আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
258 views
in সালাত(Prayer) by (21 points)
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته.

শাইখ,
**আজকে ফজরের স্বলাতের জন্য ঘুম থেকে উঠার পর দেখলাম সূর্যোদয় হতে যতটুকু সময় বাকি আছে ততটুকুতে ফ্রেশ হয়ে শুধু দুই রাকআত স্বলাত পড়া যাবে। সেজন্য আমি ফজরের ফরয স্বলাতটাই পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বলাত পড়ে নেই। তারপর নিষিদ্ধ ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর সুন্নত দুই রাকআত পড়ে নেই।

**একটা হাদীসে এরকম কিছু পড়েছিলাম যে, রসূলুল্লাহ্ (স্বল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজর ও মাগরীবের সুন্নত স্বলাতে সূরা ইখলাস ও সূরা কাফিরূন পড়তেন। হুবহু মনে নেই। (আল্লাহু আ'লাম)। সেজন্য এই আমল করার চেষ্টা করি, الحمد لله.

কিন্তু আজকে ফজরের ফর‍জ স্বলাতের ই ১ম রাকআতে সূরা ফাতিহার পর অন্য সূরা পড়তে গিয়ে মনে হলো সূরা ইখলাস পড়বো,সূরা কাফিরূন পড়তে গেলে সময় বেশি লাগবে (যেহেতু বড় মাদ্দ আছে বেশ কয়েক জায়গায়),ওয়াক্ত শেষ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এটা তো ফরজ স্বলাত পড়ছিলাম, সেখানে সুন্নত স্বলাতে যেই সূরাগুলা পড়ি সেগুলা থেকে কোন সূরা পড়বো সেটা ভাবছিলাম। (যদিও জানি যে ফরজ যেকোনো সূরাহ ই পড়া যাবে,ইনশাআল্লাহ।) কিন্তু আমি কি ভুলে ফজরের স্বলাতের নিয়ম ভেবে এমনটা ভেবেছিলাম নাকি সুন্নত স্বলাত ভেবেছিলাম সেটা মনে করতে পারছি না। কিন্তু যদিও সময় কম ছিলো দেখে আমি শুধু ফরজটুকুই পড়ার নিয়তে স্বলাত শুরু করেছিলাম।
(বি.দ্র. আমার ওয়াসওয়াসার সমস্যা আছে কিছুটা, বিশেষ করে স্বলাতে।
***
প্রশ্ন- সূরাহ নিয়ে এমন চিন্তার কারণে আমার স্বলাত কি নষ্ট হয়ে গেছে তাহলে? পুনরায় এই ফরজ দুই রাকআত কাযার নিয়তে আদায় করে নিতে হবে? নাকি স্বলাত ঠিক আছে, আদায় করা হয়ে গেছে?
***

1 Answer

0 votes
by (591,600 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/471 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ফজরের নামাযে এক রা'কাত পড়ার পর সূর্যোদয় হয়ে গেলে ঐ দিনের ফজরের নামায কি হবে? ইমাম শাফেয়ী রাহ, ইমাম মালিক রাহ,আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ এর মতে নামায হয়ে যাবে। তবে হানাফি মাযহাব মতে তখন নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

ইমাম সারখাসী রাহ ফজর আর আসরের এই বৈপরীত্য সম্পর্কে বলেনঃ
والفرق بينهما عندنا أن بالغروب يدخل وقت الفرض فلا يكون منافيا للفرض وبالطلوع لا يدخل وقت الفرض فكان مفسدا للفرض كخروج وقت الجمعة في خلالها مفسد للجمعة؛ لأنه لا يدخل وقت مثلها، ،
বঙ্গানুবাদঃ-ফজর আর আছরের মধ্যে পার্থক্য হল,যে সূর্যাস্তের মাধ্যমে ভিন্ন এক ফরয নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশ করছে,সুতরাং তা কোনো ফরয নামাযের খেলাফ বা বিরোধী হবে না।আর সূর্যোদয়ের মাধ্যমে ভিন্ন কোনো নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশ করছে না।বিধায় সূর্যোদয়ের পর কোনো ফরয শুদ্ধ হবে না।বরং ফাসিদ হয়ে যাবে।যেমন জুমআর নামাযের সময় ওয়াক্ত চলে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা তখন কোনো ভিন্ন নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশ করছে না। (শেষ) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/6561

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যেহেতু সূর্যোদয়ের পূর্বে শুধুমাত্র ফরয পড়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন, এবং মাকরুহ ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর আপনি সুন্নত নামাযও পড়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন, তাই আমরা বলবো যে, পরিস্থিতি বিবেচনায় আপনার নামায পড়া বিশুদ্ধ হয়েছে। আপনার নামায হয়েছে। রাসূল সাঃ ফজরের সুন্নত নামাযের প্রথম রা’কাতে সূরায়ে কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরায়ে ইখলাছ পড়তেন। আপনি যেহেতু সময়ের সংকির্ণতার দরুণ ফরয নামাযেও সূরায়ে কাফিরুন এবং সূরায়ে ইখলাছ পড়েছেন, তাই আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়েছে। নামাযে কোনো প্রকার সমস্যা হবে না। আপনি যদি কিরাত নিয়ে চিন্তা করতে যেয়ে তিন তাসবিহ সমপরিমাণ সময় চুপ থাকেন, তাহলে আপনার উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (21 points)
শাইখ, আমি হয়তো প্রশ্নটা গুছিয়ে লিখতে পারিনি। মাফ করবেন আমাকে।
ব্যাপারটা এমন ছিলো যে, আমি ফরজ স্বলাতে এমনভাবে সূরা কাফিরূন ও সূরা ইখলাসের মাঝে কোন সূরা পড়বো ভাবছিলাম, যেনো আমি সুন্নত স্বলাত পড়ছি! 
সেজন্য দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলাম, এরকম ভাবনার জন্য স্বলাত বাতিল হয়ে যাবে কিনা।
অনুগ্রহ করে একটু জানাবেন এরকম ভাবনা সত্ত্বেও কি আমার স্বলাত সহিহভাবে আদায় করা হয়ে গেছে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 306 views
...