ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم
" ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯) আরো জানুন-
https://www.ifatwa.info/3747
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সাথে তাদের যে ভাবে আলোচনা হয়েছে সেভাবেই আপনাকে টিউশনি করাতে হবে। যদি দেড় ঘন্টা পড়ানোর আলোচনা হয়ে থাকে, তাহলে আপনাকে দেড় ঘন্টাই পড়াতে হবে। এক ঘন্টা বা আধ ঘন্টা পড়ালে হবে না। বরং পূর্ণ দেড় ঘন্টাই পড়াতে হবে। এখন যদি আপনি কমবেশ করতে চান তাহলে তাদের সাথে আলোচনা করেই কমবেশ করতে হবে।
(২)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
ফেকহী মূলনীতি
إذَا اجْتَمَعَ الْحَلَالُ وَالْحَرَامُ غَلَبَ الْحَرَام
যখন হালাল এবং হারাম কোনো এক বিষয়ে একত্রিত হবে তখন হারামই বিজয়ী হবে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর-১/৯৩)
উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে প্রচলিত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স সম্পর্কে আমরা এ সিদ্ধান্তে পৌছতে সক্ষম হবো যে,ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স সম্পর্কে অনেক রকম আলোচনা পাওয়া যায়।একদিক দিয়ে চিন্তা করলে হালাল মনে হয় আর অন্যদিক দিয়ে চিন্তা করলে হারাম মনে হয়।সুতরাং যদিও এটা জায়েয, তবে ব্যবহার না করাই উত্তম। আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
(৩)
প্রথমে দেখতে হবে এন,জি ও প্রতিষ্টান কোন খাত থেকে উক্ত অফার দিচ্ছে। যদি হালাল খাত থেকে দেয়, তাহলে ধনী গরীব সবার জন্য বৈধ হবে। আর যদি হারাম খাত থেকে দেয় বা নির্দিষ্ট ভাবে জানা না যায়, তাহলে ধনী ছাত্রদের জন্য জায়েয হবে না। হ্যা, অবশ্যই গরীব ছাত্রদের জন্য জায়েয হবে।