আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
211 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
edited by

Assalamu alaikum shaikh

1.আমার দাত গুলো খুব আকাবাকা হওয়ায় দেখতে খারাপ লাগে. বিশেষ করে সামনের পাটির দাঁতগুলো  একটু উঁচু  হওয়ায় অনেক ক্লাসমেট আমাকে টিটকারী দেয়  আমার খুব খারাপ লাগে   ছোট বেলা আমার গাফিলতিতেই আমার দাত গুলো আঁকাবাঁকা হয়েছে  . আমি ভাবি কখনো আমি যদি বিয়ে করি , আমার স্বামিও আমাকে নিয়ে হাসে তখন আরো খারাপ লাগবে.আমি যদি ডেন্টিস্ট এর কাছে গিয়ে দাঁত  সোজা করি তাহলে কি গুনাহ হবে?এজন্য দাঁত এ যে ব্রেস পড়তে হবে তাতে টি ওজুতে কোনো সমস্যা হবে  ?
2.আমার মামা বিমানের একজন কর্মচারী. বিমানে উঠার সময় কাস্টমস এর লোকজন যাত্রীদের অনেক জিনিষ পত্র (যেমন খাবার,শার্ট,জুতা)এগুলো ফেলে দেয়. আমার মামা ওগুলো নিয়ে এসে আমাদের দেয়. এগুলো আমাদের জন্য হালাল হবে কি?এগুলো যদি তাদের হক থাকে তাহলে কি আমরা এগুলো নিয়ে গুনাহগার হব?
3.কারো জন্য কি  আল্লাহর কাছে এরূপ  দুয়া করা জায়েজ "আল্লাহ আমার জীবন এর বিনিময়েও তাকে বাঁচাও"?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

https://www.ifatwa.info/11239 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
বিজ্ঞ উলামায়ে কেরাম জায়েয পরিবর্তন ও নাজায়েয পরিবর্তন সম্পর্কে মূলনীতি উল্লেখপূর্বক বলেনঃ
(ক)
জায়েয শারীরিক পরিবর্তনঃ
যদি কোনো মানুষ কষ্ট দূরীকরণার্তে বা কোনো দোষ দূরীকরণার্তে চায় উক্ত দোষ নিজের মাধ্যমে আসুক বা কোনো অসুস্থতা বা দুর্ঘটনাজনিত হোক তাহলে এমতাবস্থায় শারীরিক পরিবর্তন জায়েয।
যেমন উরফুজা ইবনে আস'আদ রাযি থেকে বর্ণিত 
عن ﻋﺮﻓﺠﺔ ﺑﻦ ﺃﺳﻌﺪ ﺃﻧﻪ ﻗﻄﻊ ﺃﻧﻔﻪ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻜُﻼﺏ، ﻓﺎﺗﺨﺬ ﺃﻧﻔﺎً ﻣﻦ ﻓﻀﺔ ﻓﺄﻧﺘﻦ ﻋﻠﻴﻪ، ﻓﺄﻣﺮﻩ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﺎﺗﺨﺬ ﺃﻧﻔﺎً ﻣﻦ ﺫﻫﺐ
কিলাবের যুদ্ধে উনার নাক কর্তিত হয়ে যায়,তখন তিনি রূপার নাক তৈরী করে লাগিয়ে নেন।কিন্তু উক্ত নাকে দুর্গন্ধ হয়ে যায়,যে জন্য নবীজী সাঃ উনাকে সর্ণের নাক বাধার অনুমিত প্রদান করেন।অতঃপর তিনি সর্ণের নাক বেধে নেন।
সুনানে তিরমিযি-১৭৭০;

বিস্তারিত উক্ত লিংকে দেখুন। 

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি ডেন্টিস্ট এর কাছে গিয়ে দাঁত সোজা করতে পারবেন।
গুনাহ হবেনা।

অযুতেও কোনো সমস্যা হবেনা।
,
(০২)
এটি জায়েজ নেই।
এগুলো সেখান থেকে আনবেনা।
যদি নিয়ে আসে,তাহলে এগুলো মূল মালিকের কাছে ফেরত দিতে হবে।
ফেরত দেওয়া সম্ভব না হলে সমপরিমাণ টাকা ঐ মালিকের ছওয়াবের লক্ষ্যে সদকাহ করে দিবে।
,
(০৩)  
 না,এমন দোয়ার অনুমতি নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...