জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ دَخَلَ أَعْرَابِيٌّ الْمَسْجِدَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ فَصَلَّى فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي وَمُحَمَّدًا وَلاَ تَرْحَمْ مَعَنَا أَحَدًا . فَالْتَفَتَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لَقَدْ تَحَجَّرْتَ وَاسِعًا " . فَلَمْ يَلْبَثْ أَنْ بَالَ فِي الْمَسْجِدِ فَأَسْرَعَ إِلَيْهِ النَّاسُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَهْرِيقُوا عَلَيْهِ سَجْلاً مِنْ مَاءٍ أَوْ دَلْوًا مِنْ مَاءٍ " . ثُمَّ قَالَ " إِنَّمَا بُعِثْتُمْ مُيَسِّرِينَ وَلَمْ تُبْعَثُوا مُعَسِّرِينَ " .
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, এক বিদুইন এসে মাসজিদে (নাবাবীতে) প্রবেশ করলো। নাবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন (ঐ স্থানে) বসা ছিলেন। লোকটি নামায আদায় করল। তারপর সে নামায শেষে বলল, “হে আল্লাহ! তুমি আমার উপর ও মুহাম্মাদের উপর অনুগ্রহ কর; আমাদের সাথে আর কাউকে রহম কর না।" রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে তাকিয়ে বললেনঃ “তুমি প্রশস্ত রাহমাতকে সংকীর্ণ করে দিলে।” লোকটি কিছুক্ষণের মধ্যে মাসজিদে পেশাব করে দিল। লোকেরা দ্রুত তার দিকে এগিয়ে গেল (আক্রমণ করার জন্য)। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “তার পেশাবের উপর এক বালতি পানি ঢেলে দাও। তিনি আবার বললেনঃ তোমাদেরকে সহজ পথ অবলম্বনকারী বা দয়াশীল করে পাঠানো হয়েছে; কঠোরতা করার জন্য পাঠানো হয়নি। (সহীহ। তিরমিজি ১৪৭.ইবনু মাজাহ– (৫২৯), বুখারী।)
শরীয়তের বিধান হলোঃ যেই স্থানে নামাজ আদায় করা হবে,সেখানে নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য পুরো স্থানে পাক হওয়া জরুরি নয়।
বরং নামাজির দুই হাত,দুই পা,দুই হাটু,আর সেজদার স্থান পাক হতে হবে।
এর আশে পাশের স্থান পাক হওয়া জরুরি নয়।
তবে বিনা ওযরে নাপাক স্থানের কাছে নামাজ পড়া মাকরুহ।
(ফাতাওয়ায়ে শামি ২/৭৪,৭৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বিভিন্ন পোকা ছোট প্রানীর মল দ্বারা আসলে কোন প্রানীর মল উদ্দেশ্য?
সেটি জানতে হবে।
কেননা এক্ষেত্রে সবই নাপাক নয়,পাকও রয়েছে।
,
যদি নাপাক ধরেও নেই,তারপরেও নামাজির দুই হাত,দুই পা,দুই হাটু,আর সেজদার স্থানে উক্ত মল না থাকলে নামাজ হয়ে যাবে।
,
(০২)
এতে যেহেতু উক্ত সাদা ময়লা গড়িয়ে পড়ে যাওয়ার মতো হয়না।
তাই এতে অযু ভেঙ্গে যাবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ