بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাব,
রাতে স্বামী-স্ত্রী সহবাস
করলে ভোরে ফজরের নামাযের আগে আগেই এবং দিনে সহবাস করলে পরবর্তী নামাজের পূর্বেই স্বামী-স্ত্রী
দুজনে গোসল করে নেয়া আবশ্যক। এ গোসলকে জানাবতের গোসল বলে এবং গোসল না করা পর্যন্ত নাপাকী
অবস্থায় থাকাকে জানাবতের অবস্থা বা জুনুবী হওয়া বলা হয়। জানাবত তথা ফরজ গোসলে যথেষ্ট
সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। স্বামী-স্ত্রী দুজনই যৌনাঙ্গের পবিত্রতার ব্যাপারে খুবই
যত্নবান হতে হবে।
জানাবাত হতে পবিত্র হওয়ার
পদ্ধতিকে বলে ফরজ গোসল।ফরজ গোসল ওই গোসলকে বলা
হয়, যা করা অপরিহার্য। বালেগ বয়সে
নাপাক হলে অর্থাৎ কারো স্বপ্নদোষ হলে বা স্বামী-স্ত্রীর মিলনে গোসল ফরজ হয়। আর তা থেকে
পবিত্রতা অর্জনের তাগীদ দিয়ে আল্লাহ বলেন:
وَإِن
كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُواْ
যদি তোমরা জুনুবি হও তবে
(গোসল করে) সারা দেহ পবিত্র করে নাও। (সূরা মায়েদাহ ৬)
আর জুনুবি বলা হয়, ওই ব্যক্তিকে যার বীর্য সবেগে ও উত্তেজনার সঙ্গে
বের হয়েছে।
যেমন, আল্লাহ তাআলা বলেন,
فَلْيَنظُرِ
الْإِنسَانُ مِمَّ خُلِقَ خُلِقَ مِن
مَّاءٍ دَافِقٍ
অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে,
সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে। (সূরা আত্ব-তারিক্ব ৫,
৬)
রাসূলুল্লাহ ﷺ আলী রাযি.-কে বলেছিলেন,
فَإِذَا
فَضَخْتَ الْمَاءَ فَاغْتَسِلْ
যদি উত্তেজনা বশতঃ বীর্য
নির্গত হয় তবে গোসল করবে। (আবুদাউদ ২০৬) অন্যথায় নয়।
إِنَّمَا
الْمَاءُ مِنَ الْمَاءِ
তথা পানি [বের হবার দ্বারা]
পানি {শরীরে ঢালা তথা গোসল] আবশ্যক হয়।
{সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৩৪৩}
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনি
ভাই!
সহবাসের পরে গোসল করা
ব্যতিত কোন অবস্থাতে সালাত আদায় করা জায়েয নেই। সহবাসের পর প্রতি বার গোসল করা আবশ্যক
নয়, তবে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পূর্বে
অবশ্যয় গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। অজু করে নেওয়া যথেষ্ট নয়।