আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,331 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (39 points)
আসসালামু আলাইকুম
কাজি ছাড়া কি বিয়ে সম্ভব?
(বিয়েতে ইজাব-কবুল হয়েছে, ২ জন সাক্ষী উপস্থিত ছিল বিয়েতে এবং বিয়েতে পাত্র-পাত্রীর মত ছিলো )

.................................................................................

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

,
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।


ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পাত্র পাত্রী বালেগ বালেগাহ হলে,তাদের একজন ইজাব আর আরেকজন কবুল বললে,এবং উক্ত দুইজন সাক্ষি বালেগ পুরুষ হলে বিবাহ ছহীহ বলে গন্য হবে।
কাজির উপস্থিতি জরুরী নয়।
,     
আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
“অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

উত্তরে এই হাদিসটি বললেন, 


আমাদের বিয়েতে অভিভাবক রাজি ছিলোনা.... 
দুইজন পুরুষ সাক্ষী, ইজাব-কবুল, মোহর ইত্যাদি বিষয় যথাযথ হয়েছে।। 

বিয়ে কি হয়েছে?
by
বিয়ের মধ্যে অভিভাবক কে রাজি রাখা হচ্ছে বরকত এবং কল্যাণের আলামত।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে বিয়ের মধ্যে অভিভাবক ছাড়া হয়েছে সেই বিয়ে বেশিদিন টিকে নাইঋ কিংবা পরবর্তীতে ঝামেলা হয়েছে।
পরবর্তীতে যখন ঝামেলা হয় তখন অভিভাবকগণও তাদেরকে বেশ গুরুত্ব দেয় না এবং তাদেরকে নিজেদের মাঝে ঝামেলা মিটিয়ে নিতে বলা হয়। যা একসময় স্বামী স্ত্রী উভয়ের মাঝে দ্বন্দ্ব ও বিবাদের সূচনা হয়।
সুতরাং সবচেয়ে কল্যাণময় হচ্ছে ওই বিয়ে, যেখানে অভিভাবক কে রাজি-খুশি করে তাদেরকে সাথে নিয়ে বিবাহ করা হয়।
এখন যদি কেউ অভিভাবক ছাড়া বিয়ে করে নেয়, এমতাবস্থায় বিয়ের অন্যান্য শর্ত যেমন দুজন পুরুষ সাক্ষী, অথবা একজন পুরুষ এবং দুজন মহিলা, ইজাব কবুল ইত্যাদি পাওয়া যায় তাহলে তার বিয়ে হয়ে যাবে।

তবে যদি পাত্র অথবা পাত্রী নিজের সমমান ব্যতীত নিম্নস্তরের কারো কাছে বিয়ে বসে ফেলে, তাহলে এক্ষেত্রে অভিভাবক যখন জানবেন তখন সাথে সাথে বিয়ে বিচ্ছেদ করার ক্ষমতা রাখবেন। যদি সাথে সাথে বিচ্ছেদ না করেন, তাহলে পরবর্তীতে আর এ ক্ষমতা থাকবে না। বরং বিবাহটা চিরস্থায়ী হয়ে যাবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...