আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in সালাত(Prayer) by (19 points)
১. আমার গ্যস্ট্রিকের সমস্যা।। নামাজ বার বার ছুটে যায়। আমি ১অজুতে পুর্ণ ওয়াক্ত নামাজ পড়বো কিনা জানতে মাযুর পরীক্ষা করবো। এজন্য কি আমাকে ১ ওয়াক্ত সম্পুর্ন চেষ্টা করে যেতে হবে?

অর্থাৎ,  যখনই অজু ছুটে যায় নামাজ ভেঙে অজু করে আবার নামাজে পুনরায় শুরু করবো। এভাবে পুর্ণ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে থাকব,যদি কোন একবারও অজু ভাঙা ছাড়া নামাজ পড়া না যায় তাহলে আমি মাযুর।
আর যদি ৫/৬ বার নামাজ ভাঙার পর একবার অজু ছুটা ব্যাতিত নামাজ পড়ে ফেলি তাহলে মাযুর হব না।

বিষয়টি কি এমন? অর্থাৎ আমি কিভাবে মাযুর নিশ্চিত হব?

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

https://ifatwa.info/2602/   নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

প্রিয় ভাই! আপনি মাযূর কি না? তা পরীক্ষা করার সহজ উপায় নিম্নে তুলে ধরা হলো,  যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক ভাবে আপনার বায়ু বের হতে থাকে। যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট ধারাবাহিক বায়ু নির্গত হতে থাকে।

কোনো একটি সময় এমন না পান যে আপনি অযু করে ছোট তেলাওয়াত দিয়ে  আপনার শুধু ফরজ নামাজটি পড়তে পারেন, তাহলে এমতাবস্থায় আপনাকে মা'যুর বলে গণ্য করে মা'যুরের হুকুম আপনার উপর আরোপ করা হবে।

মাজূর ব্যক্তির বিধান হল, প্রতি নামাযের সময় হবার পর একবার অজু করা আবশ্যক। পরের নামাযের সময় আসা পর্যন্ত অজু পেশাব ঝরা ছাড়া অজু ভঙ্গের আর কোন কারণ না হলে অজু ভঙ্গ হবে না। বরং উক্ত অজু দিয়ে যত ইচ্ছে নামায পড়া যাবে, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি সব ইবাদতই করা যাবে। মন ছোট করা বা নিজেকে নাপাক মনে করার কোন প্রয়োজন নেই।

উদাহরণযোহর নামাযের সময় হয় কথার কথা ১২ টা সময়। আর আসর সময় হয় ৪ টা সময়। আপনি ১২ টা সময় অজু করলেন। এখন এ অজু দিয়ে ৪টা পর্যন্ত ফরজ নামায এবং যত ইচ্ছে নফল নামায, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি সকল ইবাদত করতে পারবেন। বায়ু বের হতে  থাকায় নতুন করে অজু করার কোন প্রয়োজন নেই।

কিন্তু যদি এর মাঝে আপনার অন্য কোন কারণে অজু ভঙ্গ হয়, যেমন পায়খানা করলেন, তাহলে আবার নতুন করে অজু করতে হবে। এ অজুও আসর নামায পর্যন্ত বাকি থাকবে।

আবার আসর সময় হয়ে গেলে সেই অজু ভেঙ্গে যাবে। নতুন করে অজু করলে তা থাকবে মাগরিব পর্যন্ত। আবার মাগরিব সময় হয়ে গেলে নতুন করে অজু করতে হবে। এভাবে প্রতি নামাযের জন্য একবার করে অজু করতে হবে। এক অজু দিয়ে সেই নামাযের সময় থাকতে সর্ব প্রকার ইবাদত করা যাবে। নতুন করে অজু করার প্রয়োজন নেই।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ   

وصاحب عذر من به سلس) بول لا يمكنه إمساكه (أو استطلاق بطن أو انفلات ريح أو استحاضة) أو بعينه رمد أو عمش أو غرب، وكذا كل ما يخرج بوجع ولو من أذن وثدي وسرة (إن استوعب عذره تمام وقت صلاة مفروضة

بأن لا يجد في جميع وقتها زمنا يتوضأ ويصلي فيه خاليا عن الحدث (ولو حكما) لأن الانقطاع اليسير ملحق بالعدم (وهذا شرط) العذر (في حق الابتداء، وفي) حق (البقاء كفى وجوده في جزء من الوقت) ولو مرة (وفي) حق الزوال يشترط (استيعاب الانقطاع) تمام الوقت (حقيقة) لأنه الانقطاع الكامل.

وحكمه الوضوء) لا غسل ثوبه ونحوه (لكل فرض) اللام للوقت كما في – {لدلوك الشمس} [الإسراء: 78]- (ثم يصلي) به (فيه فرضا ونفلا) فدخل الواجب بالأولى (فإذا خرج الوقت بطل) أي: ظهر حدثه السابق، (الدر المختار مع رد المحتار، كتاب الطهارة، مطلب فى احكام المعذور-1/504-505

যার সারমর্ম হলো: যার কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক ভাবে পেশাব বের হতে থাকে, কোনো একটি সময় এমন না পায় যে সে অযু করে শুধু ফরজ নামাজটি পড়তে পারে, তাহলে এমতাবস্থায় তাকে মা'যুর বলে গণ্য করা হবে,,,


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 69 views
0 votes
1 answer 265 views
0 votes
1 answer 78 views
0 votes
1 answer 93 views
...