আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
425 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)
শাইখ,
নফল সলাত যততত রাকাত পড়া ইসলামে জায়েজ।এখন আমি কি ১ নিয়তে ৮ রাকাত নফল সলাত আদায় করতে পারবো?
হাদীসে আমি যতটুকু পেয়েছি ১ নিয়তে ৪ রাকাত নফল সলাত পড়া নিয়ে, তবে ৮ রাকাত পায় নি এখন ও।
এখন আমি কি তা করতে পারি?যেহেতু ইসলামে এ বিষয়ে  কোন মত পাওয়া যায় না যে( ১ নিয়তে কত রাকাত পড়বে) তবে ২ রাকাত পড়া যায়।
এই বিষয়ে আপনি যদি কোন হাদীস বা ফেহকী মাসআলা পেয়ে থাকেন তবে আমাকে জানান।

১-আর প্রত্যেক মুসলিম এর জন্য কোরবানী করা কি ফরজ?
২-যারা গত বার করেছে, কিন্তু এ বছর না করলে কি গোনাহ হবে?
৩-কোরবানী কি প্রত্যেক বছর করতেই হবে?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
দিনে বা রাতে নফল নামাজ এক সালামের সাথে চার রাকাত পড়া উত্তম।
অবশ্য দুই রাকাত করে পড়াও জায়েজ আছে।
তবে দিনের বেলা নফল নামাজ এক সালামের সাথে চার রাকাত থেকে বেশি পড়া মাকরুহ।
রাতের বেলা নফল নামাজ এক সালামের সাথে আট রাকাত থেকে বেশি পড়া মাকরুহ।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ كَيْفَ كَانَتْ صَلاَةُ رَسُولِ اللهِ فِي رَمَضَانَ فَقَالَتْ مَا كَانَ يَزِيدُ فِي رَمَضَانَ وَلاَ فِي غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يُصَلِّي أَرْبَعًا فَلاَ تَسَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّي أَرْبَعًا فَلاَ تَسَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّي ثَلاَثًا فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَتَنَامُ قَبْلَ أَنْ تُوتِرَ قَالَ يَا عَائِشَةُ إِنَّ عَيْنَيَّ تَنَامَانِ وَلاَ يَنَامُ قَلْبِي
আবূ সালামাহ ইবনু ‘আবদুর রাহমান (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি ‘আয়িশাহ্ (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করেন যে, রমাযানে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাত কিরূপ ছিল? তিনি বললেন, রমাযান মাসে ও রমাযানে ব্যতীত অন্য সময়ে (রাতে) তিনি এগার রাক‘আত হতে বৃদ্ধি করতেন না।[1] তিনি চার রাক‘আত সালাত আদায় করতেন, তুমি তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। অতঃপর তিনি চার রাক‘আত পড়েন। তুমি তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। এরপর তিন রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। আমি [‘আয়িশাহ (রাযি.)] বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি বিতর আদায়ের আগে ঘুমিয়ে যাবেন? তিনি বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ্! আমার দু’চোখ ঘুমায় বটে কিন্তু আমার কালব নিদ্রাভিভূত হয় না। (বুখারী ২০১৩.১১৪৭)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮৮৩)


الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 15):
"(وتكره الزيادة على أربع في نفل النهار، وعلى ثمان ليلاً بتسليمة)؛ لأنه لم يرد، (والأفضل فيهما الرباع بتسليمة)، وقالا: في الليل المثنى أفضل، قيل: وبه يفتى.
 (قوله: لأنه لم يرد) أي لم يرد عنه صلى الله عليه وسلم أنه زاد على ذلك. والأصل فيه التوقيف كما في فتح القدير: أي فما لم يوقف على دليل المشروعية لا يحل فعله بل يكره، أي اتفاقاً كما في منية المصلي، أي من أئمتنا الثلاثة، نعم وقع الاختلاف بين المشايخ المتأخرين في الزيادة على الثمانية ليلاً، فقال بعضهم: لا يكره، وإليه ذهب شمس الأئمة السرخسي، وصححه في الخلاصة، وصحح في البدائع الكراهة، قال: وعليه عامة المشايخ، وتمامه في الحلية والبحر
সারমর্মঃ
দিনের বেলা নফল নামাজ এক সালামের সাথে চার রাকাত থেকে বেশি পড়া মাকরুহ।
রাতের বেলা নফল নামাজ এক সালামের সাথে আট রাকাত থেকে বেশি পড়া মাকরুহ।
কেননা এমনটি রাসুলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ণিত হয়নি।
,
(২.৩)
 প্রত্যেক মুসলমানের উপর নয়,বরং যে ব্যাক্তি ঈদের তিন দিনের মধ্যে নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হবে,কেবল তার উপরেই কুরবানী ওয়াজিব হবে।
গেলো বছর কুরবানী আদায়ের পর এই বছর আবার নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক থাকলে আবার এই বছরের কুরবানী ওয়াজিব হবে।
★প্রত্যেক বছরে নেসাবের মালিক হলে প্রত্যেক বছরেই কুরবানী দিতে হবে।  

কুরবানীর নেসাব সম্পর্কে জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 308 views
0 votes
1 answer 143 views
...