ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا ) ،
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৬)
ভিন্ন এক সুত্রে বর্ণিত আছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : ( مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃযে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মিথ্যা বলা, ধোক দেওয়া, প্রতারণা করা এবং পণ্যর দোষ লুকিয়ে রাখা সবকিছুই হারাম ও নাজায়েয। এবং যে ইনকাম করা হবে তাও হারাম ইনকাম বলে বিবেচিত হবে। এমন ব্যক্তি অধীনে চাকুরী করলে যদি সে মিথ্যা বলতে বাধ্য করে তাহলে এমন চাকুরী করাও জায়েয হবে না। হ্যা, যদি সে কর্মচারীদেরকে মিথ্যা বলতে বাধ্য না করে, এবং কর্মচারীও মিথ্যা না বলে, তাহলে উক্ত চাকুরী বাবৎ যে বেতন নেওয়া হবে, তা অবশ্যই হারাম হবে না। তবে এর চেয়ে উত্তম চাকুরী তালাশ করা জরুরী। যতদিন না এর চেয়ে ভালো কোনো চাকুরীর ব্যবস্থা হচ্ছে, ততদিন উক্ত মালিকের অধীনে চাকুরী করা যাবে। কেননা এখানে ঐ কর্মচারী সে তার কাজের বিনিময় হিসেবে বেতন গ্রহণ করছে, তা নাজায়েয হবে না।