আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
530 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (75 points)
edited by
১/ আমার এক বন্ধু আমাকে বলে সে আগে দ্বীন সম্পর্কে গাফেল ছিল।pornography,হস্তমৈথুন করত।সে তওবা করে এখন দ্বীনের কাজ লরে।সে আমাকে বলে আগে অনেক সময় তার মায়ের উলংংগ দৃশ্য অনপক সময় কল্পমায় চলে আসত।তখন হয়তো তার লিংংগ দারাত কিন্তু তার এখন মনে প্রবল ধারনা যে কোনো সময়ই তার মাকে নিয়ে এসব চিন্তা আসলে সে মনে এটা থাকতে দিত না।যার জন্য লিংগ না দারানোর সমভাবনা বেশি।এখন সে এটাকে কী ওয়াসওয়াসা হিসেবে নিবে না হুরমত।

২/ হুরমত সাব্যস্ত করতে কী নারীকে স্পর্শ করতে হয়।নাকি অন্তরে কল্পনা করলেই হয়ে যায়।কারন ওয়াসওয়াসার কারনেও অন্তরে এই কল্পনা হয়।

৩/ সে গতকাল রাতে তার মাকে জরিয়ে ধরে কান্না করে।আজ সকালে সে আমাকে ফোন দিয়ে বলে যে মনে হয় গতকাল রাতে তার মাকে জরিয়ে ধরার সময় তার লিংংগ দারিয়ে যায় সে এখন লিছু মনে করতে পারছে না।এখন কর করবে।

৪/ অনেক সময় পিতা মাতার সহবাসের দৃশ্য মনে আসে।এটা কী হুরমত।না কী।

৫/ নিজের ছোট ২ বছরের বোনকে ঘুমের মধ্যে সহবাস করতে দেখলে কী হুরমত।নাকী কোনো গিনাহ হবে না

৬/হুরমতের ওয়াসওয়াসা কী

৭/ আমি কী সন্দেহের জন্য আমার মাহরামদের জিজ্ঞেস করব যে কখনো হুরনত মুসাহারাত হয়েছে কীনা আমার সাথে।।

৮/ কেউ যদি টয়লেটে প্রসাব করতে গিয়ে তার মনে চিন্তা আসে যে সে তার মায়ের গোপনাংংগে তার গোপনাংগ ঢুকাচ্ছে। এতে কী হুরমত সাব্যস্ত হবে।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছে 

أخبرنا إسماعیل بن عیاض، حدثنا سعید بن أبی عروبة، من قیس بن سعید، عن مجاهد في الرجل یفجر بالمرأة قال: إذا نظر إلی فرجها فلا یحله له أمها ولا بنتها، أخرجه محمد في الحجج أیضًا ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۲

যার সারমর্ম হলো যদি কেহ কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে সেই মহিলার মেয়ে বা তার মাকে সে কোনোদিন বিবাহ করতে পারবেনা।

وفى الدر المختار- والعبرة للشهوة عند المس والنظر لا بعدهما
وفى رد المحتار- ( قوله : والعبرة إلخ ) قال في الفتح : وقوله : بشهوة في موضع الحال ، فيفيد اشتراط الشهوة حال المس ، فلو مس بغير شهوة ، ثم اشتهى عن ذلك المس لا تحرم عليه (رد المحتار-كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/108)

যার সারমর্ম হলো স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়, তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। 

★দৃষ্টিপাতের মাধ্যমে হুরমত প্রমাণিত হওয়ার জন্য  অন্যতম একটি শর্ত হলোঃ
দৃষ্টিটি নিবদ্ধ হতে হবে মহিলার লজ্জাস্থানের খানিকটা ভিতরাংশে। শুধু উপরের অংশ দেখার দ্বারা হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবে না। আর পুরুষের ক্ষেত্রে শুধু লজ্জাস্থান দেখার দ্বারাই হুরমত সাবেত হবে।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে   

(لا) تحرم (المنظور إلى فرجها الداخل) إذا رآه (من مرآة أو ماء) لأن المرئي مثاله (بالانعكاس) لا هو (هذا إذا كانت حية مشتهاة) ولو ماضيا (أما غيرها) يعني الميتة وصغيرة لم تشته (فلا) تثبت الحرمة بها أصلا كوطء دبر مطلقا وكما لو أفضاها لعدم تيقن كونه في الفرج ما لم تحبل منه بلا فرق بين زنا ونكاح.(رد المحتار-4/108-109

যার সারমর্ম হলো আয়না বা পানির মধ্যে কাহারো লজ্জাস্থান দেখলে হুরকমে মুসাহারাত প্রমানীত হয়না।  
বিস্তারিত জানুনঃ  
.
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 

(০১)
এসব চিন্তা করা,এই চিন্তায় হস্তমৈথুন করা,এই চিন্তার সময় লিঙ্গ দাড়ানো,
উল্লেখিত কোনো ছুরতেই হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা। 
,
(০২)
হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হয় দুটোভাবে।
এক, স্পর্শ এর মাধ্যমে।
দুই, লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাতের মাধ্যমে।
 
অন্তরে কল্পনা করলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা। 
,   
(০৩)
স্পর্শ এর মাধ্যমে হুরমতে  মুসাহারাত প্রমাণিত হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম শর্ত হলোঃ
   
সরাসরি খালি গায়ে বা এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করতে হ এ, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। যদি এমন মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভূত না হয়, তাহলে নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।

فى الدر المختار- أو لمس ) ولو بحائل لا يمنع الحرارة

وقال ابن عبدين– ( قوله : بحائل لا يمنع الحرارة ) أي ولو بحائل إلخ ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة ، كذا في أكثر الكتب (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-3/107-108)

যার সারমর্ম হলো যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে,যেটা শরীরের গরমি ভাব অনুভব হয়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবে।  
,
আরো একটি শর্ত হলো স্পর্শ করার সময় উত্তেজনা আসতে হবে।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি  সে ব্যাক্তি তার মাকে এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে,যেটা শরীরের গরমি ভাব অনুভব হয়,স্পর্শ করার সময় নিজের ভিতর উত্তেজনাও আসে ,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবে।  
নতুবা হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা। 
,
(০৪)
না,এর দ্বারা হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা। 
.
(০৫)
না,এর দ্বারা হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা। 
কোনো গুনাহ হবেনা।
,
(০৬)
মনে বারবার এই চিন্তা আসা যে হুরমত হলো কিনা?
,
(০৭)
শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসা করবেননা।
তবে প্রবল ধারনা হলে অবশ্যই যাচাই করবেন।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...