জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
রঙ্গিন কাপড় পরিধান করা যাবে,তবে আকর্ষণীয় ডিজাইনের পোশাক পরিধান করে তার সামনে যাওয়া যাবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا : قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيْلَاتٌ مَائِلَاتٌ رُؤوسهم كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْمَائِلَةِ لَا يَدْخُلْنَ الْجَنَّةَ وَلَا يَجِدْنَ رِيحَهَا وَإِنَّ رِيحَهَا لَتُوْجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا وَكَذَا»
উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাহান্নামীদের মধ্যে দু’টি এমন দল হবে যাদেরকে আমি দেখতে পাব না, কিন্তু তাদের একদল লোকের হাতে গরুর লেজের ন্যায় চাবুক থাকবে। যা দিয়ে তারা লোকেদেরকে অনৈতিকভাবে মারধর করবে। আর দ্বিতীয় দলটি হবে ঐ সমস্ত মহিলারা, যারা কাপড় পরবে অথচ উলঙ্গের ন্যায় দেখা যাবে এবং তারা সদিচ্ছায় পুরুষদের দিকে আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথার চুলের খোঁপা বুখতী উটের হেলে পড়া কুঁজের ন্যায় হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না এবং জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। যদিও তার সুঘ্রাণ দূর-দূরান্ত হতে পাওয়া যাবে।
সহীহ : মুসলিম ২১২৮, সহীহাহ্ ১৩২৬, সহীহ আল জামি‘ ৩৭৯৯, সহীহ আত্ তারগীব ২০৪৪,মিশকাত ৩৫২৪।
,
(০২)
খালেছ দিলে তওবার পাশাপাশি উক্ত গুনাহের কাজ বন্ধের আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
তাহলে আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন,ইনশাআল্লাহ।
,
(০৩)
তাকে নিয়ে কোনোভাবেই ভাবা যাবেনা।
সুন্নাত তরিকায় ঘুমাতে হবে।
,
(০৪)
আমাদের দেশে প্রচলিত কাগজের নোট ব্যবহার হারাম নয়।
,
(০৫)
দোয়ার শর্ত মেনে দোয়া করলে অবশ্যই কবুল হবে।
দুনিয়াতে বাস্তবে কবুল না হওয়া দেখলেও আখেরাতে এর জাযা পাবে।
,
কবুল কেনো হলোনা,এ বিষয়টি মহান আল্লাহ তায়ালার ইখতিয়ারে রয়েছে।
এটি জানার জন্য ইস্তেখারা করার সুযোগ নেই।
,
(০৬)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ مَنۡ یُّشَاقِقِ الرَّسُوۡلَ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا تَبَیَّنَ لَہُ الۡہُدٰی وَ یَتَّبِعۡ غَیۡرَ سَبِیۡلِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ نُوَلِّہٖ مَا تَوَلّٰی وَ نُصۡلِہٖ جَہَنَّمَ ؕ وَ سَآءَتۡ مَصِیۡرًا ﴿۱۱۵﴾
আর কারো নিকট সৎ পথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মুমিনদের পথ ছাড়া অন্য পথ অনুসরণ করে, তবে যেদিকে সে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে আমরা ফিরিয়ে দেব এবং তাকে জাহান্নামে দগ্ধ করাব, আর তা কতই না মন্দ আবাস।
সুরা নিসা ১১৫
তাফসিরে জাকারিয়াতে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ
এ উম্মতের ইজমা বা কোন বিষয়ে ঐক্যমতে পৌছার পর সেটার বিরোধিতা করা অবৈধ। কারণ, তারা পথভ্রষ্টতায় একমত হবে না। মুমিনদের মত ও পথের বিপরীতে চলার কোন সুযোগ নেই।
,
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেন,
فَعَلَيْكَ بِالْجَمَاعَةِ فَإِنَّمَا يَأْكُلُ الذِّئْبُ الْقَاصِيَةَ " .
অতএব তোমরা জামা‘আতকে আকঁড়ে ধর। কারণ নেকড়ে (বাঘ) দলচ্যুত বকরীটিকেই খেয়ে থাকে।
(আবু দাউদ ৫৪৭.হাকিম (১/২১১), আহমাদ (৫/১৯৬, ৪৪৬), ইবনু খুযাইমাহ (১৪৮৬)