আসসালামু আলাইকুম,
১)স্বাভাবিক দৈনন্দিন বিভিন্ন
আলাপ- আলোচনায়,স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে স্বামী যদি বলে
তুমি মুক্ত,
তুমি স্বাধীন,
তোমাকে ছেড়ে দিলাম(মাফ করা অর্থে বা অন্য কোনো অর্থে,কিন্তু তালাকের উদ্দেশ্য না),
তোমাকে মুক্ত করে দিলাম, তোমাকে স্বাধীন করে দিলাম,
তোমার পছন্দ,
তোমার বিষয় তোমার হাতে,
তোমার যা খুশি তাই করো,
তোমাকে আযাদ করে দিলাম,তুমি আযাদ।
কথাগুলো তালাকের উদ্দেশ্যে বলা হয় নি, নিজেদের মাঝে তালাকের আলোচনা হচ্ছে এমন প্রক্ষিতেও না, অন্যান্য দৈনন্দিন বিভিন্ন প্রেক্ষিতে(যেমনঃ স্ত্রীকে বিভিন্ন কাজে স্বাধীনতা দিতে) স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছিল।
এতে কি বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে?স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে?
২)স্বামী- স্ত্রীর কোন একটা বিষয় নিয়ে ঝগড়া হচ্ছে।
★[ কিন্তু ঐ ঝগড়া চলাকালীন সময়ে স্ত্রী, স্বামীর কাছে বিবাহ বিচ্ছেদ চাচ্ছে এমন না।
আবার ঝগড়া শুরু করার আগে স্বামী- স্ত্রী বিবাহ বিচ্ছেদ করবে,একজন আরেকজনকে ছেড়ে চলে যাবে এমন আলোচনাও করে নাই।
বরং দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া,মনোমালিন্য,একজন- আরেকজনকে দোষারপ করা ইত্যাদি। ]★
সেই ঝগড়ায় স্বামী বলে ফেললোঃ যাও দূর হও, বাপ- মায়ের বাড়ি যাও,তোমাকে আর সহ্য হচ্ছে না,তোমাকে পৃথক করে দিলাম, তোমার সাথে আমার বনিবনা হবে না, তোমার যা খুশি তাই করো, তোমার সাথে আমার সম্পর্ক শেষ,
তোমার পছন্দ,
তোমার বিষয় তোমার হাতে,
অথবা অন্য যেকোনো কেনায়া বাক্য।
কিন্তু তালাকের নিয়ত ছাড়া , স্ত্রীকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে।
এতে কি তালাক হবে?
৩) স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া হচ্ছে কিন্তু সে ঝগড়া তালাকের মজলিস না, অন্য কারনে ঝগড়া এবং স্বামীর তালাকের নিয়ত ও নাই।
কিন্তু সেই ঝগড়ার পর্যায়ে স্বামী স্ত্রীকে বলে ফেললোঃ তুমি মুক্ত, তুমি স্বাধীন,
তোমাকে মুক্ত করে দিলাম, তোমাকে স্বাধীন করে দিলাম।
এতে কি স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে?
৪) স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া হচ্ছে কিন্তু সে ঝগড়া তালাকের মজলিস না,অন্য কারনে ঝগড়া এবং স্বামীর তালাকের নিয়ত ও নাই।
কিন্তু সেই ঝগড়ার পর্যায়ে স্বামী স্ত্রীকে বলে ফেললোঃ তোমাকে ছেড়ে দিলাম।
এতে কি স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে?
৫) স্ত্রীর সাথে ঝগড়ার সময়, তালাকের নিয়ত ছাড়া স্ত্রীকে যদি বলা হয়, তোমার সাথে আমার ব্রেকআপ, এটা বললে কি স্ত্রী তালাক হয়ে যায়?
উত্তরগুলো স্পষ্ট বাক্যে পয়েন্ট অনুযায়ী দিলে,যেমনঃ
" না,তালাক হবে না।" অথবা "হ্যাঁ তালাক হবে", এভাবে দিলে খুব উপকৃত হবো।