আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
reopened by
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ। আমার বাসার পাশে একটা বিড়াল থাকতো। মাঝে মাঝে বাসায় আসলে খাবার দিতাম, আমার বাসায় সে বাচ্চাও দেয় এবং মাঝে মধ্যে থাকতোও। ২ দিন আগে সে অসুস্থ হয়ে যায়। বোঝা গেছে সে হয়তো বাঁচবে না। কিন্তু এ অবস্থাতেও ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবার এবং তার চিকিৎসা করার মত আর্থিক সচ্ছলতা আমাদের ছিলো না। একসময় সে মারা যায়। এর ফলে কি আমাদের গুনাহ হবে অথবা কিয়ামাতের ময়দানে সে আমাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করবে কি? আল্লাহর সৃষ্টির হক কি এক্ষেত্রে লঙ্ঘিত হয়েছে? যদি হয়ে থাকে তবে এক্ষেত্রে এখন আমার করণীয় কী?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত ইবনে উমর থেকে বর্ণিত,
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ( دخلتِ امرأةٌ النارَ في هِرَّة حبَسَتْها، لا هي أطعَمَتْها ولا هي ترَكَتْها تأكُلُ مِن خَشَاش الأرض حتى ماتَتْ )
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।(সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রাণীকে বন্ধী করে রাখলে তার খাবার দাবার ও চিকিৎসা সবকিছুই বন্ধী কারী ব্যক্তির উপর আপতিত হয়।তবে বন্ধী করে না রাখলে তার খাবার দাবার ও চিকিৎসা কারো উপর আপতিত হবে না।
যেহেতু বিড়ালকে আপনি বন্ধী করে রাখেন নি,তাই উক্ত বিড়ালের খাবার দাবার ও চিকিৎসা আপনার উপর ওয়াজিব ছিলনা।সুতরাং বিড়ালটি এমনিতেই মারা গেলে তার জন্য আপনাকে দায়ভার গ্রহণ করতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...