আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
604 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (5 points)
একটি গ্রুপে দেখলাম বুখারি শরীফের রেওয়াত দিয়ে বলেছেন কুরবানী পশুর জন্য মালা বানানো, মালা পড়ানো সুন্নাহ, এখন আমার প্রশ্ন হলো কী ধরণের মালা পড়াতে হয়? মালা কিনে পড়ালে কী সুন্নাহ আদায় হবে?

আর বর্তমান সময়ে কী এটি প্রায় হারিয়ে যাওয়া সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত হবে? দয়া করে বিস্তারিত জানাবেন।

জাযাকাল্লাহ খাইর।

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

অন্যান্য পশু থেকে কুরবানীর পশুকে আলাদা বুঝাতে চিহ্ন স্বরূপ মালা ইত্যাদি পড়ানোর সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সাজানো নিয়ে বাড়াবাড়ি করা উচিত হবে না।

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: «أَنَا فَتَلْتُ قَلاَئِدَ هَدْيِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدَيَّ، ثُمَّ قَلَّدَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدَيْهِ، ثُمَّ بَعَثَ بِهَا مَعَ أَبِي،

 ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন,আমি নিজ হাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কুরবানীর জন্তুর জন্য হার পাকিয়েছি। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাতে তাকে হার পরিয়ে (আমার পিতা) আবূ বকর (রাঃ) এর সঙ্গে পাঠিয়েছেন। [বুখারী, হাদীস নং-২৩১৭]

 

অন্য এক হাদীসে এসেছে-

عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُهْدِي مِنَ الْمَدِينَةِ، فَأَفْتِلُ قَلاَئِدَ هَدْيِهِ، ثُمَّ لاَ يَجْتَنِبُ شَيْئًا مِمَّا يَجْتَنِبُهُ الْمُحْرِمُ.

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা থেকে কুরবানীর পশু পাঠাতেন, আমি তাঁর গলায় কিলাদার মালা পাকিয়ে দিতাম। এরপর মুহরিম যে কাজ বর্জন করে, তিনি তাঁর কিছু বর্জন করতেন না।(সহীহ বুখারী,১৫৯০)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

কুরবানির পশুকে অন্যান্য পশুর থেকে আলাদা বুঝাতে তার গলায় মালা পরিয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে, তবে সুন্নত নয় সুতরাং মালা কিনে পরাতে পারেন এতে কোনো সমস্যা নেই তবে মালা পরানোর ক্ষেত্রে বেশী বাড়াবাড়ি করা উচিত হবে না যেহেতু মালা পরানো সুন্নাত নয়, তাই এটিকে হারিয়ে যাওয়া সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত করার কোনো প্রশ্নই আসে না।

 

 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...