বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি প্রথমে টাকা দিচ্ছেন।১/২মাস পর প্রডাক্ট হাতে পাবেন।এটার নাম হল,বয়ে সালাম।অর্থাৎ টাকা আগে দেওয়া এবং মাল পরবর্তীতে হস্তগত হওয়া।বয়ে সালাম জায়েয।
ইবনে হজর মক্কী রাহ বলেন,
"واتفق العلماء على مشروعيته إلا ما حكي عن ابن المسيب "
ইবনুল মুসাইয়্যিব রাহ ব্যতীত সমস্ত উলামায়ে কেরাম, বয়ে সালাম জায়েয হওয়ার বিষয়ে একমত।(ফাতহুল বারী-৭/৭৬)
পশ্নে উল্লিখিত সূরত হল,ক্রয়বিক্রয়ের প্রসিদ্ধ পদ্ধতি ব'য়ে সালাম।তথা মূল্যকে পূর্বে দিয়ে দেয়া।এবং পরবর্তীতে মালকে হস্তগত করা।এ পদ্ধতির ক্রয়বিক্রয় শরীয়তে অনুমোদিত।(ফাতাওয়া মাহমুদিয়্যাহ-বয়ে সালাম-১৬/২০৯)
সুতরাং এভাবে ব্যবসা করা যাবে। এবং অগ্রীম মূল্য গ্রহণ করা যাবে।এভাবে অগ্রীম মূল্য গ্রহণ করলে গ্রহণকারী সে মূল্যর মালিক হয়ে যাবে।উক্ত গৃহীত মূল্য দ্বারা যদি কোনো অবৈধ কাজ করা হয়,তাহলে সেই অবৈধ কাজের দায়ভার সেই গ্রহীতা বিক্রেতা ব্যক্তির-ই হবে।ক্রেতা বা মূল্যদান কারী ব্যক্তির এতে কোনো গোনাহ হবে না। ইভ্যালি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1536
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
আপনি ই কমার্স থেকে পণ্য ক্রয় করলে, হয়তো সেই পণ্য গ্রহণ করবেন,পণ্য দিতে অপারগ হলে মূল টাকা ফিরিয়ে নিবেন।এক্ষেত্রে অতিরিক্ত কোনো টাকা গ্রহণ করা যাবে না।করলে সেটা সুদ হবে।
পণ্য হাতে আসার পূর্বে ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েয হবে না।এমনকি দরদাম ঠিক করে রাখলেও পণ্য হাতে আসার পর আবার দরদাম ঠিক করে বিক্রয় করতে হবে।পূর্বে দরদামকে কোনো গুরুত্ব দেয়া হবে না।
(২)
উক্ত পণ্যকে হাতে পাওয়ার পূর্বে দরদাম ঠিক করে অগ্রিম টাকা গ্রহণ করা যাবে না।
(৩)
পণ্য অর্ডার না দিয়ে কৃত মূল্যে বিক্রয় করা জায়েয হবে না।