আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ শায়েখ।
আমি আজ সকালে একটি ভয়ংকর স্বপ্ন দেখি।
(যখন আমি দ্বীনের পথে ছিলাম না, তখন একটি হারাম রিলেশনে জড়িত ছিলাম) উনাকে (অর্থাৎ যার সাথে সম্পর্কে ছিলাম) দেখি আমার বাসায় এসেছেন আমি অনেক ভয় পাচ্ছিলাম স্বপ্নে উনাকে দেখে। তারপর দেখি কিছুক্ষণ পর পর লুকিয়ে আমার রুমে আছেন এবং আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন। অন্য পুরুষ দেখছেন এটা তো খারাপ লাগছিল + অনেক ভয় লাগছিল। উনি দেখতে কি রকম ছিলাম সব ভুলে গিয়েছিলাম কিন্তু আজ একদম স্পষ্ট ভাবে উনার মুখ দেখতে পাই। মনে হচ্ছিল উনি আমার উপর খুব রেগে আছেন। তারপর দেখি, আমি অনলাইনে পড়ছি হঠাৎ উনি কি যেন করছেন আমাকে পড়তে দিচ্ছেন না। আমার ক্লাসে ডুকে আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন। তারপর আমি আমার রুমের দরজা বন্ধ করছিলাম এই ভয়ে যেন তিনি না আসতে পারেন। কিন্তু দরজা লাগছিল না। দরজা খোলে যাচ্ছে! যতবার লাগচ্ছি খোলে যাচ্ছে। তারপর আমি আমার সর্ব শক্তি দিয়ে দরজাকে লাগিয়ে রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু তারপরও দেখছি উনি দরজার সামনে ভয় না দেখিয়ে ক্লাসে ভয় দেখাচ্ছেন। আমাকে ক্লাস করতে দিচ্ছেন না। লাস্টে খুব বড় কিছু একটা হয়েছিল কিন্তু ঠিক বুঝি নাই কি হয়েছিল! যার জন্য আমার স্বপ্ন ভেঙে যায়। আমি এতটা ভয় পেয়েছিলাম আমার হৃদপিণ্ড খুব জুড়ে জুড়ে কাপছিল মনে হচ্ছিল কাপা বন্ধ হচ্ছে না!
আমি ২ দিন ধরে উনাকে স্বপ্ন দেখছি খুবই রাগ অবস্থায় মনে হচ্ছে আমার ক্ষতি করতে চাচ্ছেন!   স্বপ্নে আমার মনে হচ্ছিল আমাকে মুলত ইলম অর্জন থেকে দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছিল!

২য় স্বপ্নঃ

আমি দেখি আমার দাদী এবং ২ জন খাদিমাহ কুফুরি কিছু করছেন জ্বীন বিষয়ে। উনাদের হাতে (৩টি খুব সম্ভব) তাবিজ ছিল তারা এটা তাদের কাছে রাখতে চাচ্ছেন। কারণ তারা মনে করছেন এই তাবিজ তাদেরকে হিফাযত করবে জ্বীন থেকে। এই তাবিজ তাদের জীবন মনে করছেন। আমি স্বপ্নে লুকিয়ে দেখি, তারপর আমি তাদের হাত থেকে তাবিজ নিয়ে পুরিয়ে ফেলি তারপর উচ্চস্বরে তাকবীর দেই। উনারা বলছেন তুই শেষ জ্বীন তকে শেষ করে ফেলবে। তারপর কি হলো বুঝতে পারলাম না। পরে দেখি আমার রুহ আসমানে উড়ছে। আমি অনেক সুন্দর সুন্দর নিদর্শন দেখেছি। তারপর দেখি আমার রুহ আমি ফিরে পেয়েছি। মনে হচ্ছিল নতুন জীবন পেয়েছি আর আমি রুহ পাওয়ার পর সময় খেয়াল করে দেখি তাহাজ্জুদ এর সময় ছিল এটা। আমি উঠি আমাকে দেখে দাদী অবাক হয়ে যান। তারপর আর স্পষ্ট মনে নাই...

বিঃদ্রঃ আমি ২য় স্বপ্ন দেখার আগে ইস্তেখারার দুআ শুধু পড়েছিলাম। ইস্তেখারার স্বলাত পড়ি নাই। ইস্তেখারা করেছিলাম ordekdeen.com e একজন পাএের বায়ো ডাটা দেখে পছন্দ হয়েছিল। উনার সাথে যোগাযোগ করার আগে আল্লাহ কাছে সাহায্য চেয়ে জানতে চাচ্ছিলাম উনার সাথে যোগাযোগ করবো কিনা।
এই স্বপ্ন কি কোন ভাবে ইস্তেখারার সাথে সম্পৃক্ত?

এই স্বপ্ন গুলোর ব্যাখ্যা জানতে চাচ্ছি।
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা বিশেষজ্ঞ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সীরিন রহ. বলেছেন :
 الرؤيا ثلاث : حديث النفس ، وتخويف الشيطان ، وبشرى من الله . (رواه البخاري في التعبير) 
স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে। মনের কল্পনা ও অভিজ্ঞতা। শয়তানের ভয় প্রদর্শন ও কুমন্ত্রণা ও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সুসংবাদ। (বর্ণনায় : বুখারি)

হযরত আবু রাযিন আল-উক্বাইলী রাঃ বলেন নবী কারীম সাঃ বলেছেন
، عَنْ أَبِي رَزِينٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُؤْيَا المُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ، وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يَتَحَدَّثْ بِهَا، فَإِذَا تَحَدَّثَ بِهَا سَقَطَتْ». 
মু'মিনের স্বপ্ন হচ্ছে নবুওতের চল্লিশভাগের এক ভাগ(অর্থাৎ তা সত্যরূপ পরিনত হয়ে থাকে),যে স্বপ্ন দেখেছে স্বপ্নটা তার উপর ঘুর্ণায়মান থাকে যতক্ষণ না কারো কাছে ব্যক্ত করে,অতঃপর যখন সে কারো কাছে ব্যক্ত করে (এবংঐ ব্যক্তি এর কোনো ব্যখ্যা প্রদান করে) তখন ঐ ব্যখ্যা অনুযায়ীই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।(তিরমিযি হাদীস নং ২২৭৮)


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বর্তমান পাত্রর পরিবর্তে আপনি ভিন্ন কোথাও পাত্র দেখার চেষ্টা করুন, মনে হচ্ছে সেটাই কল্যাণকর হতে পারে। আল্লাহই ভালো জানেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...