খুশুখুজু সহকারে নামাজ পড়তে হবে।
বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্থির রাখতে হবে। যেমন হাত, পা এবং শরীরকে নামাযের বাইরের কোনো কাজে ব্যবহার না করা। অনর্থক নড়াচড়া থেকে বিরত থাকা।
এদিক সেদিক না তাকানো ইত্যাদি।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنِ الأَشْعَثِ، - يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمٍ - عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - قَالَتْ سَأَلْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْتِفَاتِ الرَّجُلِ فِي الصَّلَاةِ فَقَالَ " إِنَّمَا هُوَ اخْتِلَاسٌ يَخْتَلِسُهُ الشَّيْطَانُ مِنْ صَلَاةِ الْعَبْدِ " . - صحيح
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সলাতের মধ্যে এদিক সেদিক তাকানোর বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ এটাতো শয়তানের ছোঁ মারা, সে বান্দার সলাতের কিছু অংশ ছোবল মেরে নিয়ে যায়।
বুখারী (অধ্যায় : আযান, অনুঃ সলাতের অবস্থায় কোন দিকে তাকানো, হাঃ ৭৫১), তিরমিযী (অধ্যায় : আবওয়াবুস সলাত, অনুঃ সলাতরত অবস্থায় কোন দিকে দৃষ্টি দেয়া, হাঃ ৫৯০), নাসায়ী (অধ্যায় : সাহু, অনুঃ সলাতের অবস্থায় কোথাও তাকানোর ব্যাপারে কঠোরতা, হাঃ ১১৯৬),আবু দাউদ ৯১০ আহমাদ।)
★নামাজে এদিক সেদিক তাকানোর ক্ষেত্রে মাসয়ালা হলো যদি শুধু চোখ ফিরায়,মাথা যদি না নড়া চড়া না হয়,তাহলে তা অনুত্তম।
খুশু খুজুর খেলাফ।
তবে এতে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
গুনাহও হবেনা
وفی الفقہ الاسلامی وادلتہ(۹۶۴/۲): قال الحنفیۃ: یکرہ تنزیھا الالتفات بالعنق فقط ای بالوجہ کلہ، او ببعضہ، وببصرہ۔
সারমর্মঃ ঘারা ঘুড়ানো মাকরুহে তানযিহি।
আর যদি মাথা ঘুরিয়ে যায়,তাহলে তা মাকরুহ।
যদি সীনাও ঘুরে যায়,তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
এই ছুরতেই কেবল আমলে কাছির হবে।
অন্য দুই ছুরতে আমলে কাছির হবেনা।
আরো জানুনঃ
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু সীনা কিবলার দিক থেকে ফিরিয়ে যায়নি,তাই আপনার নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।