আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
509 views
in সালাত(Prayer) by (45 points)
১। যদি আমি ভুলে ৫ সেকেন্ডের বেশি চুপ থাকি,মানে খেয়াল ছিল না।নামাজ কি ফাসিদ হয়ে গিয়েছে?

২। যদি নামাজে একটা হরফ উচ্চারণের চেষ্টা করি।কিন্তু ঠিক মতো উচ্চারন না হয়ে নরমাল টাইপ ( যেমন " 'আইন " এর জায়গায় "আলিফ" উচ্চারন হয়ে যায়।আমি আবার ফেরত না যাই।নামাজ হবে?

৩। আসরের ফরয আদায়ের পরের সময় তো সালাত আদায় করা নিষিদ্ধ। আমি কি উমরি কাজা, নরমাল কাজা, অথবা দুখুলুল মাসজিদ পড়তে পারব?
৪। আমি যদি আসরের পূর্বে ৪ রাকাত সুন্নাত না পড়ে, নফল আদায় করি, আমার কি গোনাহ হবে?

৫। দুখুলুল মাসজিদ আদায় করা, আর সুন্নাতে যায়িদা আদায় করার মধ্যে কোনটাকে বেশি প্রায়োরিটি দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (706,240 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)নামাযে তিন তাসবীহ পরিমাণ চুপ থাকার কারণে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৩১; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১২২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৭৩; বাদায়েউস সানায়ে ১/৪০২; শরহুল মুনইয়াহ পৃ. ৪৬৫; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৩৩৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৭৪৭; আদ্দুররুল মুখতার ২/৯৩ ও ১/৪৫৬।

সুতরাং আপনি যদি তিনবার সুবহানাল্লাহ বলার সমপরিমাণ সময় চুপ থাকেন,তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।নতুবা হবে না।পাঁচ সেকেন্ডে যেহেতু তিনবার ধীরস্থীরে তিনবার সুবহানাল্লাহ বলা সম্ভব নয়,তাই এক্ষেত্রে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।

(২)যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

একবার উচ্ছারিত হয়ে গেলেই নামায ফাসিদ হয়ে যায়।দ্বিতীয়বার দোহড়িয়ে নিলেও আর নামায বিশুদ্ধ থাকবে না।বিস্তারিত জানুন- 4350


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

(৩)ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ليس للقضاء وقت معين بل جميع أوقات العمر وقت له
কা'যা নামায পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ওয়াক্ত নেই।বরং জীবনের সকল মূহুর্তই কা'যা নামাযের ওয়াক্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২১)বিস্তারিত জানুন- 1604

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আসরের পর উমরী কাযা বা কাযা নামায পড়তে পারবেন।তবে দুখুলুল মসজিদ পড়তে পারবেন না।

(৪)আসরের ফরযের পূর্বে আসরের সুন্নত পড়াই উচিৎ।নফল পড়লেও আদায় হবে, গোনাহ হবে না।তবে এমনটা করা উচিৎ হবে না।

(৫)দুখুলুল মসজিদকে প্রদাণ্য দিবেন।কেননা দুখুলুল মসজিদ সম্পর্কে বিশেষ ভাবে অনেক তাগিদ এসেছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...