ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
এটা তো সকল কাপড়ের বেলায় নয়,বরং অদৃশ্যমান নাজাসত সম্ভলিত কাপড়ের বেলায় উক্ত হুকুম প্রযোজ্য। ইসলাম তো সহজ করেই দিয়েছে।কেননা ইসলাম পূর্ববর্তী অন্যান্য ধর্মে কাপড়ে নাপাকি লাগলে উক্ত স্থানকে কেটে ফেলে দিতে হতো।কিন্তু ইসলাম ধৌত করার কথা বলছে।তাছাড়া কোনো কাপড়কে তিনবার ধৌত করা ও নিংড়ানো অসম্ভব হল,সেই কাপড়ে বেশকিছু পানি ঢেলে দিলেই উক্ত জিনিষ পবিত্র হয়ে যায়।তবে সাধারণ হুকুম হল,অদৃশ্যমান নাজাসতকে তিনবার ধৌত করা।এবং প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে ধৌত করা।
(২)
জ্বী, নিংড়িয়েই ধৌত করতে হবে।হ্যা, নিংড়ানোর কারণে যদি কাপড় ছিড়ে যাওয়া বা সাথে সাথেই নষ্ট হওয়ার সম্ভবাবনা থাকে,তাহলে উক্ত কাপড়কে তিনবার বেশ পানিতে ঢুবিয়ে বা তার উপর বেশ কিছু পানি ঢেলে দিলেই উক্ত কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।
(৩)
জ্বী,এভাবে হবে।তখন তিনবার নিংড়ানোর প্রয়োজন নাই,বরং একবার নিংড়ালেই হবে।
(৪)
কাপড় পবিত্র হওয়ার জন্য বিসমিল্লাহ বলা জরুরী নয়। যেহেতু প্রত্যেক ভালো কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা উত্তম,তাই কাপড় ধৌত করার মুহূর্তে বলা যেতে পারে।
(৫)
পড়লে সম্পূর্ণটাই পড়া উত্তম।
(৬)
বাহির এসে বিসমিল্লাহ বলে তারপর ভিতরে প্রবেশ করে ধৌত করা যাবে।বিসমিল্লাহ বলা জরুরী নয়।বরং মুবাহ।
(৭)
পাক পবিত্র কাপড় পরে গোসল করতে হবে।নতুবা শরীর অপবিত্রই রয়ে যাবে।
(৮) অদৃশ্যমান নাজাসত হলে, তিনবার ধৌত করতে হবে। আর কাপড় শরীরে নিয়ে বেশিক্ষণ পানিতে থাকলে, গোসল শেষ একবার নিংড়ালেই হবে।
(৯)
এতটুকু পরিমান নিলেই কি হবে যে সব কাপড় পানিতে ডুবেছে।
(১০) জ্বী,পাক কাপড় নাপাক হবে।
(১১) যদি নাপাক কাপড় থেকে নাজাসত পাক কাপড়ে লাগে,তাহলে পাক কাপড়ও নাপাক হবে।
(১২) না,নাপাক হবে না।
(১৩) জ্বী,যাবে।