আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
383 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
১#প্রশ্নঃ ব্যবসা করার উদ্দেশ্য আমি যে কোনো একটা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে অগ্রিম টাকা দিয়ে একটা পন্য  ক্রয় করলাম।
ধরেন,
আমি তা ৪০% অফারে কিনলাম ১২০০০০টাকায়।
আর পন্যটা ডেলিভারি দেওয়া ছিল ডেট ৪৫ দিন পর।  তারপর ৪৫দিন অতিক্রম হওয়ার পর ঐই ই কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে আমাকে ফোন দিয়ে বললো আপনার পন্যটা রেডি হয়ে গেছে, আপনি অমুক সুপার শপ বা অমুক শো রুম থেকে এসে নিয়ে যান।
 তারপর আমি তাদের কথা  মতো ডেলিভারী ডেট অনুযায়ী ঐই শো রম থেকে গেলাম আর বললাম যে আমি আমার পন্যটা আবার রিসেল বা বিক্রি করে দিতে চাই।
 তখন,
ঐই শো রুম থেকে আমাকে বললো যে আপনি যদি আমাদের কাছে পন্যটি ১০% কমে বিক্রি করতে হবে, তার মানে  ১৮০০০০ টাকা বিক্রি করতে পারবেন।
  তারপর আমি পন্যটি উনাদের ১৮০০০০০ টাকা বিক্রি করে দিলাম।
এখন আমার প্রশ্ন হলো আমি অফারে পন্য কিনেছি ১২০০০০ টাকায় আর বিক্রি করলাম ১৮০০০০ টাকায়।

 তার মানে এখানে আমার ৬০০০০টাকা মুনাফা হলো।
এখন এই মুনাফা টা গ্রহন করা হালাল নাকি হারাম?
আর এখানে কোনো প্রকার সুদের লেনদেন  গর্হিত আছে কিনা?

(ব্রিঃদ্রঃ আমি কিন্তু পন্যটা ডাইরেক্ট ই কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করি নাই। আমি পন্যটা বিক্রি করছি,  ই কমার্স প্রতিষ্ঠান টি যে শো-রুম / সুপার শপ থেকে ক্রয় করছে, ঐই শো-রুম/ সুপার শপের কাছে।)

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


পূর্বের এক ফতোয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে, শরীয়তের বিধান হলো যার সাথে বাইয়ে সালাম চুক্তিতে ক্রয়-বিক্রয় করা হবে,তার কাছ থেকে ঐ পরিশোধিত মূল্য কিংবা পণ্য ব্যতীত অন্য কিছু গ্রহণ করা জায়েয নয়।আপনি উক্ত পণ্যকে কবজা বা হস্তগত করার পূর্বে মুসলাম ইলাইহি তথা যার কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করা হয়েছে,তার নিকট বিক্রি করতে পারবেন না।হ্যা পূর্ণ কবজা করার পর বিক্রি করতে পারবেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

بطلان بيع المبيع قبل القبض

মাল হস্তগত করার পূর্বে বিক্রয় বাতিল।

عن عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلاَ يَبيعُهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ 

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি খাদ্য ক্রয় করবে, সে তা পুরোপুরি আয়ত্তে না এনে বিক্রি করবে না।
সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ৩৪ ; ক্রয়-বিক্রয়, অধ্যায় ৫১, হাঃ ২১২৬; মুসলিম, পর্ব ২১; ক্ৰয়-বিক্ৰয়, অধ্যায় ৮, হাঃ ১৫২৬

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: كَانُوا يَبْتَاعُونَ الطَّعَامَ فِي أَعْلَى السُّوقِ فَيَبِيعُونَهُ فِي مَكَانِهِمْ، فَنَهَاهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَبِيعُوهُ فِي مَكانِهِ حَتَّى يَنْقُلُوه

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকরা বাজারের প্রান্ত সীমায় খাদ্য ক্রয় করে সেখানেই বিক্রি করে দিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্থানান্তর না করে সেখানেই বিক্রি করতে তাদের নিষেধ করেছেন।
সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ৩৪ ; ক্রয়-বিক্ৰয়, অধ্যায় ৭২, হাঃ ২১৬৭; মুসলিম, পর্ব ২১: ক্ৰয়-বিক্ৰয়, অধ্যায় ৮, হাঃ ১৫২৬

মাজমা'উল আনহুর(২/১০৩) কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,

(وَلَا) يَجُوزُ لِرَبِّ السَّلَمِ (شِرَاءُ شَيْءٍ مِنْ الْمُسْلَمِ إلَيْهِ بِرَأْسِ الْمَالِ بَعْدَ التَّقَابُلِ) فِي عَقْدِ السَّلَمِ الصَّحِيحِ بَعْدَ وُقُوعِهِ (قَبْلَ قَبْضِهِ) بِحُكْمِ الْإِقَالَةِ اسْتِحْسَانًا لِقَوْلِهِ - عَلَيْهِ السَّلَامُ - «لَا تَأْخُذْ إلَّا سَلَمَك أَوْ رَأْسَ مَالِكِ» أَيْ لَا تَأْخُذْ إلَّا مَا أَسْلَمْتَ فِيهِ حَالَ قِيَامِ الْعَقْدِ أَوْ رَأْسَ مَالِكِ بَعْدَ الِانْفِسَاخِ فَتَرَكْنَا الْقِيَاسَ عَمَلًا بِهِ لِأَنَّ النَّبِيَّ - عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ - جَعَلَ حَقَّ رَبِّ السَّلَمِ أَخْذَ الْمُسْلَمِ فِيهِ قَبْلَ الْإِقَالَةِ، وَأَخْذَ رَأْسِ الْمَالِ بَعْدَهَا، ثُمَّ لَا يَجُوزُ الِاسْتِبْدَالُ قَبْلَ الْإِقَالَةِ بِالْمُسْلَمِ فِيهِ لِئَلَّا يَصِيرَ قَابِضًا حَقَّ غَيْرِهِ فَكَذَا بَعْدَهَا بِرَأْسِ الْمَالِ.

সালাম আকদ অনুষ্টিত হওয়ার পর উক্ত সালামের হস্তান্তরিত মূল্য দ্বারা রাব্বুল মাল ভিন্ন কিছূ সেই ব্যক্তি থেকেও ক্রয় করতে পারবে না, যার সাথে সালাম অনুষ্টিত হয়েছে। কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, হয়তো তুমি তোমার সালাম আকদের মালকে ক্রয় করো অথবা মূল্যকে গ্রহণ করো। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কথার অর্থ হল, সালাম আকদ বাকী থাকাবস্থায় তুমি ঐ পণ্য ব্যতিত অন্য কিছু গ্রহণ করতে পারবেনা। আর সালাম আকদকে বাতিল করা অবস্থায় তুমি মূল্যকে গ্রহণ করতে পারবে। সালাম আকদে উল্লেখিত পণ্য মূল্যকে বদলানো যাবে না। 

★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত পণ্যকে কবজা বা হস্তগত করার পর ঐ শো-রুম/ সুপার শপের কাছে বিক্রয় করতে পারবেন।
উক্ত মুনাফা সূদ হবেনা।
সেই মুনাফা গ্রহম জায়েজ আছে।

তবে উক্ত পণ্যকে কবজা বা হস্তগত করার পূর্বে ঐ শো-রুম/ সুপার শপের কাছে বিক্রয় করতে পারবেননা।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামু আলাইকুম,
জনাব শোরুমে যেহেতু গ্রাহকের পন্যের জন্যই লিস্ট চলে এসেছে, তাহলে শোরুমেই আবার বিক্রয় করতে গেলে হস্তগত/কবজা কিভাবে এখানে করতে হবে সেটাই বুঝছিনা। কারন যাদের পন্য দিবে শোরুম থেকে তাদেরকেই তো ডাকা হয়েছে লিস্ট আকারে। সমস্ত ডকুমেন্টও তাদের দিতে হয়। কিন্তু শোরুমের পন্য না নিয়ে তাদেরকেই দেয়ার সময় কবজাটা এখানে কিভাবে করবো?? :( দয়াকরে যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...