জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَمَن يَبْتَغِ غَيْرَ الإِسْلاَمِ دِينًا فَلَن يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ
যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত।(সূরা আলে ইমরান-৮৫)
আল্লাহ তা'আলা অন্য এক আয়াতে বলেন,
إِنَّ الَّذِينَ يَكْفُرُونَ بِاللّهِ وَرُسُلِهِ وَيُرِيدُونَ أَن يُفَرِّقُواْ بَيْنَ اللّهِ وَرُسُلِهِ وَيقُولُونَ نُؤْمِنُ بِبَعْضٍ وَنَكْفُرُ بِبَعْضٍ وَيُرِيدُونَ أَن يَتَّخِذُواْ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلاً★أُوْلَـئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ حَقًّا وَأَعْتَدْنَا لِلْكَافِرِينَ عَذَابًا مُّهِينًا
যারা আল্লাহ ও তার রসূলের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারী তদুপরি আল্লাহ ও রসূলের প্রতি বিশ্বাসে তারতম্য করতে চায় আর বলে যে, আমরা কতককে বিশ্বাস করি কিন্তু কতককে প্রত্যাখ্যান করি এবং এরই মধ্যবর্তী কোন পথ অবলম্বন করতে চায়।★প্রকৃতপক্ষে এরাই সত্য প্রত্যাখ্যাকারী। আর যা(সূরা নিসা-১৫০-১৫১)
সিদ্দিক হাসান বোখারী রাহ বলেন,
" وأما من يمدح النصارى ، ويقول إنهم أهل العدل ، أو يحبّون العدل ، ويكثر ثناءهم في المجالس ، ويهين ذكر السلطان للمسلمين ، وينسب إلى الكفار النّصيفة وعدم الظلم والجور ؛ فحكم المادح أنه فاسق عاص مرتكب لكبيرة ؛ يجب عليه التوبة منها والندم عليها ؛ إذا كان مدحه لذات الكفار من غير ملاحظة الكفر الذي فيهم . فإن مدحهم من حيث صفة الكفر فهو كافر ، لأنه مَدَح الكفر الذي ذمته جميع الشرائع "
যে ব্যক্তি ইহুদি খৃষ্টানদের প্রশংসা করে বলবে,যে তারা হল,ন্যায়পরায়ণ,আদিল বা তারা ইনসাফ পছন্দ কারী জামাত। এবং সে তাদের প্রশংসামূখর হয়ে মুসলিম শাষকদের প্রতি মন্দতা উল্লেখ করে।এবং কাফিরদের প্রতি ইনসাফকে সাব্যস্ত করে,ও তাদেরকে যুলুম-নির্যাতন থেকে দৃরে সরিয়ে দিতে চায়,তাহলে উক্ত ব্যক্তি ফাসিক।কবিরাহ গোনাহে লিপ্ত।তার তার উপর তাওবাহ করা ওয়াজিব।তার কৃতকর্মের উপর তাকে লজ্জিত হওয়া উচিৎ।এটা তখনই যখন কেউ এই সমন্ত কাফিরদের জাত গোষ্টি ইত্যাদি হিসেবে বলবে।তথা কাফিরের অন্তরে বিদ্যমান যে কুফরি রয়েছে সে হিসেবে এই ব্যক্তি ভালো বলছে,হ্যা কেউ যদি কোনো কাফিরকে তার অন্তরে বিদ্যমান কুফরির দরুণ তার প্রশংসা করে তাকে উত্তম মনে করে,তাহলে সে অবশ্যই কাফির হয়ে যাবে।(কিতাবুল ইবরাহ-২৪৫)
ইমাম নববী রাহ বলেন,
" وَلَوْ قَالَ مُعَلِّمُ الصِّبْيَانِ: الْيَهُودُ خَيْرٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ بِكَثِيرٍ ؛ لِأَنَّهُمْ يَقْضُونَ حُقُوقَ مُعَلِّمِي صِبْيَانِهِمْ ، كَفَرَ "
যদি শিশুদের শিক্ষক বলেন,ইহুদিরা মুসলমাদের চেয়ে উত্তম,কেননা তারা শিক্ষকদের হককে উত্তমরূপে আদায় করে থাকে।(রাওযাতুত-তালেবীন ও উমদাতুল মুফতিয়্যিন-বাইরুত-১০/৬৯)
কেউ যদি মুসলমানদেরকে গালি দেয় এবং কাফিরদের প্রশংসা করে,এবং মনে মনে আখাঙ্খা করে কাফিরদের মধ্য থেকে হওয়ার, তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে।তাকে শরয়ী কাযীর সামনে নেয়া হবে,যদি সে তাওবাহ করে তাহলে,তাকে আবার নতুন করে দ্বীন শিখানো হবে নতুবা তার উপর মুরতাদের হুকুম আরোপ করা হবে।
যদি কেউ নিজে ইসলামের ধর্মের সবকিছুকে মানে এবং উত্তমরূপে সকল প্রকার ইবাদত করে থাকে,তবে কাফিরদের তথা ইহুদি খৃষ্টানকে সঠিক মনে করে তাহলে সে ব্যক্তিও কাফির।যেজন্য কাফিরদের ভালো উত্তম গুনাগুণের আলোচনা,এবং তাদেরকে পছন্দ করা ও তাদের সম্মাণ দেয়া সবকিছুই হারাম।কেননা যেখানে আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে তিরস্কার করেছেন,এখানে আল্লাহর কথার বিপরিত কোনো কিছু বলা হারাম।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.