জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এ মর্মে কোনো হাদীস পাইনি।
,
তবে আরাফার দিনে নফল রোযা রাখলে পূর্বের এক বছর আর পরের এক বছরের গুনাহ মাফ হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ - رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - سُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ عَرَفَةَ. قَالَ: «يُكَفِّرُ السَّنَةَ الْمَاضِيَةَ وَالْبَاقِيَةَ»، وَسُئِلَ عَنْ صِيَامِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ. قَالَ: «يُكَفِّرُ السَّنَةَ الْمَاضِيَةَ» وَسُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ, قَالَ: «ذَاكَ يَوْمٌ وُلِدْتُ فِيهِ, وَبُعِثْتُ فِيهِ, أَوْ أُنْزِلَ عَلَيَّ فِيهِ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ
আবূ কাতাদাহ আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আরাফাহর দিনে সওম সম্বন্ধে জিজ্ঞাসিত হয়ে বললেন-এর দ্বারা বিগত ও আগত এক বছরের গোনাহ (পাপ) মোচন হয়। ‘আশুরাহর দিনের সওম পালন সম্বন্ধে জিজ্ঞাসিত হয়ে বললেন-বিগত এক বছরের পাপ মোচন হয়। সোমবারের দিনে সওম পালন সম্বন্ধে জিজ্ঞাসিত হয়ে বললেন, এটা সেদিন যেদিন আমি জন্মেছি এবং নুবুওয়াত লাভ করেছি। আর আমার উপর (কুরআন) অবতীর্ণ হয়েছে।
(মুসলিম ১১৬২, তিরমিযী ৬৭৬, নাসায়ী ২৩৮২, আবূ দাউদ ২৪২৫, ইবনু মাজাহ ১৭১৩, আহমাদ ২২০২৪।)
,
(০২)
আমাকে দিয়ে যদি মহান আল্লাহর কোনো বিধান পালন না হয়,সেক্ষেত্রে এটি বুঝা যাবে।
,
(০৩)
গুনাহের প্রতি,তার শাস্তির প্রতি ঘৃনা জন্মাইতে হবে।
,
(০৩)
صدقت وبررت
সদাকতা ও বাররতা এক+এক= দুইবার বলতে হবে।
,
(০৪)
اقامه الله و ادامها ২ বার বলা।
(০৫)
আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালিহ আল উসাইমীন রহ. বলেন:
الكبائر هي ما رتب عليه عقوبة خاصة بمعنى أنها ليست مقتصرة على مجرد النهي أو التحريم، بل لا بد من عقوبة خاصة مثل أن يقال من فعل هذا فليس بمؤمن، أو فليس منا، أو ما أشبه ذلك، هذه هي الكبائر، والصغائر هي المحرمات التي ليس عليها عقوبة. انتهى
.
“কবীরা বা বড় গুনাহ বলা ঐ সকল গুনাহকে যেগুলোর ব্যাপারে বিশেষ কোনো শাস্তি আরোপের বিধান রয়েছে। অর্থাৎ যেগুলো শুধু নিষেধ বা হারামের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং তাতে অবশ্যই বিশেষ শাস্তি রয়েছে। যেমন: যে এ কাজ করবে সে ইমানদার নয় অথবা সে আমাদের দলভুক্ত নয় ইত্যাদি। এগুলো হল কাবীরা গুনাহ। আর সগীরা বা ছোট গুনাহ হল ঐ সকল হারাম কাজ যেগুলোর জন্য শাস্তি নাই।”
সুতরাং আলেমদের বক্তব্যের আলোকে আমরা বলতে পারি, যে সকল গুনাহ কবীরা পর্যায়ের নয় সেগুলোই সগীরা গুনাহ।
সগীরা বা ছোটগুনাহের সীমা-সংখ্যা নাই। তবুও নিম্নে বহুল প্রচলিত কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরা হল:
নামাযরত অবস্থায় এদিক ওদিকে দৃষ্টিপাত করা।
নামায অবস্থায় কাপড়, দাড়ি, বা শরীরের কোন অঙ্গ নিয়ে খেলা করা।
(যদি আমলে কাসির না হয়।)
কোন ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোনো মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাবের উপর তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে অন্যজন প্রস্তাব করা।
বেচাকেনার ক্ষেত্রে কেউ দরদাম করছে এমতাবস্থায় তার শেষ হওয়ার আগে আরেকজন এসে দরদাম শুরু করা।
কোন পর নারীর দিকে কুদৃষ্টি ছাড়া দৃষ্টিপাত করা।
পাপাচারী লোকদের সাথে ( সংশোধন ও দাওয়াত দেয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া) উঠবস করা।
বিনা প্রয়োজনে উপকার হীন কথাবার্তা বলা ইত্যাদি।
(০৬)
অন্যতম কিছু কবিরা গুনাহ হলোঃ
(০১)শিরক করা। (২) মাতা-পিতাকে কষ্ট দেওয়া। (৩) আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা। (৪) ব্যভিচার করা। নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো নারী বা নিজের স্বামী ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করা। (৫) চুরি করা। (৬) অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা। (৭) মিথ্যা অপবাদ ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া। (৮) পণ্যে ভেজাল মিশ্রিত করা। (৯) অঙ্গীকার ভঙ্গ করা। (১০) মিথ্যা বলা ও ধোঁকা দেওয়া।
(১১) খাদ্যদ্রব্য গুদামজাত করে রাখা। (১২) মাপে কম দেওয়া। (১৩) অন্যায়ভাবে কারো জমি দখল করা। (১৪) শ্রমিকের মজুরি কম দেওয়া বা না দেওয়া। (১৫) জুয়া খেলা ও লটারি ধরা। (১৬) নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়া বা পান করা। (১৭) সুদ খাওয়া। (১৮) ঘুষ খাওয়া। (১৯) চাঁদাবাজি বা জোর-জুলুম করে অর্থ-সম্পদ লুটে নেওয়া।
(২০) অনাথ, এতিম ও বিধবার সম্পদ গ্রাস করা।
(২১) আমানতের খিয়ানত করা। (২২) অহংকার করা, অন্যকে হেয় করা। (২৩) কোনো মুসলমানকে গালি দেওয়া। (২৪) নিজের স্ত্রী, কন্যা, বোন ও অন্য অধীন নারীদের পরপুরুষের সঙ্গে অবাধে মেলামেশা করতে দেওয়া। (২৫) স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে তাকে নিয়েই ঘর-সংসার করতে থাকা। (২৬) চোগলখুরি করা। (২৭) গিবত-পরনিন্দা তথা কারো অগোচরে তার বদনাম করা, যদিও তা সত্য হয়। (২৮) প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া। (২৯) অসৎ কাজ দেখে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বাধা না দেওয়া। (৩০) তাকদিরের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস না রাখা। (৩১) অবহেলা করে নামাজ কাজা করা, রোজা না রাখা, জাকাত না দেওয়া ও হজ ফরজ হওয়া সত্ত্বেও আদায় না করা।
,
(৭.৮.৯.১০)
কবিরা গুনাহ।
,
(১১)
মেয়েটি যদি অন্যের স্ত্রী না হয়,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে ইজাব কবুল হলে তার বিবাহ হয়ে যাবে।
(১২)
যদি তাদের কাছে গিয়ে মাফ চাওয়া সম্ভব না হয়,সেক্ষেত্রে তওবা করতে হবে।
তাদের জন্যেও দোয়া করবে।
আরো জানুনঃ