আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
237 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)
হযরত,
১|দেবর মৃত্যু তুল্য মানেটা কি?আমি ঠিক বুঝলাম নাহ্।
মহিলারা কি দেবর এর সাথে দেখা করতে পারে?
২|জেবাল মালাইক আছে কি?
তিনি পাহাড় পর্বতের কাজে নিয়োজিত,এটা কি সত্যি?
উনার ব্যাপারে কোন হাদীস থাকলে আমাকে জানান?
৩|আমরা বিখ্যাত ৪ জন মালাইকার নাম শুনে থাকি,এবং এদের কাজ ও জানি।
এদের কাজের ব্যাপারে যদি কোন হাদীস থাকে,তাহলে তা আমাকে বলুন,৪ জনের।
৪|বিখ্যাত সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে আমর হতে বর্ণিত,আল্লাহ নিজ হাতে ৩টি জিনিস ছাড়া কোন কিছু সৃষ্টি করেন নি।১আদম নবী তৈরী,২ জান্নাতুল ফিরদাউসে গাছ লাগিয়েছেন।৩ নিজ হাতে তাওরাত লিখেছেন।
এই হাদীসটা কি সহীহ?এটি কোন কিতাবের হাদীস?
উল্লেখ্য হাদীসটা সিফাত দারাকুতনী ২৭ পেইজ,আসমা আস সিফাত বাইহাকী ৩১৮ পেইজে আছে।
আমি জানতে চাইছি,আসলেই হাদীসটা কি মানা যায়/সহীহ?
৫|গাউস মানে কি?গাউসে আযম মানে কি?
গাউসে পাক মানে কি?
কাউকে অনেক মানুষ আবদুল কাদীর জিলানী কে এমন নাম দিয়ে যোগ করে ডাকে।এসব নামে ডাকা কি শির্ক?
কারণ(ইমান ও সহীহ আকিদা, আল্লাহ কি নিরাকার সর্বত্র বিরাজমান)বইয়ের সহীহ আকিদা অধ্যায়ে এমনই বলা আছে।আপনি চাইলে pdf পড়ে দেখে নিতে পারেন।লেখক হাফেজ মুহাম্মাদ আইয়ুব।আল ইসলাহ প্রকাশনী।
৬|বহাল তবিয়ত মানেটা কি?
যেমন ইসরাইল বহাল তবিয়তে ভূমি দখল করছে।
৭|আমি সাধারণত জানি যে আল-আকসা মসজিদ হযরত ওমর খলিফা তৈরী করেছিলেন। আসলে কুরআনে তো পূর্বেই বলা হয়েছে সূরা ইসরায় আল আকসা সরাসরি নাম নিয়ে।
এখন আমি কি করে বুঝবো যে কোনটি ওরম আর কোনটি সুলাইনমান আল্লাহর বান্দা বানিয়েছে?
নবীতো হিযরতের পর জেরুসালেমের দিকে নামায পড়তেন,তিনি কি আল আকসার দিকে ফিরে নামায পড়তেন?
নবী সময় কি আল আকসা মসজিদ তথা সুলাইমান নবীর মসজিদ কি ছিল?
৮|রাসূলআল্লাহ বলেছেন,হালাল স্পষ্ট, হারাম স্পষ্ট,এবং সন্দেহজনক জিনিস হতে দূরে থাকো।
এখন ইসলামে যদি হালাল হারাম স্পষ্ট হয়,তাহলে সন্দেহজনক জিনিস কেমনে থাকতে পারে?আমার বুঝে আসে নাহ্।
আমাকে বুঝিয়ে দিন,হে আল্লাহর দাস।
৯|আমরা যদি জাহিলী যুগের আবর কবিদের কবিতা পড়ি,যেখানে অনেক কিছু জানা যায়,জাহিলী যুগ নিয়ে।
তাতে অনেক কবি যৌন বিষয়ে ও লিখা করেছেন।
এমনকি pro level এর লিখা,সহবাস এর সময়।
এখন কোন মুসলিন যদি এসব পড়ে তাহলে তার কি কোন গোণাহ্ হবে?
১০|রাসূল আল্লাহর মদিনার দেশের নিয়ম ও ধরণ কেমন ছিল,
সংক্ষিপ্ত ভাবে।
নবী যদি মদিনায় আল্লাহর আইনকে সর্বোচ্চ হিসেবে জনগণের সামনে রাখে,তাহলে তখনকার জনগণ কি তা মেনে নিয়েছিল?
সেখানে তো মুশরিকরা ও ছিল,তাহলে তারা কেন মেনে নিল এরুপ আইন?
নবীর এই নিয়ম কি বহুজাতিক রাষ্ট্রের মডেল?

আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দিক,আমীন.....

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «إِيَّاكُمْ وَالدُّخُوْلَ عَلَى النِّسَاءِ فَقَالَ رَجُلٌ : يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ! أَرَأَيْتَ الْحَمْوَ؟ قَالَ : «الْحَمْوُ الْمَوْتُ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

‘উকবা ইবনু ‘আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কোনো নারীদের নিকট গমন (নিঃসঙ্গভাবে গৃহে প্রবেশ) করো না। (এটা শুনে) জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রসূল! দেবর সম্পর্কে আপনি কি বলেন? (উত্তরে) তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, দেবর তো মরণসম বা মরণের ন্যায়, মৃত্যু তুল্য।
সহীহ : বুখারী ৫২৩২, মুসলিম ২১৭২, তিরমিযী ১১৭১, আহমাদ ১৭৩৪৭, দারিমী ২৬৮৪, সহীহ আত্ তারগীব ১৯০৮,মিশকাত ৩১০২।

★আলোচ্য হাদীসে দেবর বা স্বামীর নিকট আত্মীয়কে মৃত্যু বলা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো দেবরের সাথে নির্জন একাকী থাকা দীনের ধ্বংস আবশ্যক করে, যদি তারা নাফরমানীতে পতিত হয়। আর যিনায় পতিত হলে রজম আবশ্যক হয়ে যাবে অথবা স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হওয়ার মাধ্যমে নারী নিজের ধ্বংস ডেকে আনবে। কারণ ঈর্ষা স্বামীকে তালাক প্রদানে উৎসাহিত করবে। কোনো পুরুষের তার ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে নির্জন বাস করা যা মৃত্যুর সমান। ‘আরবীগণ ঘৃণিত কাজকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করে থাকেন। ইবনুল আরাবী বলেন যে, এটা এমন কথা যা ‘আরবীগণ বলেন; যেমন আপনি এটা বলবেন ‘‘সিংহই মৃত্যু’’। অর্থাৎ- সিংহের আক্রমণে পরা মানে মৃত্যু। অর্থাৎ- তোমরা তা থেকে বেঁচে থাক যেমন মৃত্যু থেকে বেঁচে থাক। (ফাতহুল বারী ৯ম খন্ড, হাঃ ৫২৩২)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন!   
দেবরের সাথে দেখা দেওয়া মহিলাদের জন্য জায়েজ নেই।
দেবর গায়রে মাহরাম।
,
(০২)
আল্লাহ তাআলা চাঁদ ও সূর্য, গ্রহনক্ষত্র, পাহাড়-পর্বত, মেঘ-বৃষ্টি ইত্যাদির জন্য আলাদা আলাদা ফেরেশতা নিয়োজিত রেখেছেন। মাতৃগর্ভের জন্যও ফেরেশতা নিয়োজিত রয়েছেন, যারা ভ্রূণের দেখা- শোনা করেন, আর এভাবেই, এক পর্যায়ে, তা পূর্ণাঙ্গ মানবাকৃতি ধারণ করে। মৃত্যু ও জীবননাশের জন্যও ফেরেশতা রয়েছেন। প্রতিটি মানুষের জন্যও ফেরেশতা রয়েছেন, যারা তাকে সংরক্ষণ করেন। বরং প্রতিটি মাখলুক, এমনকি মহাবিশ্বের প্রতিটি ঘটনা ও বিষয়-আশয়ের জন্যও ফেরেশতা রয়েছেন। [ইগাছাতুল লুহফান:২/১২০; শারহুল আকীদা আত-তাহাবিয়্যাহ: পৃ:২৩৫]
আল্লাহ তাআলা সুরা আন্বিয়ার ২৭ নং আয়াতে বলেনঃ
﴿ بَلْ عِبَادٌ مُّكْرَمُونَ لَا يَسْبِقُونَهُ بِالْقَوْلِ وَهُم بِأَمْرِهِ يَعْمَلُونَ﴾
‘‘তারা তো মর্যাদাশীল বান্দা৷ তারা তাঁর সামনে অগ্রবর্তী হয়ে কথা বলেনা এবং শুধু তাঁর হুকুমেই কাজ করে’’।

★সুতরাং আল্লাহ তাআলা পাহাড়ের দায়িত্বে ফেরেশতা নিযুক্ত করেছেন। 
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত নির্দিষ্ট নামের ফেরেশতা সম্পর্কে কুরআন হাদীসে কিছুই পাইনি।
,
(০৩)
মুছান্নাফে ইবনে  আবি শায়বা সহ অনেক হাদীসেএ কিতাবে এ সংক্রান্ত  হাদীস আছেঃ

أخرج ابن أبى شيبة وابن أبى حاتم، وأبو الشيخ في العظمة، والبيهقى في الشعب، عن ابن سابط قال: يدبر أمر الدنيا أربعة: جبريل، وميكائيل، وملك الموت، وإسرافيل، فأما جبريل: فموكل بالرياح، والجنود، وأما ميكائيل: فموكل بالقطر، والنبات، وأما ملك الموت: فموكل بقبض الأرواح، وأما إسرافيل: فهو ينزل بالأمر عليهم.
--------
ص16 - كتاب الحبائك في أخبار الملائك - رؤوس الملائكة الأربعة الذين يدبرون أمر الدنيا - المكتبة الشاملة الحديثة

(০৪)
চারটি জিনিস যেগুলোকে আল্লাহ্ নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন: আরশ, কলম, আদন জান্নাত ও আদম (আঃ)। আর অবশিষ্ট সকল সৃষ্টি (মানুষ, জীন ফেরেশতা সহ সকলে)  "কুন" শব্দ দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে।

বিস্তারিত জানুনঃ   

(০৫)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ
   
(০৬)
মানে সুস্থ ও ঠিক অবস্থা।
যেই অবস্থাতে কোনো ঝামেলা নেই।
আগের অবস্থা। 
,
(০৭)
হ্যাঁ, এটি সুলাইমান আলাইহিসসালাম এর মসজিদ ছিলো।
,
(০৮)
যেই কাজ গুলোর বিধান অস্পষ্ট, সেগুলো উদ্দেশ্য।   
,
(০৯)
অশ্লিল গল্প পড়া যাবেনা,উক্ত বাক্যগুলি এড়িয়ে চলতে হবে।
,
(১০)
সেখানকার সমস্ত মুসলিমরা তো রাসুলুল্লাহ সাঃ কে শাসক মেনেই তাকে নিয়ে গিয়েছিলো।
আর সেখানকার ভিন্নধর্মী অবলম্বিরা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিলো।
সেখানকার সকলেই ইসলামী রাষ্ট্র মেনে নিয়েছিলো।    
,
হ্যাঁ এটিকে  বহুজাতিক রাষ্ট্রের মডেল বলা যায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...