজ পরেনিবো রাত্রিতে বাড়ি গিয়ে  আর ওয়াক্ত এর সময় সুযোগ করে যতটা সম্ভব নামাজ পড়বো। আর নামাজের একটু অসুবিধা হলেও দান সদকহ মোটামুটি করবো  । এমন ভাবে দান সদকা করবো কাউকে বুঝতেই দিবনা।
আর আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দুআ করবো।
হুজুর তাহলে এই বালা মুসিবত থেকে দূর হব তো?
যা সপ্ন দেখেছি তার থেকে বেঁচে যাবো তো ?
কোনো খারাপ কিছু হবে না তো?
২. সপ্নের মৃত্যুর জন্য ভয় এ শেষ হয়ে যাচ্ছি একটু সাহস দেন। এসব নিয়ে না ভাবলেও তো হবে ? চিন্তা করার কি দরকার আছে। আল্লাহর কাছে কান্না করে দুয়া করলে ঠিক হয়ে যাবে ইনাআল্লাহ। ঠিক বললাম তো?
3. স্ত্রী কে শুধু বলেছি খারাপ সপ্ন দেখেছি অন্য আর কিছু বলিনি। এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না তো?
শুকরিয়া হুজুর

1 Answer

0 votes
by (679,480 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ওয়াক্ত মতো নামাজ পড়া অকাট্য ভাবে প্রমানীত ফরজ।  

কুরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

فَاِذَا اطْمَاْنَنْتُمْ فَاَقِیْمُوا الصَّلٰوةَ، اِنَّ الصَّلٰوةَ كَانَتْ عَلَی الْمُؤْمِنِیْنَ كِتٰبًا مَّوْقُوْتًا.

অতঃপর যখন তোমরা নিরাপত্তা বোধ করবে তখন সালাত যথারীতি আদায় করবে। নিশ্চয়ই সালাত নির্ধারিত সময়ে মুমিনদের এক অবশ্যপালনীয় কাজ। -সূরা নিসা (৪) : ১০৩

কোনোভাবেই এটি ছেড়ে দেওয়া জায়েয নেই। 
তবে কোনো অতিব সমস্যার কারনে  যদি ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়,নামাজ যদি না পড়তে পারে,তাহলে সেটার কাজা আদায় করবে।
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।   

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « إِذَا رَقَدَ أَحَدُكُمْ عَنِ الصَّلاَةِ أَوْ غَفَلَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ أَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِى

অনুবাদ-যখন তোমাদের কেউ নামায ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়ে, বা নামায থেকে গাফেল হয়ে যায়, তাহলে তার যখন বোধোদয় হবে তখন সে যেন তা আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-আমাকে স্মরণ হলে নামায আদায় কর।

(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬০১
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২৯৩২
সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪১৮২)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এভাবে নামাজ কাজা করা আপনার জন্য কোনোভাবেই জায়েজ হচ্ছেনা।
এর জন্য আখেরাতে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন আপনাকে হতে হবে।

সুতরাং ওয়াক্তের মধ্যেই নামাজ আদায় করে নিতে হবে,নামাজ কাজা করা যাবেনা।
তাহলে এই বালা মুসিবত থেকে দূর হবে।

(০২)
আপনার জন্য চিন্তা করার দরকার নেই।

আরো জানতে নিম্নোক্ত প্রশ্নের জবাব দ্রষ্টব্যঃ-

(০৩)
এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।
ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 301 views
...