বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জবাবঃ-
আমি জবাব প্রদানের পূর্বে অনুরোধ করবো,আমার এ ক্ষুদ্র লিখা পড়ার পূর্বে মুফতি তাকি উসমানি দাঃবাঃ কর্তৃক রচিত "ইতিহাসের কাটগড়ায় হযরত মুওয়াবিয়া রাযি" কিতাবখানা অধ্যয়ন করবেন।উক্ত কিতাবখানা অধ্যয়ন করলে এসম্পর্কের যাবতীয় আলোচনা আপনার সামনে পরিস্কার হয়ে যাবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
হযরত মুওয়াবিয়া রাযি ইয়াযিদকে রাজতন্ত্র প্রতিষ্টার জন্য মনোনয়ন দেননি,বরং উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ বিবেচনায় তিনি ইয়াযিদকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন।
(২)
উভয়-ই হক্বের দাবীদ্বার ছিলেন।তাদের উভয়ের ইজতেহাদ বা চিন্তাভাবনার মধ্যে কারো ভুল ছিল না।হ্যা, পরবর্তী ফলাফল হিসেবে একজনের সঠিক ছিল।
(৩)একটি যুদ্ধ হয়েছিল।যার নাম সিফফিনের যুদ্ধ।
সিফফিনের যুদ্ধ সম্পর্কে উইকিপেডিয়াতে লিখা রয়েছে যে,
এই দুই বাহিনী ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে সিফিনে নিজেদের ঘিরে রাখে, সংঘর্ষ এড়ানোর চেষ্টা করে এবং আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা করে। আলীর সেনাবাহিনীতে কুরার, যাদের নিজস্ব শিবির ছিল, তারা ২৬ জুলাই থেকে যুদ্ধ শুরু করে এবং যুদ্ধ তিন দিন স্থায়ী হয়। ঐতিহাসিক ইয়াকুবি তার তারিক আল-ইয়াকুবিতে লিখেছেন যে আলীর ৮০,০০০ লোক ছিল যার মধ্যে ৭০ জন বদরের যুদ্ধে লড়েছিল, ৭০ জন হুদাইবিয়াতে বাইয়্যাতে রেদয়ান গ্রহণ করেছিল এবং ৪০০ বিশিষ্ট আনসার ও মুহাজিরুন; যেখানে মুয়াবিয়ার নেতৃত্বে ১২০,০০০ সিরীয় নাগরিক ছিল।(শেষ)
(৪) উভয় পক্ষের-ই শহীদ হিসেবে গণ্য হবেন।
(৫)হোসেইন রাঃ খেলাফতের বিদ্রোহ করেছিলেন, এটা সঠিক নয়।