জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنِ ابْنِ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ : - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَأْكُلْ بِيَمِينِهِ ، وَإِذَا شَرِبَ فَلْيَشْرَبْ بِيَمِينِهِ . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন কিছু খায়, তখন সে যেন ডান হাতে খায়। আর যখন পান করে তখন যেন ডান হাতে পান করে।
মুসলিম (২০২০)-১০৫, তিরমিযী ১৮০০, আবূ দাঊদ ৩৭৭৬, সুনানুন্ নাসায়ী আল কুবরা ৬৮৯০, মুসনাদে আহমাদ ৪৮৮৬, সহীহুল জামি‘৩৮৪, ৩৮৫; সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ১২৩৬, মুসান্নাফ ‘আবদুর রায্যাক ১৯৫৪১, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৪৪৩৯, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৫০০৬।
,
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ جَدِّهِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَأْكُلْ بِيَمِينِهِ، وَإِذَا شَرِبَ فَلْيَشْرَبْ بِيَمِينِهِ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْكُلُ بِشِمَالِهِ، وَيَشْرَبُ بِشِمَالِهِ
ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ খাওয়ার সময় যেন তার ডান হাতে খায় এবং যখন পান করে তখনও যেন তার ডান হাতে পান করে। কেননা শয়তান তার বাম হাতে পানাহার করে।
(আবি দাউদ ৩৭৭৬)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কেহ বাম হাতে খেলেই শয়তান হয়ে যায়না,বা উভয় হাতে খেলে তাকে মুসলিম+শয়তান বলা যাবেনা।
তবে এতে শয়তানের কাজের সাথে সদৃশ্যতা চলে আসে।
তাই নিষেধ।
,
(০২)
কাঁচের প্লেটে খাবার খাওয়া বিলাসিতা নয়।
,
(০৩)
এটিও বিলাসিতা নয়।
তবে সামর্থের বাহিরে ক্রয় করা ঠিক হবেনা।
,
(০৪)
আয়াতের পূর্ণ অর্থ বা সুরা আয়াত নং উল্লেখ করলে ভালো হয়।
,
(০৫)
প্রথম হাদীসঃ
হাদীস শরীফে এসেছে :
اَلدَّيُّوْثُ هُوَ الَّذِيْ لَا يُبَالِيْ مَنْ دَخَلَ عَلٰى أَهْلِهِ
বেহায়া হলো সে ব্যক্তি যে, তার পরিবারের নিকট কে প্রবেশ করল এ ব্যাপারে ভ্রুক্ষেপ করেনা। [বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান ১০৮০০]।
★২য় হাদীস হুবহু পাইনি।
তাবে তার কাছাকাছি অর্থে হাদীস শরীফে এসেছেঃ
,
রাসূল (ﷺ) বলেছেন :
اَلدَّيُّوْثُ الَّذِي يُقِرُّ فِي أَهْلِهِ الْخَبَثَ
এমন বেহায়া, যে তার পরিবারের অশ্লীলতাকে মেনে নেয়। [আহমাদ ৫৩৭২, ৬১১৩]।
অন্য বর্ণনায় এসেছে :
اَلدَّيُّوْثُ الَّذِي يُقِرُّ السُّوْءَ فِيْ أَهْلِهِ
এমন বেহায়া, যে তার পরিবারের অশ্লীলতা ও খারাপ কর্মসমূহ মেনে নেয়।
(০৬)
সব গুলো ছহীহ নয়।
,
না সে সম্পর্কে জানা নেই।
,
(০৭)
আল্লাহর ইচ্ছা (ইরাদাহ) দু’প্রকার
,
১. ইরাদাহ কাওনীয়া (সৃষ্টিগত ইচ্ছা)
২. ইরাদা শারঈয়া (শরী‘আতগত ইচ্ছা)
আল্লাহর যে ইচ্ছা সৃষ্টি করার সাথে সম্পৃক্ত তাই ইরাদাহ কাওনীয়া। আর যে ইচ্ছা ভালোবাসার সাথে সম্পৃক্ত তাকে ইরাদাহ শারঈয়া বলা হয়। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা কোনো জিনিসকে ভালোবেসে যে ইচ্ছা পোষাণ করেন তাকে ইরাদাহ শরঈয়া বলা হয়।
(০৮)
ইবনে আবি শায়বা (রহ.) তাঁর ‘সিফাতুল আরশ’ নামক গ্রন্থে এবং হাকিম (রহ.) তাঁর ‘মুসতাদরাক’ গ্রন্থে সহ অনেক কিতাবেই এসেছেঃ
عن ابن عباس ـ رضي الله عنهما ـ أنه قال: الكرسي موضع القدمين، والعرش لا يقدر أحد قدره. رواه ابن خزيمة في التوحيد، وابن أبي شيبة في العرش، والدارمي في الرد على المريسي، وعبد الله ابن الإمام أحمد في السنة، والدارقطني في الصفات، والبيهقي في الأسماء والصفات، والحاكم في المستدرك، وصححه على شرط الشيخين، ولم يتعقبه الذهبي، وصححه الألباني في مختصر العلو، وأحمد شاكر في عمدة التفسير.
সাঈদ বিন জুবাইরের সূত্রে ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, কুরসি হলো মহান আল্লাহর কুদরতি কদম (পা) মুবারক রাখার স্থান।
হাদীসটি ছহীহ।
,
তাফসিরে আহসানুল বায়ানে আছেঃ
মহান আল্লাহর গুণাবলীর ব্যাপারে মুহাদ্দেসীন ও সালফে-সালেহীনদের নীতি হল, তাঁর গুণগুলি যেভাবে কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, সেগুলির কোন অপব্যাখ্যা ও ধরন-গঠন নির্ণয় না করে তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করা। কাজেই এটাই বিশ্বাস করতে হবে যে, এটা সত্যিকারের কুরসী যা আরশ থেকে পৃথক বস্তু (এবং সঠিক মতে তা আল্লাহর পা রাখার জায়গা)। তার ধরন ও আকৃতি কেমন এবং তাতে মহান আল্লাহ কিভাবে আসীন হন, তা আমরা বর্ণনা করতে পারব না। কেননা, তার অর্থ আমাদের জানা; কিন্তু তার প্রকৃতত্ব আমাদের কাছে অজানা।
(০৯)
এ মর্মে কোনো হাদীস পাইনি।
(১০)
আল্লাহ মানে প্রভু,স্রষ্টা।
,
তায়ালা মানে মহান।
تَعَالَى (تَعَالِي) [علو]
[তা'আলা] মানে
উঁচু হওয়া,উচ্চ হওয়া,বড় হওয়া,ঊর্ধ্বে হওয়া,শ্রেষ্ঠ হওয়া,মহান হওয়া।
,
[সুব্হানাহু ওতায়ালা]
আল্লাহ কত মহান! আল্লাহ কত পবিত্র!
,
জাল্লা শানুহু মানে তার মর্যাদা অনেক উঁচু।
.
جَلَّ [ض] (جَلَال ، جَلَالَة)
[জাল্লা,জালালাহ,] ও জাল্লাহ মানে
বড় হওয়া,মহান হওয়া,মহিমান্বিত হওয়া,বয়স্ক হওয়া।