আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,144 views
in সালাত(Prayer) by (4 points)
ফজরে অনেক সময় ই ওয়াক্তের মধ্যে জাগতে পারি না। হুট করে যদি নিষিদ্ধ সময়ে উঠতে পারি আর তখন নামাজ পড়ি তবে কি নামাজ হবে.?? নাকি নিষিদ্ধ সময় শেষ হলে কাযা পড়বো.? আমি জানি আসরের সময় এমন হলে ওযরের জন্য নামাজ পড়তে না পারলে নিষিদ্ধ সময়ে নামাজ ওইদিনের টা পড়া যায়।  ফজরেও কি এমন নিয়ম আছে.?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: لَا يَتَحَرّى أَحَدُكُمْ فَيُصَلِّيَ عِنْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَلَا عِنْدَ غُرُوبِهَا وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ: إِذَا طَلَعَ حَاجِبُ الشَّمْسِ فَدَعُوا الصَّلَاةَ حَتّى تَبْرُزَ. فَإِذا غَابَ حَاجِبُ الشَّمْسِ فَدَعُوا الصَّلَاةَ حَتّى تَغِيْبَ وَلَا تَحَيَّنُوا بِصَلَاتِكُمْ طُلُوْعَ الشَّمْسِ وَلَا غُرُوْبَهَا فَإِنَّهَا تطلع بَين قَرْنَيِ الشَّيْطَانِ.

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন সূর্য উদয়ের ও অস্ত যাওয়ার সময় সালাত আদায়ের জন্য অন্বেষণ না করে।

 অপর একটি বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেছেন, ‘‘যখন সূর্য গোলক উদিত হয় তখন সালাত  ত্যাগ করবে, যে পর্যন্ত সূর্য বেশ স্পষ্ট হয়ে না উঠবে। ঠিক এভাবে আবার যখন সূর্য গোলক ডুবতে থাকে তখন সালাত আদায় করা থেকে বিরত থাকবে, যে পর্যন্ত সূর্য সম্পূর্ণভাবে ডুবে না যায়। আর সূর্য উঠার ও অস্ত যাওয়ার সময় সালাতের ইচ্ছা করবে না। কারণ সূর্য শায়ত্বনের (শয়তানের) দু’ শিং-এর মধ্যখান দিয়ে উদয় হয়।

(বুখারী ৫৮৫, ৩২৮৩, মুসলিম ৮২৮,মিশকাতুল মাসাবিহ ১০৩৯)

বাদাইউস সানায়ে' গ্রন্থে এসেছে  

ولا یتصور أداء الفجر مع طلوع الشمس عندنا، حتی لو طلعت الشمس وہو في خلال الصلاۃ تفسد صلاتہ عندنا۔ (بدائع الصنائع، الصلاۃ / بیان الوقت المکروہ ۱؍۳۲۹ زکریا)

অনুবাদঃআমাদের নিকটে সূর্য উদিত হওয়ার সময় ফজর নামাজ আদায় করা জায়েজ নেই। যদি ফজরের নামাজ পড়াকালীন সূর্য উদিত হয়ে যায়,তাহলে আমাদের নিকটে তার নামাজ ফাসেদ (বাতিল) হয়ে যাবে।

শরীয়তের বিধান হলো যদি ফজরের নামাজ পড়তে পড়তে সূর্য উদিত হয়ে যায়, তাহলে সেই নামাজ বাতিল হয়ে যাবে,পরবর্তীতে  আবার কাজা আদায় করতে হবে।      ইশরাক নামাজের ওয়াক্তেও তার কাজা আদায় করতে পারবে।যদিও শেষ বৈঠক চলাকালীন সূর্য উদিত হোক,তারপরেও তার নামাজ বাতিল হয়ে যাবে।  

(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১৩১ আপকে মাসায়েল  আওর  উনকা  হল  ২/২৪৬)

কেহ যদি সূর্য হলুদ হয়ে যাওয়ার পর ঐ দিনের আছর নামাজ পড়বে,তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে।এমনকি কেউ যদি সূর্যাস্তের পূর্বে ঐ দিনের আসরের নামাযে দাড়িয়ে যায়,নামাজ শুরু করে, অতঃপর নামাযের মধ্যেই সূর্যাস্ত হয়ে যায়,তাহলে তার নামায ফাসিদ হবে না।(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১৫৪)  আরো জানুনঃ

https://ifatwa.info/4450/

সালাতের নিষিদ্ধ সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ 

https://ifatwa.info/8098/

★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই নামাজ সূর্যদয়ের পরে কাজা আদায় করতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...