আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
184 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
Assalamu alaikumm wa rohmatullahi wa barokatuhu. Banglay proshno na Korte paray dukkhito. Amar onek gulo bishoye Janar chilo. Onugroho kore uttor diben.

1/ jilhojj mash Er prothom doshdin kaja roja rakhle ki ek bochor roja rakhar bisesh fojilot pawa jabe?

2/ Allah amaar ontor e mohor mere diyechen ki na ta bujhar upay ki ebong kibhabe Ber hobo?

3/ Tawba Er khetre churanto onutoptota ante hole ki koronio?

3/ As-solatu khoirum minannaum.   Er poriborte ki Bolte Hobe jobab e?

4/ kad komatissolah Er jobab e ki Bolte Hoy ebong koybar?

5/ Sogeerah gunah ki ki royeche Doya kore janaben

6/ kobeerah gunah gulo ki ki?

7/ Khela Dekha, Cinema-natok Dekha kon porjayer gunha?

8/ Gan shuna ki kobeerah gunah?

9/ Cinema ba kono ashleel drissho chokhe porle ta ki kobeerah gunah?

10/ Jinah Er ager dhap gulo sob e ki Sogeerah gunah?Jemon poronareer dike takano, prem kora, non mahram Er Sathe Kotha Bola ittadi

11/ Onek somoy cinema te biyer scene thake jekhane oneker sommukhe KOBUL Bolte Hoy nayok o nayeeka ubhoy kei. Etew ki tader moddhe biye hoye jay?

12/ Jader geebot kore felechi Kingba hashi thatta korechi jader niye tader kache maaf chawa ki baddhotamulok, ekhetre onno upay ache ki maf pawar?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
এ মর্মে কোনো হাদীস পাইনি।
,
তবে আরাফার দিনে নফল রোযা রাখলে পূর্বের এক বছর আর পরের এক বছরের গুনাহ মাফ হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ - رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - سُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ عَرَفَةَ. قَالَ: «يُكَفِّرُ السَّنَةَ الْمَاضِيَةَ وَالْبَاقِيَةَ»، وَسُئِلَ عَنْ صِيَامِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ. قَالَ: «يُكَفِّرُ السَّنَةَ الْمَاضِيَةَ» وَسُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ, قَالَ: «ذَاكَ يَوْمٌ وُلِدْتُ فِيهِ, وَبُعِثْتُ فِيهِ, أَوْ أُنْزِلَ عَلَيَّ فِيهِ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ

আবূ কাতাদাহ আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আরাফাহর দিনে সওম সম্বন্ধে জিজ্ঞাসিত হয়ে বললেন-এর দ্বারা বিগত ও আগত এক বছরের গোনাহ (পাপ) মোচন হয়। ‘আশুরাহর দিনের সওম পালন সম্বন্ধে জিজ্ঞাসিত হয়ে বললেন-বিগত এক বছরের পাপ মোচন হয়। সোমবারের দিনে সওম পালন সম্বন্ধে জিজ্ঞাসিত হয়ে বললেন, এটা সেদিন যেদিন আমি জন্মেছি এবং নুবুওয়াত লাভ করেছি। আর আমার উপর (কুরআন) অবতীর্ণ হয়েছে।
(মুসলিম ১১৬২, তিরমিযী ৬৭৬, নাসায়ী ২৩৮২, আবূ দাউদ ২৪২৫, ইবনু মাজাহ ১৭১৩, আহমাদ ২২০২৪।)
,
(০২)
আমাকে দিয়ে যদি মহান আল্লাহর কোনো বিধান পালন না হয়,সেক্ষেত্রে এটি বুঝা যাবে।
,
(০৩)
গুনাহের প্রতি,তার শাস্তির প্রতি ঘৃনা জন্মাইতে হবে।
,
(০৩)
صدقت وبررت
সদাকতা ও বাররতা এক+এক= দুইবার বলতে হবে।
,
(০৪)
اقامه الله و ادامها  ২ বার বলা।


(০৫)
আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালিহ আল উসাইমীন রহ. বলেন:
الكبائر هي ما رتب عليه عقوبة خاصة بمعنى أنها ليست مقتصرة على مجرد النهي أو التحريم، بل لا بد من عقوبة خاصة مثل أن يقال من فعل هذا فليس بمؤمن، أو فليس منا، أو ما أشبه ذلك، هذه هي الكبائر، والصغائر هي المحرمات التي ليس عليها عقوبة. انتهى
.
“কবীরা বা বড় গুনাহ বলা ঐ সকল গুনাহকে যেগুলোর ব্যাপারে বিশেষ কোনো শাস্তি আরোপের বিধান রয়েছে। অর্থাৎ যেগুলো শুধু নিষেধ বা হারামের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং তাতে অবশ্যই বিশেষ শাস্তি রয়েছে। যেমন: যে এ কাজ করবে সে ইমানদার নয় অথবা সে আমাদের দলভুক্ত নয় ইত্যাদি। এগুলো হল কাবীরা গুনাহ। আর সগীরা বা ছোট গুনাহ হল ঐ সকল হারাম কাজ যেগুলোর জন্য শাস্তি নাই।”
সুতরাং আলেমদের বক্তব্যের আলোকে আমরা বলতে পারি, যে সকল গুনাহ কবীরা পর্যায়ের নয় সেগুলোই সগীরা গুনাহ।

সগীরা বা ছোটগুনাহের সীমা-সংখ্যা নাই। তবুও নিম্নে বহুল প্রচলিত কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরা হল:

নামাযরত অবস্থায় এদিক ওদিকে দৃষ্টিপাত করা।
নামায অবস্থায় কাপড়, দাড়ি, বা শরীরের কোন অঙ্গ নিয়ে খেলা করা।
(যদি আমলে কাসির না হয়।)

কোন ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোনো মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাবের উপর তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে অন্যজন প্রস্তাব করা।

বেচাকেনার ক্ষেত্রে কেউ দরদাম করছে এমতাবস্থায় তার শেষ হওয়ার আগে আরেকজন এসে দরদাম শুরু করা।

কোন পর নারীর দিকে কুদৃষ্টি ছাড়া দৃষ্টিপাত করা।

পাপাচারী লোকদের সাথে ( সংশোধন ও দাওয়াত দেয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া) উঠবস করা।

 বিনা প্রয়োজনে উপকার হীন কথাবার্তা বলা ইত্যাদি।

(০৬)
অন্যতম কিছু কবিরা গুনাহ হলোঃ
 
(০১)শিরক করা। (২) মাতা-পিতাকে কষ্ট দেওয়া। (৩) আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা। (৪) ব্যভিচার করা। নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো নারী বা নিজের স্বামী ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করা। (৫) চুরি করা। (৬) অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা। (৭) মিথ্যা অপবাদ ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া। (৮) পণ্যে ভেজাল মিশ্রিত করা। (৯) অঙ্গীকার ভঙ্গ করা। (১০) মিথ্যা বলা ও ধোঁকা দেওয়া।
(১১) খাদ্যদ্রব্য গুদামজাত করে রাখা। (১২) মাপে কম দেওয়া। (১৩) অন্যায়ভাবে কারো জমি দখল করা। (১৪) শ্রমিকের মজুরি কম দেওয়া বা না দেওয়া। (১৫) জুয়া খেলা ও লটারি ধরা। (১৬) নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়া বা পান করা। (১৭) সুদ খাওয়া। (১৮) ঘুষ খাওয়া। (১৯) চাঁদাবাজি বা জোর-জুলুম করে অর্থ-সম্পদ লুটে নেওয়া।
 (২০) অনাথ, এতিম ও বিধবার সম্পদ গ্রাস করা।
(২১) আমানতের খিয়ানত করা। (২২) অহংকার করা, অন্যকে হেয় করা। (২৩) কোনো মুসলমানকে গালি দেওয়া। (২৪) নিজের স্ত্রী, কন্যা, বোন ও অন্য অধীন নারীদের পরপুরুষের সঙ্গে অবাধে মেলামেশা করতে দেওয়া। (২৫) স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে তাকে নিয়েই ঘর-সংসার করতে থাকা। (২৬) চোগলখুরি করা। (২৭) গিবত-পরনিন্দা তথা কারো অগোচরে তার বদনাম করা, যদিও তা সত্য হয়। (২৮) প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া। (২৯) অসৎ কাজ দেখে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বাধা না দেওয়া। (৩০) তাকদিরের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস না রাখা। (৩১) অবহেলা করে নামাজ কাজা করা, রোজা না রাখা, জাকাত না দেওয়া ও হজ ফরজ হওয়া সত্ত্বেও আদায় না করা।
,
(৭.৮.৯.১০)
কবিরা গুনাহ। 
,
(১১) 
মেয়েটি যদি অন্যের স্ত্রী না হয়,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে ইজাব কবুল হলে তার বিবাহ হয়ে যাবে।

(১২)
যদি তাদের কাছে গিয়ে মাফ চাওয়া সম্ভব না হয়,সেক্ষেত্রে তওবা করতে হবে।
তাদের জন্যেও দোয়া করবে। 

আরো জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 240 views
0 votes
1 answer 131 views
asked Aug 21, 2021 in সাওম (Fasting) by Samin Yasar (87 points)
...