বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ-
অন্যান্য পশু থেকে
কুরবানীর পশুকে আলাদা বুঝাতে চিহ্ন স্বরূপ মালা ইত্যাদি পড়ানোর সুযোগ রয়েছে। কিন্তু
সাজানো নিয়ে বাড়াবাড়ি করা উচিত হবে না।
হাদীস শরীফে এসেছে-
قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا:
«أَنَا فَتَلْتُ قَلاَئِدَ هَدْيِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ بِيَدَيَّ، ثُمَّ قَلَّدَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ بِيَدَيْهِ، ثُمَّ بَعَثَ بِهَا مَعَ أَبِي،
‘আয়িশা (রাঃ) বলেন,আমি নিজ হাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
এর কুরবানীর জন্তুর জন্য হার পাকিয়েছি। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
নিজ হাতে তাকে হার পরিয়ে (আমার পিতা) আবূ বকর (রাঃ) এর সঙ্গে পাঠিয়েছেন। [বুখারী, হাদীস নং-২৩১৭]
অন্য এক হাদীসে এসেছে-
عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ
كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُهْدِي مِنَ الْمَدِينَةِ، فَأَفْتِلُ
قَلاَئِدَ هَدْيِهِ، ثُمَّ لاَ يَجْتَنِبُ شَيْئًا مِمَّا يَجْتَنِبُهُ
الْمُحْرِمُ.
আয়িশা (রাঃ) থেকে
বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা
থেকে কুরবানীর পশু পাঠাতেন, আমি তাঁর গলায় কিলাদার
মালা পাকিয়ে দিতাম। এরপর মুহরিম যে কাজ বর্জন করে, তিনি তাঁর কিছু বর্জন
করতেন না।(সহীহ বুখারী,১৫৯০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরবানির পশুকে অন্যান্য
পশুর থেকে আলাদা বুঝাতে তার গলায় মালা পরিয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে, তবে সুন্নত নয় । সুতরাং মালা কিনেও পরাতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা নেই । তবে মালা পরানোর ক্ষেত্রে
বেশী বাড়াবাড়ি করা উচিত হবে না। যেহেতু মালা পরানো সুন্নাত নয়, তাই
এটিকে হারিয়ে যাওয়া সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত করার কোনো প্রশ্নই আসে না।