আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,693 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

অনেক সময় শয়তানের ধোঁকায় পড়ে খারাপ কিছু দেখে ফেললে কিংবা পরবর্তীতে সেগুলো কল্পনায় আসলে উত্তেজনা বশত এক প্রকার তরল পদার্থ নিসৃত হয় লজ্জাস্থান থেকে।আমার প্রশ্ন হল এতে কি গোসল ফরয হবে?নাকি ওযু করে নিলেই হবে।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
বিসমিহি তা'আলা

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أما بعد:

জবাবঃ-
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ
"আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " রয়েছে,
المذي والمذي لغة: ماء رقيق يخرج عند الملاعبة أو التذكر ويضرب إلى البياض
মযী ঐ পাতলা পানিকে বলা হয়,যা নারী-পুরুষ এর অঙ্গাঙ্গী বা কামউত্তেজনার মূহুর্তে বের হয়,কিংবা সহবাসের কল্পনার মূহুর্তে বের হয়।যা সাধারণত সাদা কালের মতই হয়ে থাকে।(আল-মাওসুাতুল ফেকহিয়্যাহ-৩৬/৩১৪)

اتفق الفقهاء على أن خروج المذي ينقض الوضوء، وقال ابن المنذر: أجمع أهل العلم على أن خروج المذي من الأحداث التي تنقض الطهارة وتوجب الوضوء ولا توجب الغسل ، لحديث علي رضي الله عنه
সমস্ত ফুকাহায়ে কেরাম একমত যে,মযী বের হলে অজু চলে যাবে।ইবনুল মুনযির রাহ বলেন,উলামায়ের কেরামের ইজমা রয়েছে যে,মযী বের হলে অজু চলে যাবে।যেজন্য ইবাদত করতে হলে অজুর প্রয়োজন পড়বে।এক্ষেত্রে গোসলের কোনো প্রয়োজন নেই।কেননা হযরত আলী রাযি এর হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,(আল-মাওসুাতুল ফেকহিয়্যাহ-৩৬/৩১৬)

হযরত আলী রাযি থেকে বর্ণিত
عن علي، قال: كنت رجلا مذاء فأمرت رجلا أن يسأل النبي صلى الله عليه وسلم، لمكان ابنته، فسأل فقال: «توضأ واغسل ذكرك»
তিনি বলেন,আমি অধিক মযী প্রসবকারী ব্যক্তিদের মধ্য থেকে একজন ছিলাম।যেহেতু আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর দামাদ ছিলাম,তাই আমি একজন(মিকদাদ রাযি)কে দায়িত্ব দিলাম, যাতেকরে উনি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে উক্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন।তিনি জিজ্ঞাসা করলে রাসূলুল্লাহ সাঃ উত্তরে বলেন,তুমি অজু করো এবং তোমার লিঙ্গকে ধৌত করো।(সহীহ বোখারী-২৬৯)

উক্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাঃ গোসলের নির্দেশ দেননি।বরং অজু করার নির্দেশ দিয়েছেন।তাই বুঝা গেল যে,মযী বের হলে শুধুমাত্র অজু করে নিলেই যথেষ্ট হবে।প্রবিত্র হওয়ার জন্য গোসলের কোনো প্রয়োজন পড়বে না। আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, IOM.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আমার মাসিক শুরু হওয়ার পরে হুট করে বন্ধ হয়ে গেছে এখন কি আমার নামায ফরজ হয়ে গেছে।এখনো ঋতুস্রাব হয় না শুধু হবে বুঝা গেছে ফাস্ট দিন শুধু ময়লা জাতীয় কিছু পর্দাথ গেছে এর পরে বন্ধ হয়ে গেছে এখন আমার করনীয় কি?আমার কি এখন নামাজ ফরজ?
by (590,550 points)
যেহেতু আপনার মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে। তাই আপনার উপর গোসল হয়ে গেছে। আপনি এখন গোসল করে ফরয নামায পড়বেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...