বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
black magic বা জাদু যদি কুফরী কালাম দ্বারা করা হয়, তাহলে এটাই তার ঈমান-আমল বরবাদের যথেষ্ট হয়ে যাবে।
কুফরী কালাম দিয়ে জাদু করা হারাম এবং তা ঈমান বিধ্বংসী।
যাকে কোরআনের পরিভাষায় কুফর বলা হয়। এবং উক্ত জাদুকর কাফির হয়ে যাবেন।
এত্থেকে বেচে থাকা প্রত্যেক মুসলমানের অত্যাবশ্যকীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য।
তবে প্রয়োজনে বৈধ কাজে বৈধ আ'মলের মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলার কাছে বিভিন প্রকার দু'আ দুরুদ করার অনুমতি রয়েছে।
জাদুর আছর বুঝার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে।
সবচেয়ে নিরাপদ এবং গ্রহণযোগ্য মাধ্যম হলো,
জীবনের স্বাভাবিক চলাচলে ব্যাঘাত ঘটলে অতি তারাতারি কোনো বিজ্ঞ মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়া।
*জাদুর ক্রিয়া/প্রভাব নষ্ট করার জন্য সুরা নাস এবং সুরা ফালাক বেশী বেশী করে পড়তে হবে।
মানুষের ক্ষতির জন্য যে যাদু করা হয়, সেটার নাম কালো যাদু । আর মানুষের ভালোর জন্য যদি কিছু করা হয়, তাহলে সেটার নামই সাদা যাদু হওয়া উচিৎ। তবে এরকম প্রচলন সাধারণত নেই
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
যাদুকর জ্বীন হাজির করে বা না করে উভয় ভাবেই যাদু করতে পারে।
(২)
সব সময় সফল হয় না।
(৩)
যাদু টোনার চিকিৎসা।
এক নাম্বার আমল
ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺃَﻟْﻘَﻮﺍْ ﻗَﺎﻝَ ﻣُﻮﺳَﻰ ﻣَﺎ ﺟِﺌْﺘُﻢ ﺑِﻪِ ﺍﻟﺴِّﺤْﺮُ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺳَﻴُﺒْﻄِﻠُﻪُ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻻَ ﻳُﺼْﻠِﺢُ ﻋَﻤَﻞَ ﺍﻟْﻤُﻔْﺴِﺪِﻳﻦَ*
ﻭَﻳُﺤِﻖُّ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺍﻟْﺤَﻖَّ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺗِﻪِ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺮِﻩَ ﺍﻟْﻤُﺠْﺮِﻣُﻮﻥَ*
সূরা ইউনুস(১০)আয়াত ৮১/৮২।
(১)উপরোক্ত আয়াত ১২রাকাত তাহাজ্জুদের নামায পড়ে চার হাজার একশত বার পড়ে কোনো মিষ্টি দ্রব্যর উপর ফু দিবে।এমনভাবে যে প্রতি একশত বার পর পর তিনবার দুরুদ শরীফ পড়ে ফু দিবে। (একদিনে সম্ভব না হলে তিনদিন, পাঁচদিন এভাবে বেজোড় দিনে)
এবং পরবর্তিতে তা ঐ ব্যক্তিকে খাওয়াবে।
(২)
অথবা জাফরান কালি দিয়ে বাসনের উপর লিখে তা ধৌত করে গোসল করাবে।
(৩)বা তা লিখে গলায় বাধবে।
ইনশা'আল্লাহ সফল হবে।
প্রথমোক্ত পদ্ধতিটাই সহজ ও ভালো হবে।
দ্বিতীয় আমল