আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (57 points)
১. আরাফারদিনে কি আমাদের রুহ  সৃষ্টি করা হয়েছে?

২.ঈদের দিন কোনো মহিলা হায়েজগ্রস্থা হলে ওয়াজিব ঈদের সালাত কিভাবে আদায় করবে?সুস্থ হবার পর কাজা?
৩.বেতরের সালাতে প্রথম রাকাতে যেকোনো সূরা পাঠের পর দ্বিতীয় রাকাতে কি একটা সূরা ডিঙিয়ে পড়া যাবে? যেমন প্রথম রাকাতে সূরা   কাওসার পড়ে পরের রাকাতে সূরা নাসর পড়া যাবে কি?

৪.তাকবিরে তাশরিক কি আমাদের দেশ অনুযায়ী তারিখ ধরব?

হায়েজগ্রস্থা হলে ওয়াজিব তাকবির গুলো কিভাবে দিব?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
এ সংক্রান্ত কোনো হাদীস পাইনি।
,
(০২)
না,তার এই নামাজ কাজা পড়তে হবেনা।
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
হানাফি মাযহাব মতে মহিলাদের উপর ঈদের নামাজ সুন্নাত নয়।     

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عن عبد الله بن سويد الأنصاري عن عمته امرأة أبي حميد الساعدي : أنها جاءت النبي صلى الله عليه و سلم فقالت : يا رسول الله صلى الله عليه و سلم إني أحب الصلاة معك فقال : قد علمت أنك تحبين الصلاة معي و صلاتك في بيتك خير من صلاتك في حجرتك و صلاتك في حجرتك خير من صلاتك في دارك و صلاتك في دارك خير من صلاتك في مسجد قومك و صلاتك في مسجد قومك خير من صلاتك في مسجدي فأمرت فبني لها مسجد في أقصى شيء من بيتها و أظلمه فكانت تصلي فيه حتى لقيت الله عز و جل

আব্দুল্লাহ বিন সুয়াইদ আল আনসারী রাঃ তার চাচা থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু হুমাইদ আস সায়িদী এর স্ত্রী রাসূল সাঃ এর কাছে এসে  বললেনহে আল্লাহর রাসূল! নিশ্চয় আমি আপনার সাথে নামায পড়তে পছন্দ করি। তখন নবীজী সাঃ বললেন-আমি জেনেছি যে, তুমি আমার সাথে নামায পড়তে পছন্দ কর।  অথচ তোমার একান্ত রুমে নামায পড়া উত্তম তোমার জন্য তোমার বসবাসের গৃহে নামায পড়ার চেয়ে। আর তোমার বসবাসের গৃহে নামায পড়া উত্তম তোমার বাড়িতে নামায পড়ার চেয়ে। আর তোমার বাড়িতে নামায পড়া উত্তম তোমার এলাকার মসজিদে নামায পড়ার চেয়ে। আর তোমার এলাকার মসজিদে নামায পড়া উত্তম আমার মসজিদে [মসজিদে নববীতে] নামায পড়ার চেয়ে।  তারপর তিনি আদেশ দিলেন তার গৃহের কোণে একটি রুম বানাতে। আর সেটিকে অন্ধকারচ্ছন্ন করে ফেললেন। তারপর সেখানেই তিনি নামায পড়তেন মৃত্যু পর্যন্ত।
সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১৬৮৯,
ইলাউস সুনান-৩/২৬।

হানাফি মাজহাব মতে, যদি কোনো নারী ঈদের নামাজ পড়ে তবে তা নফল হবে। আর নফল নামাজ জামাআতে পড়া মাকরূহ। সুতরাং ফেতনার আশংকায় নারীদের ঈদের নামাজ আদায় করাও মাকরূহ।
,
★তবে অন্যান্য কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে এটি জায়েজ আছে।
সুতরাং তাদের মতানুসারীগন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন। 
আপনি সেই মতানুসারি হলেও আপনাকে ঈদের নামাজ কাজা আদায় করতে হবেনা।
,
             
(০৩)
ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটি করা মাকরুহ।
অনিচ্ছাকৃতভাবে হলে কোনো সমস্যা  নেই।
,
(০৪(
হ্যাঁ আমাদের দেশ অনুযায়ী ধরতে হবে।
,
 হায়েজগ্রস্থা হলে তাকবির জরুরি নয়,তবে চাইলে প্রত্যেক নামাজের ওয়াক্তে মুখে মুখে বলতে পারেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...