ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কুরআন আল্লাহর কালাম। নবী ও রাসূল হিসেবে হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যে কয়টি মৌলিক দায়িত্ব ছিল, সেসবের মধ্যে অন্যতম- মানুষকে কুরআনের শিক্ষা প্রদান করা। পবিত্র কুরআনের ভাষ্য-
لَقَدْ مَنَّ اللهُ عَلَی الْمُؤْمِنِیْنَ اِذْ بَعَثَ فِیْهِمْ رَسُوْلًا مِّنْ اَنْفُسِهِمْ یَتْلُوْا عَلَیْهِمْ اٰیٰتِهٖ وَ یُزَكِّیْهِمْ وَ یُعَلِّمُهُمُ الْكِتٰبَ وَ الْحِكْمَةَ .
আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অবশ্যই অনুগ্রহ করেছেন, যখন তিনি তাদের নিজেদের মধ্য থেকে তাদের নিকট রাসূল প্রেরণ করেছেন, যে তাঁর আয়াতসমূহ তাদের নিকট তিলাওয়াত করে, তাদেরকে পরিশোধন করে এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়।(সূরা আলে ইমরান -১৬৪)
নবীর পরবর্তীতে যখন কেউ তাঁর দায়িত্ব আঞ্জাম দেবে, সে তো শ্রেষ্ঠ হবেই। উপরোক্ত হাদীসের বক্তব্যে কোনো অস্পষ্টতা নেই- যিনি প্রথমে কুরআনের শিক্ষার্থী হয়েছেন, এরপর কুরআনের শিক্ষক হয়েছেন, তিনি শ্রেষ্ঠ মানুষ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَمَه.
তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সেই, যে নিজে কুরআন শেখে এবং অন্যকে তা শেখায়।(সহীহ বুখারী, হাদীস ৫০২৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যে ভাবেই হোক কুরআন শিক্ষার প্রয়োজন। অনেক ছাত্র এমনও থাকবে যে, সে শুধুমাত্র শিক্ষতের তিলাওয়াত শুনেই শিখে নিতে সক্ষম হবে। সুতরাং আপনার বর্ণনামতে একমুখি কুরআন শিক্ষার ভিডিও জায়েয।
(২) কোর্সের বিনিময়ে টাকা নিয়ে কিছু টাকা শিক্ষক নিতে পারবেন। আর যেই ওয়েবসাইট এ কোর্স করানো হচ্ছে সেই ওয়েব এর মালিক অথবা ডেভিলোপাররা তাদের অংশের টাকা তারাও নিতে পারবে।
(৩) উত্তরটি মতবেদপূর্ণ এবং এবং অনেক জটিল। আমরা বলব, পারিশ্রমকি হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। দ্বীনের খেদমতের নিয়ত ব্যতিত শুধুমাত্র টাকা উপার্জনের নিয়তে এমনটা করা কখনো জায়েয হবে না। তবে দ্বীনের খেদমতের নিয়ত রাখলে সাথে সাথে সময়ের মূল্য হিসেবে বিনিময় গ্রহণ করা যাবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।