আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
182 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আমি একজন ব্যাবসায়ী,
টেন্ডার ব্যাবসা করি, আমার পন্য বিক্রয় সম্পন্ন করতে ১ম পক্ষের প্রতিনিধি অনেক সময় টাকা দাবি করে এবং এক্ষেত্রে আমার ইচ্ছা না তাকলেও টাকা দিতে হয়। যেমন বলে

 ১.যে ভাই চা পানি খাবো
২. আপনাকে কাজ দিবো আপনি আমাকে এত টাকা দিবেন। ৩.ভাই কাজ করেন কাজে শেষে আমাকে লাভ থেকে কিছু টাকা দিবেন।আবর অনেক জায়গাতে টাকা কেটে রাখে না যানিয়ে। এর এটা সকল জাগায় হচ্ছে। এখন আমি যদি টাকা না দেয় তাহলে কাজ হবে না এমন বিষয়। এতে কি আমার আয় হারাম হবে?এবং এর থেকে বাঁচার উপায় কি? আশা করি কোরআন ও হাদিসের আলোকে উত্তর দিবেন।
by
আমি একজন হাজি মানুষ। 
নির্মাণ কাজের জন্য আমি ও আমার বন্ধুর পরিবার মিলে এপার্টমেন্ট বানানোর দায়িত্ব নিয়েছি, যা খরচ হবে শুধু  তাই ব্যয় হবে এভাবে মৌখিক চুক্তি হয়েছে। সহকর্মী ও গ্রাহকরা
নির্দিষ্ট অংশের অর্থের বিনিময়ে আমাদের নির্মাণ পরিচালনার কাজ দিয়েছে। আমি সকলের সভাপতি বা প্রধান প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। 

ফ্লাট মালিকদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে নিজেদের ফ্ল্যাট নির্মাণ করলে এবং যাদের থেকে অর্থ নিচ্ছি তাদের না জানিয়ে নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে দিচ্ছি। 

যে পরিমাণ অর্থ খরচ হওয়ার কথা তার থেকে তাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছি। আপত্তি থাকা সত্ত্বেও নিজেদের লাভের জন্য নিয়মভঙ্গ করে অতিরিক্ত স্থাপনা নির্মাণ করছি। 
অস্বচ্ছ থাকার কারনে মানুষ আমাদের অতিরিক্ত অর্থ নিজেরা আত্মসাৎ করছি বলে মনে করছে৷ 

অতিরিক্ত অর্থ খরচের জন্য তারা হিসাব জানতে চায়, কিন্তু তাদের অংশের হিসাব না দিয়ে আমরা শুধু বলি টাকা দেন কাজ করে দিবো৷ 

উদাহরণ স্বরূপ ভালো লিফ্ট মেশিন এর কথা বলে কম দামে এ লিফ্ট কিনে বাড়তি অর্থ নিজেরা নিলে কি তাদের দাবির কারণে আমরা জাহান্নামী হতে পারি? 

যে পরিমাণ অর্থ খরচ হওয়ার কথা তার থেকে তাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে কোন অন্যায় করা হবে কি? 

আর যদি নির্মাণ কাজের অতিরিক্ত অর্থ আমি না নিয়ে, আমাকে না জানিয়ে বন্ধুর পরিবার গ্রহণ করে কিন্তু আমি সকলের প্রধান প্রতিনিধি হিসেবে সমর্থন করি তাহলে ফ্ল্যাট মালিক ও গ্রাহকদের সাথে কোন অন্যায় করা হবে কি? এতে যদি কনো অন্যায় হয় তাহলে কোন কোন অন্যায় করা হবে?
এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি? পক্ষপাতিত্ব বা পক্ষপাতিত্ব করা কি ইসলামে বৈধ? 
এই কাজ গুলোতে কোন অন্যায় করা হলে করনীয় কি?
অনুগ্রহ করে বিস্তারিত জানাবেন৷ 

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


টেন্ডার শব্দের অর্থ মূল্যবেদন বা সরকারী বিভিন্ন কাজ সরকারের কর্মচারীদের দ্বারা না করিয়ে যখন বাইরের লোকদের দ্বারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পাদন বা পণ্য সরবরাহের অঙ্গীকার-সহ ঠিকাদারের দরপত্র বা মূল্যবেদন হলো ঠিকাদারি/ টেন্ডার (tender)।

সরকারী বিভিন্ন কাজ সরকারের কর্মচারীদের দ্বারা না করিয়ে যখন বাইরের লোকদের দ্বারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পাদন বা পণ্য সরবরাহের অঙ্গীকার-সহ ঠিকাদারের দরপত্র বা মূল্যবেদন হলো টেন্ডার (tender)। টেন্ডার শব্দের অর্থ মূল্যবেদন বা দরপত্র।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার টাকা দেওয়া জায়েজ আছে।
আপনার ইনকাম জায়েজ আছে।
তবে যেহেতু আপনি সন্তুষ্টি চিত্তে টাকা দিচ্ছেননা,তাই যারা আপনার থেকে টাকা নিবে,তাদের জন্য এটি জায়েজ হবেনা।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ

আর তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না।
(সুরা বাকারা ১৮৮)

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 

হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ»

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
সহীহ : আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২,মিশকাত ২৯৪৬)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...