ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ
"আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " রয়েছে,
تغير الماء بتراب المعادن:
ذهب الحنفية والمالكية إلى أن تغير الماء المطلق بتراب المعدن لا يضر، ويجوز التطهر به؛ لأنه تغير بما هو من أجزاء الأرض. وذهب الشافعية والحنابلة إلى: أن الماء المتغير بما لا يمكن صونه عنه من تراب المعادن، بأن يكون في مقره أو ممره لا يمنع التطهر به، ولا يكره استعماله فيه.
খনিজ পদার্থ দ্বারা পানি পরিবর্তিত হলে করণীয়ঃ
হানাফি ও মালিকি মাযহাব মতে খনিজ পদার্থ দ্বারা পানি পরিবর্তিত হয়ে গেলে কোনোপ্রকার সমস্যা হবে না।এদ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা জায়েয রয়েছে।কেননা এখানে জমিনের অংশ দ্বারা পানি পরিবর্তিত হচ্ছে।শাফেয়ী এবং হাম্বলী মাযহাব মতে,পরিবর্তিত হয়ে যাওয়া এমন পানি যা খনিজ পদার্থর সাথে সংস্পর্শ হওয়া ব্যতীত অন্য কোনো উপায় নেই।যেমন পানির উৎসস্থলে বা পানির চলাচলের রাস্তায় উক্ত খনিজ পদার্থ থাকা।এমন পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যাবে।এতে কোনো সমস্যা নাই।এবং এ পানিকে ব্যবহার করাও মাকরুহ হবে না।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-১১/১৪৯)
اتفق الفقهاء على أن الماء إذا اختلط به شيء طاهر - ولم يتغير به لقلته - لم يمنع الطهارة به، لأن الماء باق على إطلاقه. كما اتفقوا على أن الماء إذا خالطه طاهر لا يمكن الاحتراز منه - كالطحلب والخز وسائر ما ينبت في الماء، وكذا أوراق الشجر الذي يسقط في الماء أو تحمله الريح فتلقيه فيه، وما تجذبه السيول من العيدان والتبن
ونحوه كالكبريت وغيره - فتغير به يجوز التطهير به، لأنه يشق التحرز منه أما الماء الذي خالطه طاهر يمكن الاحتراز عنه - كزعفران وصابون ونحوهما - فتغير به أحد أوصافه فقد اختلفوا في حكمه إلى فريقين
ফুকাহায়ে কেরাম একমত যে,যখন পানির সাথে কোনো পবিত্র জিনিষ মিলিত হবে,এবং পানিকে পবিবর্তন করবে না,সে পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যাবে।কেননা পানি তার স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে।যেমন উলামায়ে কেরাম ঐ মিক্সিং পানি সম্পর্কে বৈধতার হুকুম প্রদানে একমত, যে পানিতে এমন কোনো পবিত্র জিনিষ মিলিত হয় যা থেকে বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব।যেমনঃ পানিতে জন্ম নেয় উদ্ভিদ বা জল মশৃগাল সহ যাবতীয় পানীর উদ্ভিদের সাথে সংমিশ্রিত পানি।ঠিক তেমনি গাছের পাতা যা পানিতে পড়ে বা বাতাশ বয়ে নিয়ে পানিতে নিক্ষেপ করে।এবং পানি স্রোতে যেই সমস্ত কাঠ ইট বারুদ ইত্যাদি চলে আসে অতঃপর উক্ত পানিকে পরিবর্তন করে ফেলে, তারপরও এমন পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যাবে।কেননা এত্থেকে বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব।তবে ঐ পানি যার সাথে এমন কোনো পবিত্র জিনিষ মিলিত হয়,যার থেকে সহসাই বেঁচে থাকা সম্ভব।যেমন জাফরান, সাবান ইত্যাদি।এর দ্বারা যদি পানির কোনো গুনাগুনে পরিবর্তিত হয়ে যায়,তাহলে তখন পবিত্রতা অর্জন নিয়ে দু'টি মাতামত পাওয়া যায়।হানাফি মাযহাব ও এক বর্ণনায় ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ এর মতে উক্ত পানি নিজেও পবিত্র এবং অন্যকে পবিত্র করতে পারবে।আর মালিকী মাযহাব ও শাফেয়ী মাযহাব এবং এক বর্ণনা অনুযায়ী ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ এর মতে উক্ত পানি নিজে পবিত্র হলেও অন্যকে পবিত্র করতে পারবে না (আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৩৯/৩৬৫)
হাশিয়াতুত তাহতাবী নামক কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
و " أما إذا بقي على رقته وسيلانه: فإنه " لا يضر " أي لا يمنع جواز الوضوء به " تغير أوصافه كلها بجامد:" خالطه بدون طبخ " كزعفران وفاكهة وورق شجر
পানি যদি পাতলা এবং বহমানযোগ্য থাকে,তাহলে এই পানি দ্বারা অজু গোসল বৈধ হওয়া নাজায়েয নয় যদি সেই পানির সমস্ত গুনাগুন কোনো জামিদ জিনিষ(পাক করা নয় এমন) দ্বারা পরিবর্তিত হয়ে যায়।যেমন জাফরান, ফলমূল এবং গাছের পাতা ইত্যাদি দ্বারা পরিবর্তিত হয়ে যাওয়া।(হাশিয়াতুত তাহতাবী-১/২৫)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
যেহেতু আয়রণ থেকে পানিকে বাঁচানো সম্ভব নয়,তাই উক্ত আয়রণ যুক্ত পানি দ্বারা অজু হবে।