আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
228 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (72 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,
১. আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন," যে যাকে ভালোবাসবে তার সাথে তার হাশর হবে।" একথা জানার পরেও যদি কোন মুসলিম, কাফের খেলোয়ার বা মানুষকে ভালোবাসে কিন্তু সে জানে এটা নিষিদ্ধ তাহলে তার কবিরা গুনাহ হবে না? আর সে এই কাজকে হালাল মনে করলে কুফরি হবে? কিন্তু নিষেধ ও হারাম হওয়া সত্ত্বেও কেউ সেই কাজ করলেও সেটা কুফরি হয় না কেন? কেননা, এতে মন থেকে হারাম কে হারাম মানা হলেও, কাজের মাধ্যমে ত সেটা অস্বিকার বোঝাচ্ছে.
২. হারাম কাজের জন্য বিসমিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ ইত্যাদি বলা নাজায়েজ। তাহলে কারো ইনকাম হারাম হলে সে খেতে বসলে বিসমিল্লাহ, খাওয়া শেষ এ আলহামদুলিল্লাহ ইত্যাদি বললে কি গুনাহ হবে না কুফরি হবে?
৩. শিক্ষক যদি পড়ার ফাঁকে ছাত্র ছাত্রী দের আনন্দ দেয়ার জন্য একটু জাদু (কালো জাদু নয়) দেখায় সেটা কি নাজায়েজ?  আর এতে শিক্ষা হারাম হবে এরকম কিছু?

1 Answer

0 votes
by (664,170 points)
edited by
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কুফরি হওয়ার জন্য কুফুর বা কাফিরকে মনেপ্রাণে মহব্বত করা ও কুফরকে স্বীকার করা শর্ত। যদি কেউ কুফর কে মনেপ্রাণে বিশ্বাস না করে,বরং এমনিতেই কেউ কোনো কাফিরকে ভালবাসে,তাহলে বুঝা যাবে যে, তাকে কুফরির কারণে ভালবাসা হচ্ছে না,বরং তাকে ভিন্ন কোনো কারণে ভালবাসা হচ্ছে। এই হল পার্থক্য।

(২)
হারাম কাজের জন্য বিসমিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ ইত্যাদি বলা নাজায়েজ। তাহলে কারো ইনকাম হারাম হলে সে খেতে বসলে বিসমিল্লাহ, খাওয়া শেষ এ আলহামদুলিল্লাহ ইত্যাদি বললে গুনাহ হবে না। কেননা সে তো হারাম ভক্ষণের জন্য এই দু'আ পড়ছে না,বরং সে খাদ্যর দু'আ হিসেবেই এই দু'আ গুলি পড়ছে। কিন্তু যদি কেউ 


(৩)
যেহেতু কারো ক্ষতি উদ্দেশ্য নয়,বরং ফুর্তি উদ্দেশ্য।আর আনন্দ ফুর্তিকে শরীয়ত বেহুদা কাজের অন্তর্ভুক্ত রেখেছে। সুতরাং এরকম ব্ল্যাক মেজিক বেহুদা কাজের অন্তর্ভুক্ত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (664,170 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...