ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «الْمَاهِرُ بِالْقُرْآنِ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ، وَالَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَتَتَعْتَعُ فِيهِ وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقٌّ لَهُ أَجْرَانِ» " مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, কুরআন সম্পর্কে বিজ্ঞজনদের হাশর হবে, আ'মলনামা লিখক পবিত্রতম ফিরিস্তাদের সাথে। আর যে ব্যক্তি কোরআন পড়তে আটকে যায় এবং এমন অবস্থায় সে কুরআনকে পড় যে, কুরআনের উচ্ছারণ তার জন্য কষ্টকর লাগে।সে ব্যক্তি দু'টি সওয়াব পাবে।(প্রথম সওয়াব পাবে পড়ার জন্য এবং দ্বিতীয় সওয়াব পাবে কষ্ট করে পড়ার জন্য) (মিশকাতুল মাসাবিহ-২১১২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) শিখার আগ পরযন্ত বাংলা উচ্চারনে তেলওয়াত করা যাবে। এতে কোনো অসুবিধে হবে না।
(২) তিলাওয়াত শ্রবণ করাও সওয়াবের কাজ। তবে তিলাওয়াত শ্রবণের সওয়াব তিলাওয়াত করার সমপরিমাণ হবে না।
(৩) জ্বী, ছোট ছোট সূরা সমূহকে পড়লেও কুরআন তিলাওয়াতের সওয়াব পাওয়া যাবে। তবে সম্পূর্ণ কুরআন তিলাওয়াতের সওয়াব পাওয়া যাবে না। কুরআন মুখস্থ করার চেয়ে দেখে পড়ার সওয়াব অনেক বেশী।