আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
206 views
in সালাত(Prayer) by (23 points)
আসসালামু  আলাইকুম।

আমার ওয়াসওয়াসা, বদনজর ও জীনের প্রবলেম আছে।

তিলাওয়াত করতে গেলে আমি প্রচুর বাধাপ্রাপ্ত হই।শ্বাষকষ্ট হয়,জিহ্বা ভার হয়ে যায় মোটকথা তিলাওয়াত করতে খুব কষ্ট হয়। সেজন‍্য আমি সালাত পড়তে পারি না। সালাতে দাড়ালেও বিভিন্ন ধরনের সমস‍্যা দেখা যায়।দেখা গেছে আমি কয়েকমাস সালাত আদায় করতে পারিনি একারণে। আর এখন চেষ্টা করছি সালাত পড়ার কিন্তু তাও ২/৩ ওয়াক্তের বেশি পড়তে পারিনা। আর সালাত তো এক ওয়াক্ত ও ছাড়া যাবেনা।
১)এমতবস্থায় আমার করণীয় কি?

২)এই অবস্থায় সালাত ত‍্যাগকারীর বিধান কি?

৩)আমি যে এই সমস‍্যার জন‍্য যে সালাতগুলো ত‍্যাগ করে ফেলেছি সেগুলোর জন‍্য আমি কি করতে পারি?

(আমি এখনো এই সমস‍্যাতে আক্রান্ত,সুস্থ হবে হইনি )

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379  নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনাকে শয়তান ওয়াসওয়াসা দিচ্ছে। ওয়াসওয়াসা আসার সাথে সাথেই আপনি পড়ে নিবেন, "আউযু বিল্লাহি মিনাশ-শাইত্বানির রাজিম"
এবং সম্ভব হলে দু' রা'কাত নামায পড়ে নিবেন।

(১)
আপনি পুরুষ হলে, মসজিদেই সর্বদা নামায পড়বেন।আর মহিলা হলে, ঘরে মাহরাম পুরুষকে নিয়ে যথাসম্ভব জামাতে নামায পড়ার চেষ্টা করবেন। আর সম্ভব না হলে, যেভাবে সম্ভব সেভাবেই নামায পড়বেন।নামায পরিত্যাগ করতে পারবেন।বরং যেকোনো ভাবেই আপনাকে নামায পড়তে হবে। তিলাওয়াতের সময় ওয়াসওয়া আসলেও নামাযকে ত্যাগ করা যাবে না।

(২)
সাধারণ অবস্থায় সালাত ত্যাগকারীর যে কিধান,সেই বিধানও এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

(৩)
আপনি এখন উক্ত নামাযগুলির কাযা আদায় করবেন।কাযা আদায় করা এখন আপনার উপর জরুরী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,260 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 169 views
0 votes
1 answer 327 views
+1 vote
1 answer 639 views
...