আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
430 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,

১)স্বাভাবিক   দৈনন্দিন  বিভিন্ন
 আলাপ- আলোচনায়,স্ত্রীকে উদ্দেশ্য  করে স্বামী  যদি  বলে
 তুমি  মুক্ত,
তুমি স্বাধীন,

তোমাকে   ছেড়ে দিলাম(মাফ করা অর্থে বা অন্য কোনো অর্থে,কিন্তু  তালাকের  উদ্দেশ্য  না),

তোমাকে মুক্ত  করে  দিলাম, তোমাকে স্বাধীন  করে  দিলাম,
 তোমার পছন্দ,
তোমার বিষয়  তোমার  হাতে,
তোমার  যা খুশি  তাই  করো,
তোমাকে আযাদ করে দিলাম,তুমি আযাদ।

কথাগুলো  তালাকের উদ্দেশ্যে বলা হয় নি, নিজেদের মাঝে তালাকের আলোচনা  হচ্ছে এমন প্রক্ষিতেও না,  অন্যান্য  দৈনন্দিন বিভিন্ন  প্রেক্ষিতে(যেমনঃ স্ত্রীকে বিভিন্ন  কাজে স্বাধীনতা দিতে)  স্ত্রীকে উদ্দেশ্য  করে  বলা হয়েছিল।

এতে কি বৈবাহিক  সম্পর্কে কোন  সমস্যা  হবে?স্ত্রী  তালাক  হয়ে যাবে?

২)স্বামী- স্ত্রীর কোন  একটা  বিষয়  নিয়ে  ঝগড়া  হচ্ছে।
★[ কিন্তু  ঐ ঝগড়া চলাকালীন সময়ে   স্ত্রী,  স্বামীর কাছে বিবাহ  বিচ্ছেদ চাচ্ছে  এমন না।

আবার   ঝগড়া শুরু করার  আগে স্বামী- স্ত্রী  বিবাহ  বিচ্ছেদ  করবে,একজন আরেকজনকে  ছেড়ে চলে যাবে এমন আলোচনাও করে নাই।

বরং দৈনন্দিন  জীবনের বিভিন্ন  বিষয় নিয়ে  ঝগড়া,মনোমালিন্য,একজন- আরেকজনকে দোষারপ করা ইত্যাদি। ]★

সেই  ঝগড়ায় স্বামী  বলে ফেললোঃ যাও দূর হও, বাপ- মায়ের বাড়ি যাও,তোমাকে আর সহ্য হচ্ছে না,তোমাকে  পৃথক করে  দিলাম, তোমার  সাথে  আমার  বনিবনা  হবে না, তোমার  যা খুশি তাই  করো, তোমার  সাথে  আমার  সম্পর্ক  শেষ,
 তোমার পছন্দ,
তোমার বিষয়  তোমার  হাতে,

অথবা  অন্য  যেকোনো   কেনায়া বাক্য।

কিন্তু  তালাকের   নিয়ত   ছাড়া  , স্ত্রীকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে।

এতে কি  তালাক  হবে?

৩) স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া  হচ্ছে কিন্তু  সে ঝগড়া  তালাকের  মজলিস না, অন্য কারনে ঝগড়া এবং স্বামীর তালাকের নিয়ত  ও নাই।
কিন্তু  সেই  ঝগড়ার  পর্যায়ে স্বামী স্ত্রীকে বলে ফেললোঃ  তুমি  মুক্ত, তুমি স্বাধীন,
তোমাকে মুক্ত  করে  দিলাম, তোমাকে স্বাধীন  করে  দিলাম।

এতে কি স্ত্রী  তালাক  হয়ে  যাবে?

৪) স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া  হচ্ছে কিন্তু  সে ঝগড়া  তালাকের  মজলিস না,অন্য  কারনে ঝগড়া  এবং স্বামীর তালাকের নিয়ত  ও নাই।
কিন্তু  সেই  ঝগড়ার  পর্যায়ে স্বামী স্ত্রীকে বলে ফেললোঃ তোমাকে   ছেড়ে দিলাম।
এতে কি স্ত্রী  তালাক  হয়ে  যাবে?

৫) স্ত্রীর সাথে ঝগড়ার সময়, তালাকের  নিয়ত  ছাড়া স্ত্রীকে যদি  বলা হয়, তোমার   সাথে  আমার  ব্রেকআপ, এটা বললে কি স্ত্রী  তালাক  হয়ে  যায়?
উত্তরগুলো স্পষ্ট  বাক্যে পয়েন্ট  অনুযায়ী দিলে,যেমনঃ

 " না,তালাক হবে না।"  অথবা  "হ্যাঁ তালাক হবে", এভাবে  দিলে খুব  উপকৃত  হবো।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1049 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
মোগল সাম্রাজ্য কর্তৃত রচিত অনবদ্য ও সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ফেকহি কিতাব "ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া) তে বর্ণিত রয়েছে,
 لَا يَقَعُ بِهَا الطَّلَاقُ إلَّا بِالنِّيَّةِ أَوْ بِدَلَالَةِ حَالٍ كَذَا فِي الْجَوْهَرَةِ النَّيِّرَةِ. ثُمَّ الْكِنَايَاتُ ثَلَاثَةُ أَقْسَامٍ (مَا يَصْلُحُ جَوَابًا لَا غَيْرُ) أَمْرُك بِيَدِك، اخْتَارِي، اعْتَدِّي (وَمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا لَا غَيْرُ) اُخْرُجِي اذْهَبِي اُعْزُبِي قُومِي تَقَنَّعِي اسْتَتِرِي تَخَمَّرِي (وَمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَشَتْمًا) خَلِيَّةٌ بَرِيَّةٌ بَتَّةٌ بَتْلَةٌ بَائِنٌ حَرَامٌ
কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা নিয়ত ব্যতীত বা তালাকের ব্যাপারে ইশরা ইঙ্গিত ব্যতীত তালাক পতিত হয় না।কেনায়া তালাক তিন প্রকার যথাঃ-
(১)
যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না।যেমন,তোমার বিষয় তোমার হাতে,তুমি পছন্দ করো,তুমি গণনা করো। (২) যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক হওয়া এবং না হওয়া উভয়টি বুঝায়।যেমন,তুমু বের হও,তুমি চলে যাও,তুমি আমার কওম থেকে দূরে চলে চাও,তুমি নেকাব পরিধান করো,তুমি পর্দার আড়ালে চলে যাও,তুমি উড়না পরিধান করো। (৩) যা তালাক এবং গালির উভয়টির সম্ভাবনা রাখে। হারাম,বায়িন,মুক্ত,দায়মুক্ত, বাত্তাহ,বাতলাহ ইত্যাদি শব্দাবলি।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
যেহেতু উক্ত শব্দাবলী তালাকের নিয়তে বলা হয়নি, তাই এদ্বারা তালাক হবে না।
(২)
উপরোক্ত পিস্থিতিতেও তালাক পতিত হবে না।
(৩)
উপরোক্ত পরিস্থিতিতেও তালাক পতিত হবে না।
(৪)
ছেড়ে দিলাম শব্দ তালাকে কেনায়া হলেও ফুকাহায়ে কেরাম একে তালাকে সরিহের দরজায় নিয়ে আসেন, তাই 'ছেড়ে দিলাম' শব্দ দ্বারা তালাক পতিত হয়ে যাবে।
(৫)
না, তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...