আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
409 views
in পবিত্রতা (Purity) by (48 points)
১৷ প্রসাব বা পায়খানা করবার পরে তা পরিস্কার করতে হাতে যেহেতু নাপাক লাগে, পানি দিয়ে হাত ডলে ধুয়ে ফেললেই কি পাক হবে? না সাবান অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে পাক করতে?

২৷ বাম হাত দিয়ে নাপাক পরিস্কার করবার পরে আমরা সাধারণত বাম হাতে সাবান নিয়ে হাতের তালুতে সাবান মাখিয়ে ধুয়ে ফেলি। কিন্তু হাতের তালুর অপর প্রান্তেও যদি নাপাক লাগে কিংবা কব্জিতে লাগে তবে তা শুধু বাম হাত দিয়ে পরিস্কার করা সম্ভব নয়৷ এক্ষেত্রে কি যেখানে সাবান পৌছায় না সেখানে পানি ঢেলে পরিস্কার হবে? না দুই হাত ব্যবহার করে সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করা জরুরি?

৩৷ আমাদের টয়লেটের দরজা টিনের তৈরি৷ দরজাতে শিকল আছে৷ বেশ আগে আমি নাপাক সম্পর্কে এতটা সচেতন ছিলাম না৷ সেসময়ে হয়তবা রাতে বিছানায় নাপাক হয়ে গেলে ওই হাতে দরজা ধরতে পারি কিংবা শিকল ধরতে পারি (আমি পুরোপুরি নিশ্চিত নয়) ৷ যেহেতু এটা অনেক আগের ঘটনা, আর তা পরে এতদিনে শুকনা হয়ে গেছে তাই ভেজা হাত লাগলে তার অস্তিত্ব হয়ত বোঝা যাবে না৷ কিংবা কোন গন্ধও পাওয়া যাবে না৷ আবার এত বড় টিনের দরজা পুরোটা তো ধোয়া সম্ভব নয়৷ ধুতে গেলে বাসার সবাই প্রশ্ন করবে৷ কোথায় না কোথায় লেগেছে পরিস্কার করবার তো উপায় নেই।

প্রশ্ন হচ্ছে, এখানে টিনের উপর নাপাক যদি সত্যিই লাগে তবে তা শুকিয়ে গেলে কি পাক হবে? এক্ষেত্রে কি আমি সবকিছু নরমালভাবে গ্রহণ করবো৷ মানে দরজা ধরতে মনের ওয়াসওয়াস দূর করে ফেলবো?

1 Answer

0 votes
by (60,180 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

হাতের কোথাও নাপাক লেগে গেলে শুধু ভালোভাবে ধুয়ে ফেললেই হবে; সাবান দেওয়া আবশ্যক নয়।

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا اسْتَيْقَظَ أَحَدُكُمْ مِنْ نَوْمِهِ فَلْيَغْسِلْ يَدَهُ قَبْلَ أَنْ يُدْخِلَهَا فِي وَضُوئِهِ، فَإِنَّ أَحَدَكُمْ لاَ يَدْرِي أَيْنَ بَاتَتْ يَدُهُ ".

আবূ হুরায়রা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে জাগে তখন সে যেন উযূর পানিতে হাত ঢুকানোর আগে তা ধুয়ে নেয়; কারণ তোমাদের কেউ জাননা যে, ঘুমন্ত অবস্থায় তার হাত কোথায় থাকে। (সহীহ বুখারী, ১৬৩)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১.পানি দিয়ে হাত ভালোভাবে ধুয়ে ফেললেই পাক হয়ে যাবে। সাবান ব্যবহার করা আবশ্যক নয়। তবে সাবান ব্যবহার করা উত্তম।

 

২.  শুধু পানি ঢেলে নাপাকির চিহ্ন পরিষ্কার করলেই পবিত্র হয়ে যাবে। এই ক্ষেত্রে দুই হাত ব্যবহার করে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা জরুরি নয়।

 

৩. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সবকিছু নরমাল ভাবে গ্রহন করবেন অর্থাৎ উক্ত দরজায় হাত দিলে হাত নাপাক হবে না। তবে যদি দরজার কোথাও দৃশ্যমান নাপাক লেগে থাকে তাহলে ভিন্ন কথা।

 

 

 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...