আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
447 views
in পবিত্রতা (Purity) by (98 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
১. কাপড়ের ময়লা পরিস্কার করে তিনবার পানি চেঞ্জ করে নিংড়াতে হয়! আর প্রতি বার এমন ভাবে নিংড়াতে হয় যে এক ফোঁটা পানিও যেন না পরে! এভাবে প্রতি বার নিংড়ানো কি সম্ভব যে এক ফোঁটা পানিও পরবে না? ভেজা কাপড় নিংড়ানোর পরও পানি সামান্য পরতেই থাকে! কয়েকটা কাপড় ধুয়ে ঐভাবে নিংড়ালে  হাত ব্যাথা হয়ে যায়!  ইসলাম তো সহজতা চায়! এটা তো কঠিন! করনীয় কি?

২.আর দৈনন্দিন কাপড় এভাবে টাইট করে নিংড়ালে কাপড়ের স্থায়িত্ব কমে যায়,  কাপড় বেশি দিন টেকসই হয় না, ছিড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে খুব দ্রুত!  এক্ষেত্রে পরামর্শ চাই!

৩.কাপড়ের নাপাকি পরিস্কার করার পর তিনবার না পানি চেঞ্জ করে না নিংড়িয়ে যদি কলের পানি ছেড়ে তার নিচে কাপড়  কিছুক্ষণ রাখা হয় তারপর নিংড়িয়ে নেয়া হয় তাতে পাক হবে? এক্ষেত্রেও কি তিনবার কল ছেড়ে নিংড়াতে হবে?
কল ছাড়া অবস্থায় তা প্রবাহিত পানির মতো হয়ে যায় না?  যেমন পাহাড়ি ঝর্ণা প্রবাহিত পানির উদাহরণ, তেমনি কল ছাড়া অবস্থায় পানি ও তো প্রবাহিত!
৪. কাপড় ধোঁয়ার ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহ বলা কি জরুরি?  একবার বিসমিল্লাহ বললেই কি হয় নাকি তিনবার বলতে হয়?
৫. শুধু বিসমিল্লাহ বললেই কি হবে নাকি সম্পুর্ন বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলতে হয়?
৬. এটাচড্ ওয়াশরুম হওয়ায়  আরবি উচ্চারণ করা যায় না! সেক্ষেত্রে কাপড় ধোঁয়ায় বিসমিল্লাহ কিভাবে বলা যায়? মনে মনে বললেও মাখরাজ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা বুঝা যায় না!  করনীয় কি?

৭. ফরজ গোসল করার সময় পাক কাপড় পরে গোসল করা কি জরুরি?  যদি নাপাক কাপড় পরে গোসল করা হয় তাতে কি গোসল হবে না?

৮. কোনো পাক কাপড় পরে যদি  শুধু গোসল  করা হয় সেক্ষেত্রে গোসল শেষে উক্ত কাপড় টি পানিতে একবার চুবিয়ে একবার নিংড়িয়ে নিলেই তো হবে তাই না? পরের দিন আবার সেই কাপড় পরেই গোসল করা যাবে এবং তা পাক থাকবে?

 নাকি তা নাপাক হয়ে যায় আর নাপাক কাপড়ের মতো তিনবার পানি চেঞ্জ করে ধুতে হয়? [ গোসল শেষে কাপড় ধুলে পানি শরীরে ছিটে তাই আলাদা যে কোনো গামছা বা কাপড় রাখতে চাই যেটা পরে শুধু গোসলই করা হবে! সপ্তাহে একবার সেই কাপড় ভালো করে ধুয়ে তিনবার নিংড়িয়ে নিবো কিন্তু  সেই গামছা/কাপড় প্রতিদিন একবার গোসল শেষে নিংড়িয়ে নিলেই কি হবে?]

৯. কাপড় তিনবার আলাদা পানিতে ধুয়ে নেয়ায় প্রতিবার যে পানি নেয়া হয় তা এতটুকু পরিমান নিলেই কি হবে যে সব কাপড় পানিতে  ডুবেছে নাকি প্রতিবার এক বালতি পানি নিতে হবে? [ তিনবার পানি চেঞ্জ করে ধোয়ায় পানি খরচ হয় অনেক! এতে কি গুনাহ হবে?  কিন্তু এটাই তো নিয়ম]

১০. কোনো নাপাক কাপড় যদি একবার পানিতে চুবিয়ে নিংড়ানো হয় আর তা ভেজা/শুকনো পাক কাপড়ের সাথে লাগে তাতে কি পাক কাপড় নাপাক হয়ে যাবে?

১১.  মাঝে মাঝে পাক নাপাক কাপড় একসাথে শুকোতে দেয়া হয়,  বাতাসে পাক-নাপাক কাপড় কিছুটা লেগে যায় বা স্পর্শ হয়, এতে কি পাক কাপড় নাপাক হয়ে যায়?
১২. এমন যদি হয়,  আমার পরনের কাপড় নাপাক,  এই অবস্থায় কোনো ভেজা পাক কাপড় শুকোতে দিচ্ছি আর শুকোতে দেয়ার সময় পরনের কাপড়ের সাথে পাক কাপড় সামান্য লাগতেই পারে,  এক্ষেত্রে কি পাক কাপড় নাপাক হয়ে যায়?
১৩. কোনো রশিতে বা জায়গায় ভেজা নাপাক কাপড় শুকাতে দেয়া হয়েছিলো আর তা শুকানোর পর অন্য কোনো সময় ভেজা পাক কাপড় সেখানে শুকাতে দেয়া যাবে? উক্ত রশি বা জায়গা টি কি নাপাক হয়ে যায়, ভেজা নাপাকি কাপড় শুকাতে দেয়ার কারণে?
একসাথে অনেকগুলো প্রশ্ন করেছি, আফওয়ান!

জাযাকাল্লাহু খইর!

1 Answer

0 votes
by (714,120 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
এটা তো সকল কাপড়ের বেলায় নয়,বরং অদৃশ্যমান নাজাসত সম্ভলিত কাপড়ের বেলায় উক্ত হুকুম প্রযোজ্য। ইসলাম তো সহজ করেই দিয়েছে।কেননা ইসলাম পূর্ববর্তী অন্যান্য ধর্মে কাপড়ে নাপাকি লাগলে উক্ত স্থানকে কেটে ফেলে দিতে হতো।কিন্তু ইসলাম ধৌত করার কথা বলছে।তাছাড়া কোনো কাপড়কে তিনবার ধৌত করা ও নিংড়ানো অসম্ভব হল,সেই কাপড়ে বেশকিছু পানি ঢেলে দিলেই উক্ত জিনিষ পবিত্র হয়ে যায়।তবে সাধারণ হুকুম হল,অদৃশ্যমান নাজাসতকে তিনবার ধৌত করা।এবং প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে ধৌত করা।


(২)
জ্বী, নিংড়িয়েই ধৌত করতে হবে।হ্যা, নিংড়ানোর কারণে যদি কাপড় ছিড়ে যাওয়া বা সাথে সাথেই নষ্ট হওয়ার সম্ভবাবনা থাকে,তাহলে উক্ত কাপড়কে তিনবার বেশ পানিতে ঢুবিয়ে বা তার উপর বেশ কিছু পানি ঢেলে দিলেই উক্ত কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।

(৩)
জ্বী,এভাবে হবে।তখন তিনবার নিংড়ানোর প্রয়োজন নাই,বরং একবার নিংড়ালেই হবে।

(৪)
কাপড় পবিত্র হওয়ার জন্য বিসমিল্লাহ বলা জরুরী নয়। যেহেতু প্রত্যেক ভালো কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা উত্তম,তাই কাপড় ধৌত করার মুহূর্তে বলা যেতে পারে।


(৫)
পড়লে সম্পূর্ণটাই পড়া উত্তম।

(৬)
বাহির এসে বিসমিল্লাহ বলে তারপর ভিতরে প্রবেশ করে ধৌত করা যাবে।বিসমিল্লাহ বলা জরুরী নয়।বরং মুবাহ। 

(৭)
পাক পবিত্র কাপড় পরে গোসল করতে হবে।নতুবা শরীর অপবিত্রই রয়ে যাবে।

(৮) অদৃশ্যমান নাজাসত হলে, তিনবার ধৌত করতে হবে। আর কাপড় শরীরে নিয়ে বেশিক্ষণ পানিতে থাকলে, গোসল শেষ একবার নিংড়ালেই হবে।


(৯)
এতটুকু পরিমান নিলেই কি হবে যে সব কাপড় পানিতে  ডুবেছে।

(১০) জ্বী,পাক কাপড় নাপাক হবে।

(১১) যদি নাপাক কাপড় থেকে নাজাসত পাক কাপড়ে লাগে,তাহলে পাক কাপড়ও নাপাক হবে।

(১২) না,নাপাক হবে না।
(১৩) জ্বী,যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,120 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...