ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
يُشْتَرَطُ لِوُجُوبِ الإِْنْفَاقِ عَلَى الأُْصُول مَا يَأْتِي
নিম্নবর্ণিত মূলনীতির আলোকে নাফক্বাহ ওয়াজিব হবে।
أ - أَنْ يَكُونَ الأَْصْل فَقِيرًا أَوْ عَاجِزًا عَنِ الْكَسْبِ، فَلاَ يَجِبُ عَلَى الْفَرْعِ نَفَقَةُ أَصْلِهِ إِنْ كَانَ أَصْلُهُ غَنِيًّا أَوْ قَادِرًا عَلَى الْكَسْبِ، لأَِنَّهَا تَجِبُ عَلَى سَبِيل الْمُوَاسَاةِ وَالْبِرِّ، وَالْقَادِرُ عَلَى الْكَسْبِ كَالْمُوسِرِ مُسْتَغْنٍ عَنِ الْمُوَاسَاةِ
(ক)পিতা-মাতা সহ সমস্ত উসূল বা মূল জ্বড়(বাপ-দাদা তার এবং উপরের জন) গরিব, উপার্জনে অক্ষম হওয়া শর্ত।সুতরাং উসূল ধনী বা উপার্জনে সক্ষম অবস্থায় ফুরু' বা সন্তানাদির উপর না নাফক্বাহ দেওয়া ওয়াজিব হবেনা।তখন নেকী অর্জন ও আত্মীয়তার বন্ধনকে দৃঢ়তর করতে নাফক্বাহকে ওয়াজিব করা হবে।(যাকে মুস্তাহাব বলা যাবে)
ب - أَنْ يَكُونَ الْفَرْعُ مُوسِرًا وَهَذَا بِاتِّفَاقِ الْفُقَهَاءِ، أَوْ قَادِرًا عَلَى التَّكَسُّبِ وَهُوَ مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ الْحَنَابِلَةُ وَهُوَ الأَْصَحُّ عِنْدَ الشَّافِعِيَّةِ، وَالرِّوَايَةُ الَّتِي جَزَمَ بِهَا صَاحِبُ الْهِدَايَةِ عِنْدَ الْحَنَفِيَّةِ (٣) ، وَأَنْ يَكُونَ فِي مَالِهِ أَوْ كَسْبِهِ فَضْل عَنْ نَفَقَةِ نَفْسِهِ وَوَلَدِهِ وَامْرَأَتِهِ، فَإِنْ لَمْ يَفْضُل مِنْهُ شَيْءٌ لاَ تَجِبُ عَلَيْهِ النَّفَقَةُ
(খ) ফারা' বা সন্তানাদি ধণী হওয়া। এটা সমস্ত উলামায়ে কেরামদের অভিমত।(আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়-৪১/৭৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঐ ব্যক্তির উপর তার স্ত্রীর ভরণপোষন আদায় করা এবং জরুরী প্রয়োজনাদি আদায় করা ওয়াজিব। কিন্তু মাতাপিতা ধণী হলে মাতাপিতাকে টাকা দেওয়া তার উপর ওয়াজিব নয়। সুতরাং সে তার পরিবার কে সচ্ছল রাখতে মাতাপিতাকে আরো কমিয়ে দিতে পারবেন। শরীয়ত তাকে সে অধিকার দিবে। সুতরাং সে মাতাপিতা কে দশ না দিয়ে তার চেয়ে কম দিতে পারবে, তার জন্য তা বৈধ হবে।