আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
461 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (35 points)
ধরুন,

১।আমি একটি পণ্য ই-কমার্স সাইট থেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে অর্ডার করে রেখেছি যেটি কয়েক মাস পরে আসবে।পণ্যটি আমি কিছু লাভে বিক্রি করে দিব।পণ্যটি আসার আগেই কি দাম-দর করা যাবে?পণ্যটি আসার আগেই বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে ফেললাম ও পণ্য আসলে পণ্য দিয়ে টাকা নিয়ে নিলাম এটা কি জায়েজ হবে?
২।কারও সাথে দাম-দর করে যদি বলি যে এতদিন পর পণ্যটি পাবে। এবং  ৩০ হাজার টাকাই বিক্রি করব। এবং অগ্রীম ১০ হাজার টাকা নিয়ে নেই ও পণ্য আসলে হস্তান্তর করে বাকি ২০ হাজার টাকা নেই এতে কি জায়েজ হবে?

৩।পণ্য অর্ডার না দিয়ে কত মূল্যে  বিক্রয় করে পারব তা যাচাইয়ের জন্য কারও সাথে দাম-দর করা যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1536 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আপনি প্রথমে টাকা দিচ্ছেন।১/২মাস পর প্রডাক্ট হাতে পাবেন।এটার নাম হল,বয়ে সালাম।অর্থাৎ টাকা আগে দেওয়া এবং মাল পরবর্তীতে হস্তগত হওয়া।বয়ে সালাম জায়েয।

ইবনে হজর মক্কী রাহ বলেন,
"واتفق العلماء على مشروعيته إلا ما حكي عن ابن المسيب "
ইবনুল মুসাইয়্যিব রাহ ব্যতীত সমস্ত উলামায়ে কেরাম, বয়ে সালাম জায়েয হওয়ার বিষয়ে একমত।(ফাতহুল বারী-৭/৭৬)

পশ্নে উল্লিখিত সূরত হল,ক্রয়বিক্রয়ের প্রসিদ্ধ পদ্ধতি ব'য়ে সালাম।তথা মূল্যকে পূর্বে দিয়ে দেয়া।এবং পরবর্তীতে মালকে হস্তগত করা।এ পদ্ধতির ক্রয়বিক্রয় শরীয়তে অনুমোদিত।(ফাতাওয়া মাহমুদিয়্যাহ-বয়ে সালাম-১৬/২০৯)

সুতরাং এভাবে ব্যবসা করা যাবে। এবং অগ্রীম মূল্য গ্রহণ করা যাবে।এভাবে অগ্রীম মূল্য গ্রহণ করলে  গ্রহণকারী সে মূল্যর মালিক হয়ে যাবে।উক্ত গৃহীত মূল্য দ্বারা যদি কোনো অবৈধ কাজ করা হয়,তাহলে সেই অবৈধ কাজের দায়ভার সেই গ্রহীতা বিক্রেতা ব্যক্তির-ই হবে।ক্রেতা বা মূল্যদান কারী ব্যক্তির এতে কোনো গোনাহ হবে না। ইভ্যালি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1536

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


(১)
আপনি ই কমার্স থেকে পণ্য ক্রয় করলে, হয়তো সেই পণ্য গ্রহণ করবেন,পণ্য দিতে অপারগ হলে মূল টাকা ফিরিয়ে নিবেন।এক্ষেত্রে অতিরিক্ত কোনো টাকা গ্রহণ করা যাবে না।করলে সেটা সুদ হবে।
পণ্য হাতে আসার পূর্বে ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েয হবে না।এমনকি দরদাম ঠিক করে রাখলেও পণ্য হাতে আসার পর আবার দরদাম ঠিক করে বিক্রয় করতে হবে।পূর্বে দরদামকে কোনো গুরুত্ব দেয়া হবে না।

(২)
উক্ত পণ্যকে হাতে পাওয়ার পূর্বে দরদাম ঠিক করে অগ্রিম টাকা গ্রহণ করা যাবে না।

(৩)
পণ্য অর্ডার না দিয়ে কৃত মূল্যে বিক্রয় করা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...