আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
361 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (19 points)
আসসালামুয়ালাইকুম উস্তায...

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম,

উস্তায আমি মালয়েশিয়াতে একটা অমুসলিম কোম্পানিতে কাজ করি,আমাদের কোম্পানিতে প্রায় ১০ টা রেস্টুরেন্ট আছে তাদের ৫ টা তে মদ বিক্রি করে সাথে হালাল খাবার ও বিক্রি করে, আর বাকি ৫ টা রেস্টুরেন্টে সব গুলা হালাল খাবার বিক্রি করে তবে মাস শেষে সব রেস্টুরেন্ট এর টাকা হালাল হারাম উভয় একত্র করে তার পরে ১০ টি রেস্টুরেন্ট এর শ্রমিক দের বেতন দিয়ে থাকেন।

এখন আমার প্রশ্ন হলো ১: যে ৫ টা রেস্টুরেন্টে হালাল খাবার বিক্রি করে সেখানে যারা কাজ করে তাদের উপার্জন কি হালাল হবে?

২:আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো যে ৫ টা রেস্টুরেন্টে মদ বিক্রির সাথে হালাল খাবার বিক্রি করে সে রেস্টুরেন্টে যারা মদ ও হালাল ফুড দুইটাই সার্ফ করে অর্থাৎ ওয়েটারের কাজ  করে তার উপার্জন কি হালাল হবে?

৩:তৃতীয় প্রশ্ন হলো যে পাঁচ টা রেস্টুরেন্টে মদ ও হালাল খাবার দুইটাই বিক্রি করে সেই রেস্টুরেন্টে যে হালাল খাবার বানায় অথবা কেও ক্লিনার কেও আবার দারোয়ান তাদের কাজের সাথে মদের সাথে কোনো সম্পর্ক নাই তাদের উপার্জন কি হালাল হবে?

উক্ত প্রশ্ন ৩ টি রেফারেন্স সহ উত্তর দিয়ে আমাদের সমস্যার সমাধান দেওয়ার জন্য অনুরোধ রইলো,আমি iom এর ২১৫ ব্যাচের একজন ছাত্র।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


মদ বিক্রয় করা, অর্থের বিনিময়ে বহন করা অথবা এ ক্ষেত্রে কোন প্রকার সহযোগিতা করা হারাম।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ جَابِرٍ أَنَّه سَمِعَ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ يَقُولُ عَامَ الْفَتْحِ وَهُوَ بِمَكَّةَ : «إِنَّ اللّٰهَ وَرَسُوْلَه حَرَّمَ بَيْعَ الْخَمْرِ وَالْمَيْتَةِ وَالْخِنْزِيرِ وَالْأَصْنَامِ». فَقِيلَ : يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ! أَرَأَيْتَ شُحُومَ الْمَيْتَةِ؟ فَإِنَّه تُطْلٰى بِهَا السُّفُنُ وَيُدْهَنُ بِهَا الْجُلُودُ وَيَسْتَصْبِحُ بِهَا النَّاسُ؟ فَقَالَ : «لَا هُوَ حَرَامٌ». ثُمَّ قَالَ عِنْدَ ذٰلِكَ : «قَاتَلَ اللّٰهُ الْيَهُودَ إِنَّ اللّٰهَ لَمَّا حَرَّمَ شُحُومَهَا أَجْمَلُوهُ ثُمَّ بَاعُوهُ فَأَكَلُوا ثَمَنَه». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন মক্কা বিজয়ের বৎসর, সেখানে অবস্থানকালে আল্লাহ ও তাঁর রসূল মদ বিক্রি, মৃতজীব বিক্রি, শূকর বিক্রি, কোনো প্রকার মূর্তি বিক্রি হারাম করে দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! মৃত জীবের চর্বি নৌকায় (বিভিন্ন চামড়াজাত দ্রব্যে) লাগানো হয় এবং লোকেরা তা দিয়ে বাতি জ্বালিয়ে থাকে, তা বিক্রি করা সম্পর্কে আপনার সিদ্ধান্ত কি? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তা-ও বিক্রি করা যাবে না, এটাও হারাম। অতঃপর এর সাথে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ কথাও বললেন, আল্লাহ তা‘আলা ইয়াহূদী জাতিকে ধ্বংস করুন। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তাদের জন্য যখন (হালাল যাবাহকৃত জীবেরও) চর্বি হারাম করলেন, তখন তারা (অবাধ্য হয়ে কৌশল অবলম্বন করে) তা গলিয়ে বিক্রি করতে লাগলো ও এর মূল্য ভোগ করতে থাকলো। 
সহীহ : বুখারী ২২৩৬, মুসলিম ১৫৮১, আবূ দাঊদ ৩৪৮৬, নাসায়ী ৪২৫৬, তিরমিযী ১২৯৭, ইবনু মাজাহ ২১৬৭, আহমাদ ১৪৪৯৫, ইরওয়া ১২৯০।

যে কোন বিষয়ের ‘হারাম হওয়া’ সাব্যস্ত হলে সে বিষয়ে সহযোগিতা করাও হারাম। যেমন- কোন রেস্টুরেন্টে মদ, মৃতজন্তু, বন্য গাধার গোশত ইত্যাদি পরিবেশন করার কাজ করা।

সৌদি আরবের ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যে সকল হোটেলে শূকরের গোশত, মদ পরিবেশন করা হয় সে হোটেলে চাকুরি করা জায়েয কি না? তারা উত্তরে বলেছেন, এ সকল হোটেলে কাজ করা হারাম। সেখানে কাজ করে যা উপার্জন করা সেটাও হারাম। কেননা এটা অবৈধ বা হারাম কাজে সহযোগিতা। হারাম কাজে সহযোগিতা করা আল্লাহ নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, “মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগিতা করো না।”[সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ২]
তাই আমরা আপনাকে উপদেশ দিচ্ছি- আপনি এ জাতীয় হোটেলে চাকুরি করা পরিহার করুন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যা হারাম ও অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন তা করতে কাউকে সাহায্য সহযোগিতা করবেন না।[ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্র (১৩/৪৯)]
,
(০১)
যে ৫ টা রেস্টুরেন্টে হালাল খাবার বিক্রি করে সেখানে যারা কাজ করে তাদের উপার্জন হালাল হবে।
,
(০২)
এক্ষেত্রে ওয়েটারের কাজ যেহেতু হালাল হারাম মিশ্রিত, তাই তাদের উপার্জিত টাকাও হালাল হারাম মিশ্রিত হবে।
সুতরাং এটিকে বৈধতা দেওয়া যায়না।
,
(০৩)
এমন রেস্টুরেন্টে কাজ করা যাবে, তবে সেখানে হারাম বস্তুসামগ্রী বহন, সংরক্ষণ, পরিবেশনের কাজ করা জায়েয হবে না।

সুতরাং যারা হালাল খাবার বানায়,তাদের ইনকাম জায়েজ।
যারা দারোয়ানের চাকুরী করে,তাদের ইনকাম জায়েজ।
যারা ক্লিনার,তাদের ইনকাম জায়েজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
উস্তাদ জি! অনলাইনে বাইনানসে ট্রেডিং করা কি হারাম??

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...