জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «إِيَّاكُمْ وَالدُّخُوْلَ عَلَى النِّسَاءِ فَقَالَ رَجُلٌ : يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ! أَرَأَيْتَ الْحَمْوَ؟ قَالَ : «الْحَمْوُ الْمَوْتُ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
‘উকবা ইবনু ‘আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কোনো নারীদের নিকট গমন (নিঃসঙ্গভাবে গৃহে প্রবেশ) করো না। (এটা শুনে) জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রসূল! দেবর সম্পর্কে আপনি কি বলেন? (উত্তরে) তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, দেবর তো মরণসম বা মরণের ন্যায়, মৃত্যু তুল্য।
সহীহ : বুখারী ৫২৩২, মুসলিম ২১৭২, তিরমিযী ১১৭১, আহমাদ ১৭৩৪৭, দারিমী ২৬৮৪, সহীহ আত্ তারগীব ১৯০৮,মিশকাত ৩১০২।
★আলোচ্য হাদীসে দেবর বা স্বামীর নিকট আত্মীয়কে মৃত্যু বলা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো দেবরের সাথে নির্জন একাকী থাকা দীনের ধ্বংস আবশ্যক করে, যদি তারা নাফরমানীতে পতিত হয়। আর যিনায় পতিত হলে রজম আবশ্যক হয়ে যাবে অথবা স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হওয়ার মাধ্যমে নারী নিজের ধ্বংস ডেকে আনবে। কারণ ঈর্ষা স্বামীকে তালাক প্রদানে উৎসাহিত করবে। কোনো পুরুষের তার ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে নির্জন বাস করা যা মৃত্যুর সমান। ‘আরবীগণ ঘৃণিত কাজকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করে থাকেন। ইবনুল আরাবী বলেন যে, এটা এমন কথা যা ‘আরবীগণ বলেন; যেমন আপনি এটা বলবেন ‘‘সিংহই মৃত্যু’’। অর্থাৎ- সিংহের আক্রমণে পরা মানে মৃত্যু। অর্থাৎ- তোমরা তা থেকে বেঁচে থাক যেমন মৃত্যু থেকে বেঁচে থাক। (ফাতহুল বারী ৯ম খন্ড, হাঃ ৫২৩২)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন!
দেবরের সাথে দেখা দেওয়া মহিলাদের জন্য জায়েজ নেই।
দেবর গায়রে মাহরাম।
,
(০২)
আল্লাহ তাআলা চাঁদ ও সূর্য, গ্রহনক্ষত্র, পাহাড়-পর্বত, মেঘ-বৃষ্টি ইত্যাদির জন্য আলাদা আলাদা ফেরেশতা নিয়োজিত রেখেছেন। মাতৃগর্ভের জন্যও ফেরেশতা নিয়োজিত রয়েছেন, যারা ভ্রূণের দেখা- শোনা করেন, আর এভাবেই, এক পর্যায়ে, তা পূর্ণাঙ্গ মানবাকৃতি ধারণ করে। মৃত্যু ও জীবননাশের জন্যও ফেরেশতা রয়েছেন। প্রতিটি মানুষের জন্যও ফেরেশতা রয়েছেন, যারা তাকে সংরক্ষণ করেন। বরং প্রতিটি মাখলুক, এমনকি মহাবিশ্বের প্রতিটি ঘটনা ও বিষয়-আশয়ের জন্যও ফেরেশতা রয়েছেন। [ইগাছাতুল লুহফান:২/১২০; শারহুল আকীদা আত-তাহাবিয়্যাহ: পৃ:২৩৫]
আল্লাহ তাআলা সুরা আন্বিয়ার ২৭ নং আয়াতে বলেনঃ
﴿ بَلْ عِبَادٌ مُّكْرَمُونَ لَا يَسْبِقُونَهُ بِالْقَوْلِ وَهُم بِأَمْرِهِ يَعْمَلُونَ﴾
‘‘তারা তো মর্যাদাশীল বান্দা৷ তারা তাঁর সামনে অগ্রবর্তী হয়ে কথা বলেনা এবং শুধু তাঁর হুকুমেই কাজ করে’’।
★সুতরাং আল্লাহ তাআলা পাহাড়ের দায়িত্বে ফেরেশতা নিযুক্ত করেছেন।
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত নির্দিষ্ট নামের ফেরেশতা সম্পর্কে কুরআন হাদীসে কিছুই পাইনি।
,
(০৩)
মুছান্নাফে ইবনে আবি শায়বা সহ অনেক হাদীসেএ কিতাবে এ সংক্রান্ত হাদীস আছেঃ
أخرج ابن أبى شيبة وابن أبى حاتم، وأبو الشيخ في العظمة، والبيهقى في الشعب، عن ابن سابط قال: يدبر أمر الدنيا أربعة: جبريل، وميكائيل، وملك الموت، وإسرافيل، فأما جبريل: فموكل بالرياح، والجنود، وأما ميكائيل: فموكل بالقطر، والنبات، وأما ملك الموت: فموكل بقبض الأرواح، وأما إسرافيل: فهو ينزل بالأمر عليهم.
--------
ص16 - كتاب الحبائك في أخبار الملائك - رؤوس الملائكة الأربعة الذين يدبرون أمر الدنيا - المكتبة الشاملة الحديثة
(০৪)
চারটি জিনিস যেগুলোকে আল্লাহ্ নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন: আরশ, কলম, আদন জান্নাত ও আদম (আঃ)। আর অবশিষ্ট সকল সৃষ্টি (মানুষ, জীন ফেরেশতা সহ সকলে) "কুন" শব্দ দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে।
বিস্তারিত জানুনঃ
(০৫)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ
(০৬)
মানে সুস্থ ও ঠিক অবস্থা।
যেই অবস্থাতে কোনো ঝামেলা নেই।
আগের অবস্থা।
,
(০৭)
হ্যাঁ, এটি সুলাইমান আলাইহিসসালাম এর মসজিদ ছিলো।
,
(০৮)
যেই কাজ গুলোর বিধান অস্পষ্ট, সেগুলো উদ্দেশ্য।
,
(০৯)
অশ্লিল গল্প পড়া যাবেনা,উক্ত বাক্যগুলি এড়িয়ে চলতে হবে।
,
(১০)
সেখানকার সমস্ত মুসলিমরা তো রাসুলুল্লাহ সাঃ কে শাসক মেনেই তাকে নিয়ে গিয়েছিলো।
আর সেখানকার ভিন্নধর্মী অবলম্বিরা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিলো।
সেখানকার সকলেই ইসলামী রাষ্ট্র মেনে নিয়েছিলো।
,
হ্যাঁ এটিকে বহুজাতিক রাষ্ট্রের মডেল বলা যায়।