ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনি যদি ক্লাসে উপস্থিত না থাকেন,এবং এই উপস্থিত না থাকার দরুণ ক্লাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অালোচনা আপনার কাছ থেকে ছুটে যায়,আপনি না বুঝেন,তাহলে বুঝার স্বার্থে আপনি আপনার ক্লাসমেট বা বন্ধুর নিকট থেকে ধারণা নিতে পারবেন।
নামায
(১)
ফজরের দু-রাকাত সুন্নত ফজরের জামাত শুরু হয়ে গেলেও পড়তে হবে।যদি প্রবল ধারণা বিশ্বাস হয় যে,জামাত শেষ হওয়ার পূর্বে সুন্নত পড়ে শেষ করা যাবে।তাহলে তখন প্রথমে সুন্নত পড়তে হবে।সুন্নত পড়া শেষ করে জামাতে শরিক হতে হবে।
তাছাড়া অন্যন্য ওয়াক্তের নামাযের ব্যাপারে হুকুম হল,জামাত শুরু হয়ে গেলে বা শুরু হয়ে যাবে,এমন মুহুর্তে আর সুন্নত পড়া যাবে না।যদি কেউ সুন্নত পড়া শুরু করে নেয়,তাহলে জামাত শুরু হয়ে গেলে দু-রাকাতের মাথায় প্রথম বৈঠক করে সুন্নতকে সমাপ্ত করে দিতে হবে।
(২)
নামাজে অনেক সময় সুরা ফাতিহা বা অন্য সুরা পড়াকালীন আয়াতের মাঝখানে দম শেষ হয়ে যায় কিংবা মনে হয় যে ভুল পড়া হয়েছে, যদ্দরুণ একই আয়াতকে কেউ কেউ বারবার পড়ে ফেলে, এজন্য সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
(৩)
হানাফি মাযহাব মতে রা'ফে ইয়াদাইন সুন্নত নয়।তবে কেউ করে নিলে নামায ফাসিদ হবে না।
নামাজের বৈঠক গুলোতে শাহাদাত আঙ্গুল সবসময় সোজা রাখলে নামায ফাসিদ হবে না।
(৪)
অতিরিক্ত ঘর্মাক্ত কাপড় যা হতে দুর্গন্ধ ছড়ায় এমন কাপড় পড়ে নামাজ পড়া তো মাকরূহে তানযিহি।
(৫)
নামাযরত অবস্থায় বিশেষ জরুরত ব্যতীত কাউকে কিছু স্বরণ করিয়ে দেওয়া জায়েয হবে না। বিছানাকে সামনে রেখে নামাযে দাড়ালে,সেই বিছানাতে বসা জায়েয হবে না।
(৬)
প্রাণীর শোপিছ রাখা নাজায়েয ও হারাম। শোপিছ রাখা হয়েছে,এমন ঘরে কেউ নামায পড়ে নিলে তার নামায আদায় হয়ে যাবে।
(৭)
চার রাকাতি নামাযের প্রথম দু রাকাত ইমামের সাথে না পেলে,সেই রাকাত যখন মুক্তাদি পড়বে,তখন অবশ্যই সূরা মিলাবে। সূরা ফাতেহা পড়ার পর সূরা মিলাতে হবে।সর্বনিম্ন তিন আয়াত মিলাতে হবে। হ্যা,আপনার বিবরণমতে কোনো সূরার ছোট্ট তিন আয়াত বা বড় এক আয়াত পড়ে নিলে, কিরাতের ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।তবে ইচ্ছাকৃত এভাবে ছোট্ট কোনো সূরার শুধুমাত্র তিন আয়াত পড়া অনুত্তম।
(৮)
ওজু থাকাবস্থায় বিছানায় না ঘুমালে কিন্তু চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলে সেই ওযু দিয়ে নামাজ পড়া যাবে।
(৯)
সুরা ফাতিহার পর ভুলে বিসমিল্লাহ না বলে দ্বিতীয় সুরা শুরু করলো সাহু সিজদা দিতে হবে না।
(১০)
উক্ত অবস্থায় তার নামায হয়ে গেছে।ইনশা আল্লাহ।
(১১)
ইমামের সাথে সম্পূর্ণ নামাজের ইক্তিদা না করে কিছু অংশ ইক্তিদা করা হল ।এখন ইমামের সাথে শেষ বৈঠকে থাকলে হয়তো বারংবার তাশাহহুদ পড়া হবে নতুবা চুপ থাকা হবে। দরূদ ও দোয়া পড়লেও কোনো সমস্যা নাই,সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
আর ইমামের সাথে কিছু অংশ ইক্তিদা করা হল, এমতাবস্থায় ইমাম প্রথম সালাম ফেরানোর পর তাশাহহুদ বা দরূদের কিছু অংশ পড়া বাকি থাকলে,সেগুলোকে সম্পূর্ণ করেই তবে দাড়াতে হবে।
(১২)
ইমাম দ্বিতীয় সালাম ফেরানোর পর তাশাহহুদ বা দরূদ শরীফের কিছু অংশ পড়া বাকি থাকলে তা পড়ে নিতে হবে।
গাজওয়াতুল হিন্দ
উক্ত কথা সঠিক নয়।
মিথ্যা:
জ্বী, পিতা মাতার বিবাদ মিটাতে বা দুজন মানুষের বিবাদ মিটাতে মিথ্যা বলা যাবে।