আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
328 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
১)জাদুকয ব্যক্তি কী জিন হাজির ছাড়া যাদু টোনা করতে পারে??

২) জাদুকর কি সব সময় যাদুতে সফল হয় ?

৩) যাদু টোনা থেকে বাঁচতে করণীয়??

১)জাদুকয ব্যক্তি কী জিন হাজির ছাড়া যাদু টোনা করতে পারে??


২) জাদুকর কি সব সময় যাদুতে সফল হয় ?


৩) যাদু টোনা থেকে বাঁচতে করণীয়??

১)জাদুকয ব্যক্তি কী জিন হাজির ছাড়া যাদু টোনা করতে পারে??

২) জাদুকর কি সব সময় যাদুতে সফল হয় ?

৩) যাদু টোনা থেকে বাঁচতে করণীয়??

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
 জবাবঃ- 
black magic বা জাদু যদি কুফরী কালাম দ্বারা করা হয়, তাহলে এটাই তার ঈমান-আমল বরবাদের যথেষ্ট হয়ে যাবে।
কুফরী কালাম দিয়ে জাদু করা হারাম এবং তা ঈমান বিধ্বংসী।
যাকে কোরআনের পরিভাষায় কুফর বলা হয়। এবং উক্ত জাদুকর কাফির হয়ে যাবেন।
এত্থেকে বেচে থাকা প্রত্যেক মুসলমানের অত্যাবশ্যকীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য।
তবে প্রয়োজনে বৈধ কাজে বৈধ আ'মলের মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলার কাছে বিভিন প্রকার দু'আ দুরুদ করার অনুমতি রয়েছে।
জাদুর আছর বুঝার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে।
সবচেয়ে নিরাপদ এবং গ্রহণযোগ্য মাধ্যম হলো,
জীবনের স্বাভাবিক চলাচলে ব্যাঘাত ঘটলে অতি তারাতারি কোনো বিজ্ঞ  মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়া।
*জাদুর ক্রিয়া/প্রভাব নষ্ট করার জন্য সুরা নাস এবং সুরা ফালাক বেশী বেশী করে পড়তে হবে।

মানুষের ক্ষতির জন্য যে যাদু করা হয়, সেটার নাম কালো যাদু । আর মানুষের ভালোর জন্য যদি কিছু করা হয়, তাহলে সেটার নামই সাদা যাদু হওয়া উচিৎ। তবে এরকম প্রচলন সাধারণত নেই

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
যাদুকর জ্বীন হাজির করে বা না করে উভয় ভাবেই যাদু করতে পারে।

(২)
সব সময় সফল হয় না।

(৩)
যাদু টোনার চিকিৎসা।
এক নাম্বার আমল
ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺃَﻟْﻘَﻮﺍْ ﻗَﺎﻝَ ﻣُﻮﺳَﻰ ﻣَﺎ ﺟِﺌْﺘُﻢ ﺑِﻪِ ﺍﻟﺴِّﺤْﺮُ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺳَﻴُﺒْﻄِﻠُﻪُ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻻَ ﻳُﺼْﻠِﺢُ ﻋَﻤَﻞَ ﺍﻟْﻤُﻔْﺴِﺪِﻳﻦَ*
ﻭَﻳُﺤِﻖُّ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺍﻟْﺤَﻖَّ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺗِﻪِ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺮِﻩَ ﺍﻟْﻤُﺠْﺮِﻣُﻮﻥَ*
সূরা ইউনুস(১০)আয়াত ৮১/৮২।
(১)উপরোক্ত আয়াত ১২রাকাত তাহাজ্জুদের নামায পড়ে চার হাজার একশত বার পড়ে কোনো মিষ্টি দ্রব্যর উপর ফু দিবে।এমনভাবে যে প্রতি একশত বার পর পর তিনবার দুরুদ শরীফ পড়ে ফু দিবে। (একদিনে সম্ভব না হলে তিনদিন, পাঁচদিন এভাবে বেজোড় দিনে)
এবং পরবর্তিতে তা ঐ ব্যক্তিকে খাওয়াবে।
(২)
অথবা জাফরান কালি দিয়ে বাসনের উপর লিখে তা ধৌত করে গোসল করাবে।

(৩)বা তা লিখে গলায় বাধবে।
ইনশা'আল্লাহ সফল হবে। 

প্রথমোক্ত পদ্ধতিটাই সহজ ও ভালো হবে।
দ্বিতীয় আমল


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...