বিয়ের মধ্যে অভিভাবক কে রাজি রাখা হচ্ছে বরকত এবং কল্যাণের আলামত।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে বিয়ের মধ্যে অভিভাবক ছাড়া হয়েছে সেই বিয়ে বেশিদিন টিকে নাইঋ কিংবা পরবর্তীতে ঝামেলা হয়েছে।
পরবর্তীতে যখন ঝামেলা হয় তখন অভিভাবকগণও তাদেরকে বেশ গুরুত্ব দেয় না এবং তাদেরকে নিজেদের মাঝে ঝামেলা মিটিয়ে নিতে বলা হয়। যা একসময় স্বামী স্ত্রী উভয়ের মাঝে দ্বন্দ্ব ও বিবাদের সূচনা হয়।
সুতরাং সবচেয়ে কল্যাণময় হচ্ছে ওই বিয়ে, যেখানে অভিভাবক কে রাজি-খুশি করে তাদেরকে সাথে নিয়ে বিবাহ করা হয়।
এখন যদি কেউ অভিভাবক ছাড়া বিয়ে করে নেয়, এমতাবস্থায় বিয়ের অন্যান্য শর্ত যেমন দুজন পুরুষ সাক্ষী, অথবা একজন পুরুষ এবং দুজন মহিলা, ইজাব কবুল ইত্যাদি পাওয়া যায় তাহলে তার বিয়ে হয়ে যাবে।
তবে যদি পাত্র অথবা পাত্রী নিজের সমমান ব্যতীত নিম্নস্তরের কারো কাছে বিয়ে বসে ফেলে, তাহলে এক্ষেত্রে অভিভাবক যখন জানবেন তখন সাথে সাথে বিয়ে বিচ্ছেদ করার ক্ষমতা রাখবেন। যদি সাথে সাথে বিচ্ছেদ না করেন, তাহলে পরবর্তীতে আর এ ক্ষমতা থাকবে না। বরং বিবাহটা চিরস্থায়ী হয়ে যাবে।